১৭ অক্টোবর ২০২৫, শুক্রবার, ৩০ আশ্বিন ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

মার্কিন আদালতের সামনে একবর্ণও ইংরাজি বলা তো দূরের কথা, বিচারপতির কথাই বুঝতে পারলেন না ‘IELTS’ পরীক্ষায় ঢালা নম্বর পাওয়া ৬ পড়ুয়া

ইমামা খাতুন
  • আপডেট : ৩ অগাস্ট ২০২২, বুধবার
  • / 82

পুবের কলম ওয়েব ডেস্কঃ চলতি বছরের মার্চ মাসে মার্কিন সীমান্তের লাগোয়া একটি নৌকাডুবি থেকে গুজরাতের ছয় পড়ুয়াকে উদ্ধার করে মার্কিন পুলিশ। অভিযোগ, অবৈধভাবে সেদেশে ঢোকার চেষ্টা করছিল পড়ুয়ারা। তারপরই তাদের আদালতে তোলা হয়। সেখানেই তাজ্জব হয়ে যান বিচারকরা। ইংরাজিতে প্রশ্ন করা হলেও একবর্ণ বুঝতে পারছিল না অভিযুক্ত পড়ুয়ারা। শেষ পর্যন্ত হিন্দি অনুবাদকের সাহায্যে শুনানি শুরু করা হয়। কিন্তু এই ঘটনার পরেই গুজরাট পুলিশের কাছে অভিযোগ জানায় মার্কিন সরকার। সেই মতো তদন্ত শুরু করে মেহসানা জেলার পুলিশ।তদন্তে নেমে চক্ষু কপালে ওঠে পুলিশ আধিকারিকদের।তাদের সামনে উঠে আসে আর এক অন্য ঘটনা।

উল্লেখ্য, ইংরেজিতে ভালো নম্বর পেয়ে পাশ করেছে গুজরাতের ছয় পড়ুয়া। ইচ্ছা মার্কিন মুলুকে গিয়ে পরবর্তী পড়াশোনা চালিয়ে যাবে। তবে ভাষাই বাদ সাধল। মার্কিন মুলুকে পড়াশোনা করতে গেলে বাধ্যতামূলক ইংরাজি পরীক্ষা। রীতিমত ভালো নম্বর পেয়ে পাশ করলেও আমেরিকার আদালতের সামনে একবর্ণও ইংরাজি বলতে পারলেন না ওই পড়ুয়ারা। গুজরাতের পড়ুয়াদের এমন কাণ্ড দেখে অবাক মার্কিন প্রশাসন। ঘটনাটি গুজরাত পুলিশকে জানালে, তদন্ত শুরু করে ওই রাজ্যের পুলিশ আধিকারিকরা।

আরও পড়ুন: শুল্কনীতি অবৈধ, মার্কিন আদালতে ধাক্কা খেলেন ট্রাম্প

তদন্তে নেমে চক্ষু কপালে ওঠে পুলিশের। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, ইংরাজি পরীক্ষা নেওয়ার সময় বড়সড় দুর্নীতি হয়েছে। তবে এই ঘটনার সঙ্গে বড় কোনও চক্রান্ত জরিয়ে রয়েছে কিনা তা খতিয়ে দেখছে পুলিশ।

আরও পড়ুন: আমেরিকান স্কুলে এবার ইংরেজির পর দ্বিতীয় ভাষা হিন্দি

প্রসঙ্গত, বিদেশে বেশ কয়েকটি নামীদামি বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশোনা করতে গেলে ইংরেজি পরীক্ষা দেওয়া বাধ্যতামূলক হয়। তাঁর জন্য ইন্টারন্যাশনাল ইংলিশ ল্যাঙ্গুয়েজ টেস্টিং সিস্টেম (আইইএলটিএস)’ (IELTS) নামের ওই পরীক্ষায় পাশ না করলে স্টুডেন্ট ভিসা পাওয়া যায় না। তবে এমন অনেক মেধাবী পড়ুয়া রয়েছে, যারা এই পরীক্ষা পাশ করতে না পেরে বিদেশে পড়তে যেতে পারেন না।

আরও পড়ুন: অস্ত্রোপচারের পর গর্ভপাতের ওষুধেও নিষেধাজ্ঞা মার্কিন আদালতের

সূত্রের খবর, গুজরাতের ওই ৬ পড়ুয়া ‘IELTS’ পরীক্ষায় বেশ ভালোই স্কোর তুলেছিল। তবে ইংরাজিতে ভালো স্কোর করলেও মার্কিন আদালতের সামনে ইংরাজি বলতে হিমশিম খেলেন ওই পড়ুয়ারা। বাধ্য হয়ে হিন্দি অনুবাদককে ডাকা হয়। এই ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।

প্রতিবেদক

ইমামা খাতুন

২০২২ সাল থেকে সংবাদ জগতের সঙ্গে যুক্ত। আলিয়া বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সাংবাদিকতাতে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি অর্জন করেছে। ডিজিটাল প্লাটফর্মে রিপোর্টার হিসেবে হাতেখড়ি। ২০২২ সালের শেষান্তে পুবের কলম-এর সঙ্গে যুক্ত হয়। ইমামার ভাষ্যে, The First Law of Journalism: to confirm existing prejudice, rather than contradict it.

Copyright © Puber Kalom All rights reserved.| Developed by eTech Builder

মার্কিন আদালতের সামনে একবর্ণও ইংরাজি বলা তো দূরের কথা, বিচারপতির কথাই বুঝতে পারলেন না ‘IELTS’ পরীক্ষায় ঢালা নম্বর পাওয়া ৬ পড়ুয়া

আপডেট : ৩ অগাস্ট ২০২২, বুধবার

পুবের কলম ওয়েব ডেস্কঃ চলতি বছরের মার্চ মাসে মার্কিন সীমান্তের লাগোয়া একটি নৌকাডুবি থেকে গুজরাতের ছয় পড়ুয়াকে উদ্ধার করে মার্কিন পুলিশ। অভিযোগ, অবৈধভাবে সেদেশে ঢোকার চেষ্টা করছিল পড়ুয়ারা। তারপরই তাদের আদালতে তোলা হয়। সেখানেই তাজ্জব হয়ে যান বিচারকরা। ইংরাজিতে প্রশ্ন করা হলেও একবর্ণ বুঝতে পারছিল না অভিযুক্ত পড়ুয়ারা। শেষ পর্যন্ত হিন্দি অনুবাদকের সাহায্যে শুনানি শুরু করা হয়। কিন্তু এই ঘটনার পরেই গুজরাট পুলিশের কাছে অভিযোগ জানায় মার্কিন সরকার। সেই মতো তদন্ত শুরু করে মেহসানা জেলার পুলিশ।তদন্তে নেমে চক্ষু কপালে ওঠে পুলিশ আধিকারিকদের।তাদের সামনে উঠে আসে আর এক অন্য ঘটনা।

উল্লেখ্য, ইংরেজিতে ভালো নম্বর পেয়ে পাশ করেছে গুজরাতের ছয় পড়ুয়া। ইচ্ছা মার্কিন মুলুকে গিয়ে পরবর্তী পড়াশোনা চালিয়ে যাবে। তবে ভাষাই বাদ সাধল। মার্কিন মুলুকে পড়াশোনা করতে গেলে বাধ্যতামূলক ইংরাজি পরীক্ষা। রীতিমত ভালো নম্বর পেয়ে পাশ করলেও আমেরিকার আদালতের সামনে একবর্ণও ইংরাজি বলতে পারলেন না ওই পড়ুয়ারা। গুজরাতের পড়ুয়াদের এমন কাণ্ড দেখে অবাক মার্কিন প্রশাসন। ঘটনাটি গুজরাত পুলিশকে জানালে, তদন্ত শুরু করে ওই রাজ্যের পুলিশ আধিকারিকরা।

আরও পড়ুন: শুল্কনীতি অবৈধ, মার্কিন আদালতে ধাক্কা খেলেন ট্রাম্প

তদন্তে নেমে চক্ষু কপালে ওঠে পুলিশের। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, ইংরাজি পরীক্ষা নেওয়ার সময় বড়সড় দুর্নীতি হয়েছে। তবে এই ঘটনার সঙ্গে বড় কোনও চক্রান্ত জরিয়ে রয়েছে কিনা তা খতিয়ে দেখছে পুলিশ।

আরও পড়ুন: আমেরিকান স্কুলে এবার ইংরেজির পর দ্বিতীয় ভাষা হিন্দি

প্রসঙ্গত, বিদেশে বেশ কয়েকটি নামীদামি বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশোনা করতে গেলে ইংরেজি পরীক্ষা দেওয়া বাধ্যতামূলক হয়। তাঁর জন্য ইন্টারন্যাশনাল ইংলিশ ল্যাঙ্গুয়েজ টেস্টিং সিস্টেম (আইইএলটিএস)’ (IELTS) নামের ওই পরীক্ষায় পাশ না করলে স্টুডেন্ট ভিসা পাওয়া যায় না। তবে এমন অনেক মেধাবী পড়ুয়া রয়েছে, যারা এই পরীক্ষা পাশ করতে না পেরে বিদেশে পড়তে যেতে পারেন না।

আরও পড়ুন: অস্ত্রোপচারের পর গর্ভপাতের ওষুধেও নিষেধাজ্ঞা মার্কিন আদালতের

সূত্রের খবর, গুজরাতের ওই ৬ পড়ুয়া ‘IELTS’ পরীক্ষায় বেশ ভালোই স্কোর তুলেছিল। তবে ইংরাজিতে ভালো স্কোর করলেও মার্কিন আদালতের সামনে ইংরাজি বলতে হিমশিম খেলেন ওই পড়ুয়ারা। বাধ্য হয়ে হিন্দি অনুবাদককে ডাকা হয়। এই ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।