২৩ জুন ২০২৫, সোমবার, ৮ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

আদালতের হস্তক্ষেপে ভোট দিতে আমতায় ফিরছে ৫৭ টি পরিবার

বিপাশা চক্রবর্তী
  • আপডেট : ৫ জুলাই ২০২৩, বুধবার
  • / 28

পারিজাত মোল্লা:  বুধবার থেকে কলকাতা হাইকোর্টের পুলিশি নিস্ক্রিয়তা বিষয়ক মামলা দেখা শুরু করেছেন বিচারপতি জয় সেনগুপ্ত। আগে দেখতেন বিচারপতি রাজশেখর মান্থার।বুধবার কলকাতা হাইকোর্টের সিঙ্গেল বেঞ্চের বিচারপতি জয় সেনগুপ্ত এর এজলাসে উঠে হাওড়া গ্রামীণ এলাকায় পুলিশি নিস্ক্রিয়তা সম্পর্কিত মামলা।

গত বিধানসভা নির্বাচনের পর থেকেই ঘরছাড়া ছিল আমতার ৫৭টি পরিবার। পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে সেই পরিবারগুলিই এবার গ্রামে ফিরছেন আদালতের নির্দেশে । সেই পরিবারদের সদস্যদের নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করার নির্দেশ দিলেন বিচারপতি জয় সেনগুপ্ত।অভিযোগ ওঠে, শাসক দল তৃণমূলের ভয়েই প্রাণ বাঁচাতে বাড়ি ছেড়ে অন্যত্র থাকতে শুরু করেন অনেকে। কেউ কেউ জেলা ছাড়েন, কেউ আবার রাজ্য ছেড়ে পরিবার নিয়ে ভিনরাজ্যে থাকতে শুরু করেন।

আরও পড়ুন: সংখ্যালঘু নয় এমন আসনে সংরক্ষণ চালুর বিরুদ্ধে আদালতে যাচ্ছে মহারাষ্ট্রের সংখ্যালঘু সমাজ

সেইসব পরিবারদের তালিকায় ছিল আমতা চন্দ্রপুর গ্রামের সিপিএম সমর্থিত ৫৭ টি পরিবার।গত বিধানসভা নির্বাচনে ২ মে-র পর থেকেই গ্রামছাড়া ওই পরিবারের সদস্যরা। তাঁরাই এদিন কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়ে আবেদন করেন, -‘পঞ্চায়েত নির্বাচনে ভোট দিতে গ্রামে ফিরতে চান’।বুধবার কলকাতা হাইকোর্টের সিঙ্গেল বেঞ্চের বিচারপতি জয় সেনগুপ্তর এজলাসে এই মামলার শুনানি চলে । সেখানেই মামলাকারীরা জানান, -‘ পঞ্চায়েত ভোট দিতে গ্রামে ফিরলে প্রাণনাশের আশঙ্কা রয়েছে তাঁদের’।

আরও পড়ুন: বিচারপতি সিনহার এজলাসে ব্যালট পেপার সংক্রান্ত রিপোর্ট দিলেন জগাছার বিডিও

তারপরই বিচারপতি ওই ৫৭টি পরিবারের নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করার নির্দেশ দেন।বিচারপতি এদিন বলেন, -‘ হাওড়া গ্রামীণের পুলিশ সুপারকে নিরাপত্তা নিশ্চিত করার বিষয়টি দেখতে হবে’। পাশাপাশি চন্দ্রপুর গ্রামে পুলিশ পিকেট বসানোরও নির্দেশ দেন তিনি। বিচারপতি আরও বলেন,-‘ যেকোনওরম অশান্তি এড়াতে যথাযথ পদক্ষেপ নিতে হবে পুলিশকেই’।

আরও পড়ুন: গরু পাচার মামলায় সায়গলের বেআইনি সম্পত্তির কথা আদালতকে জানালো সিবিআই

শনিবার পঞ্চায়েত ভোট। অথচ গ্রামেই ঢুকতে পারছিলেন না ৫৭টি পরিবার। বিরোধী দলের ওইসব সমর্থককে ঘরে ফেরানোর নির্দেশ দিল কলকাতা হাইকোর্ট। বুধবার হাওড়া পুলিসকে ওই নির্দেশ দেন বিচারপতি জয় সেনগুপ্ত। ভোট দেওয়ার জন্য তাদের ফেরানো হচ্ছে বলে জানা যাচ্ছে। গত ২০২১ সালের বিধানসভা নির্বাচনের পর অশান্তির কবলে পড়ে হাওড়ার আমতা এলাকার ওইসব পরিবার। আতঙ্কে তারা বাড়ি ছাড়তে বাধ্য হন।

সিপিএমের সমর্থক ওই ৫৭টি পরিবার গ্রাম ছেড়ে অন্য বাস করতে শুরু করেন। এবার পঞ্চায়েত ভোটের মুখে তারা ঘরে ফিরতে চেয়ে আদালতের দ্বারস্থ হন আমতার চন্দ্রপুরের ওইসব বাসিন্দারা। কিন্তু তাদের আশঙ্কা ছিল গ্রাম ঢুকলে তাদের উপরে আক্রমণ হতে পারে। তাই তাদের নিরাপত্তা দেওয়া হোক।সেই মামলায় এদিন বিচারপতি জয় সেনগুপ্ত এজলাসে জানান , -‘ ওইসব পরিবারকে নিরাপত্তা দিতে হবে পুলিসকে। চন্দ্রপুর গ্রামে পুলিস পিকেট বসাতে হবে। ওইসব পরিবারের নিরাপত্তার ব্যবস্থা করতে হবে হাওড়া গ্রামীণ পুলিস সুপারকে’।এই নির্দেশে খুশি হাওড়ার জেলা বাম নেতৃত্ব।

 

 

Copyright © Puber Kalom All rights reserved.| Developed by eTech Builder

আদালতের হস্তক্ষেপে ভোট দিতে আমতায় ফিরছে ৫৭ টি পরিবার

আপডেট : ৫ জুলাই ২০২৩, বুধবার

পারিজাত মোল্লা:  বুধবার থেকে কলকাতা হাইকোর্টের পুলিশি নিস্ক্রিয়তা বিষয়ক মামলা দেখা শুরু করেছেন বিচারপতি জয় সেনগুপ্ত। আগে দেখতেন বিচারপতি রাজশেখর মান্থার।বুধবার কলকাতা হাইকোর্টের সিঙ্গেল বেঞ্চের বিচারপতি জয় সেনগুপ্ত এর এজলাসে উঠে হাওড়া গ্রামীণ এলাকায় পুলিশি নিস্ক্রিয়তা সম্পর্কিত মামলা।

গত বিধানসভা নির্বাচনের পর থেকেই ঘরছাড়া ছিল আমতার ৫৭টি পরিবার। পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে সেই পরিবারগুলিই এবার গ্রামে ফিরছেন আদালতের নির্দেশে । সেই পরিবারদের সদস্যদের নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করার নির্দেশ দিলেন বিচারপতি জয় সেনগুপ্ত।অভিযোগ ওঠে, শাসক দল তৃণমূলের ভয়েই প্রাণ বাঁচাতে বাড়ি ছেড়ে অন্যত্র থাকতে শুরু করেন অনেকে। কেউ কেউ জেলা ছাড়েন, কেউ আবার রাজ্য ছেড়ে পরিবার নিয়ে ভিনরাজ্যে থাকতে শুরু করেন।

আরও পড়ুন: সংখ্যালঘু নয় এমন আসনে সংরক্ষণ চালুর বিরুদ্ধে আদালতে যাচ্ছে মহারাষ্ট্রের সংখ্যালঘু সমাজ

সেইসব পরিবারদের তালিকায় ছিল আমতা চন্দ্রপুর গ্রামের সিপিএম সমর্থিত ৫৭ টি পরিবার।গত বিধানসভা নির্বাচনে ২ মে-র পর থেকেই গ্রামছাড়া ওই পরিবারের সদস্যরা। তাঁরাই এদিন কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়ে আবেদন করেন, -‘পঞ্চায়েত নির্বাচনে ভোট দিতে গ্রামে ফিরতে চান’।বুধবার কলকাতা হাইকোর্টের সিঙ্গেল বেঞ্চের বিচারপতি জয় সেনগুপ্তর এজলাসে এই মামলার শুনানি চলে । সেখানেই মামলাকারীরা জানান, -‘ পঞ্চায়েত ভোট দিতে গ্রামে ফিরলে প্রাণনাশের আশঙ্কা রয়েছে তাঁদের’।

আরও পড়ুন: বিচারপতি সিনহার এজলাসে ব্যালট পেপার সংক্রান্ত রিপোর্ট দিলেন জগাছার বিডিও

তারপরই বিচারপতি ওই ৫৭টি পরিবারের নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করার নির্দেশ দেন।বিচারপতি এদিন বলেন, -‘ হাওড়া গ্রামীণের পুলিশ সুপারকে নিরাপত্তা নিশ্চিত করার বিষয়টি দেখতে হবে’। পাশাপাশি চন্দ্রপুর গ্রামে পুলিশ পিকেট বসানোরও নির্দেশ দেন তিনি। বিচারপতি আরও বলেন,-‘ যেকোনওরম অশান্তি এড়াতে যথাযথ পদক্ষেপ নিতে হবে পুলিশকেই’।

আরও পড়ুন: গরু পাচার মামলায় সায়গলের বেআইনি সম্পত্তির কথা আদালতকে জানালো সিবিআই

শনিবার পঞ্চায়েত ভোট। অথচ গ্রামেই ঢুকতে পারছিলেন না ৫৭টি পরিবার। বিরোধী দলের ওইসব সমর্থককে ঘরে ফেরানোর নির্দেশ দিল কলকাতা হাইকোর্ট। বুধবার হাওড়া পুলিসকে ওই নির্দেশ দেন বিচারপতি জয় সেনগুপ্ত। ভোট দেওয়ার জন্য তাদের ফেরানো হচ্ছে বলে জানা যাচ্ছে। গত ২০২১ সালের বিধানসভা নির্বাচনের পর অশান্তির কবলে পড়ে হাওড়ার আমতা এলাকার ওইসব পরিবার। আতঙ্কে তারা বাড়ি ছাড়তে বাধ্য হন।

সিপিএমের সমর্থক ওই ৫৭টি পরিবার গ্রাম ছেড়ে অন্য বাস করতে শুরু করেন। এবার পঞ্চায়েত ভোটের মুখে তারা ঘরে ফিরতে চেয়ে আদালতের দ্বারস্থ হন আমতার চন্দ্রপুরের ওইসব বাসিন্দারা। কিন্তু তাদের আশঙ্কা ছিল গ্রাম ঢুকলে তাদের উপরে আক্রমণ হতে পারে। তাই তাদের নিরাপত্তা দেওয়া হোক।সেই মামলায় এদিন বিচারপতি জয় সেনগুপ্ত এজলাসে জানান , -‘ ওইসব পরিবারকে নিরাপত্তা দিতে হবে পুলিসকে। চন্দ্রপুর গ্রামে পুলিস পিকেট বসাতে হবে। ওইসব পরিবারের নিরাপত্তার ব্যবস্থা করতে হবে হাওড়া গ্রামীণ পুলিস সুপারকে’।এই নির্দেশে খুশি হাওড়ার জেলা বাম নেতৃত্ব।