০১ ডিসেম্বর ২০২৫, সোমবার, ১৪ অগ্রহায়ণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

বৃহস্পতিবার মহারাষ্ট্রের রায়গড়ের হরিহরেশ্বর ঘাটে অস্ত্রবোঝাই নৌকো বাজেয়াপ্ত

ইমামা খাতুন
  • আপডেট : ১৮ অগাস্ট ২০২২, বৃহস্পতিবার
  • / 78

পুবের কলম ওয়েব ডেস্কঃমহারাষ্ট্রের রায়গড় উপকূল থেকে দুটি অস্ত্রবোঝাই নৌকা বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে। সেই সঙ্গে বেশ কিছু কাগজপত্রও উদ্ধার হয়েছে। তবে ওই নৌকোতে কোনও যাত্রী ছিল না। আপাতত নাশকতার আশঙ্কায় গোটা এলাকায় হাই  অ্যালার্ট জারি করেছে প্রশাসন।

 

আরও পড়ুন: Breaking: SSKM-এ এলেন মুখ্যমন্ত্রী, হাঁটুতে অস্ত্রোপচার হতে পারে বৃহস্পতিবারই

উল্লেখ্য, বৃহস্পতিবার মহারাষ্ট্রের রায়গড় জেলার হরিহরেশ্বর উপকূলের কাছে এই অস্ত্রবোঝাই নৌকাটি বাজেয়াপ্ত করা হয়। নৌকো  থেকে উদ্ধার হয়েছে একে-৪৭ রাইফেল সহ প্রচুর অস্ত্র। বাজেয়াপ্ত হয়েছে ৩ টি একে-৪৭ রাইফেল ও কার্তুজ। এর পিছনে কোনও সন্ত্রাসবাদী কার্যকলাপের ষড়যন্ত্র ছিল কি না তা নিয়ে উঠছে প্রশ্ন।

আরও পড়ুন: বৃহস্পতিবার ডিভিশন বেঞ্চে পুরসভা মামলার শুনানি!  

 

আরও পড়ুন: মণিপুরে অস্ত্র সমর্পণ, ৫ জেলায় উঠল কারফিউ

প্রসঙ্গত, এর আগে ২৬/১১ তে মুম্বই হামলার সময় এভাবেই ভারতে অনুপ্রবেশ করেছিল হামলাকারীরা। সেরকমই কোনও হামলার পুনরাবৃত্তির ছক কি না তা নিয়েও উদ্বিগ্ন মহারাষ্ট্র সরকার। মূলত রায়গড়ের উপকূলে যেখান থেকে এই নৌকাটি উদ্ধার হয়েছে, তা মুম্বই থেকে প্রায় ২০০ কিমি দূরে অবস্থিত।

 

এই প্রসঙ্গে প্রাক্তন এনএসজি কমান্ডার দীপাঞ্জন চক্রবর্তী বলেছেন,  ‘অতীতেও যখন মুম্বইতে বোমা হামলা হয়েছিল এবং ভারতে আরডিএক্স এসেছিল, তখন রায়গড়ের উপকূল ধরেই এসেছিল। সেই সময় সমুদ্রে সেইভাবে নিরাপত্তা ছিল না।

 

কিন্তু ২৬/১১-র পর এখন নিরাপত্তা ব্যবস্থা অনেক কঠোর হয়েছে। প্রতি মুহূর্তে নজরদারি চালানো হয়’। তিনি জানিয়েছেন, এখানে অবাক হওয়ার মত বিষয় হল এই কড়া নজরদারির মধ্যে দিয়েও কিভাবে অস্ত্র বোঝাই নৌকো ঢুকল? তাই ভাবাচ্ছে নিরাপত্তারক্ষীদের।

 

এই প্রসঙ্গে, সংবাদ মাধ্যমে দেওয়া সাক্ষাৎকারে দেবেন্দ্র ফড়নবীস জানিয়েছেন, ‘আমরা কোস্টগার্ড সহ কেন্দ্রীয় কর্তৃপক্ষের সঙ্গে সর্বক্ষণ যোগাযোগ রাখছি। প্রাথমিক তথ্য অনুসারে, এর সঙ্গে কোনও সন্ত্রাসী হামলার সম্পর্ক নেই বলেই মনে করা হচ্ছে। তবে ইতিমধ্যেই ঘটনার তদন্ত শুরু হয়েছে। পুলিশ ও অ্যান্টি টেরোরিজম স্কোয়াড তদন্ত করছে।’

প্রতিবেদক

ইমামা খাতুন

২০২২ সাল থেকে সংবাদ জগতের সঙ্গে যুক্ত। আলিয়া বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সাংবাদিকতাতে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি অর্জন করেছে। ডিজিটাল প্লাটফর্মে রিপোর্টার হিসেবে হাতেখড়ি। ২০২২ সালের শেষান্তে পুবের কলম-এর সঙ্গে যুক্ত হয়। ইমামার ভাষ্যে, The First Law of Journalism: to confirm existing prejudice, rather than contradict it.

Copyright © Puber Kalom All rights reserved.| Developed by eTech Builder

বৃহস্পতিবার মহারাষ্ট্রের রায়গড়ের হরিহরেশ্বর ঘাটে অস্ত্রবোঝাই নৌকো বাজেয়াপ্ত

আপডেট : ১৮ অগাস্ট ২০২২, বৃহস্পতিবার

পুবের কলম ওয়েব ডেস্কঃমহারাষ্ট্রের রায়গড় উপকূল থেকে দুটি অস্ত্রবোঝাই নৌকা বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে। সেই সঙ্গে বেশ কিছু কাগজপত্রও উদ্ধার হয়েছে। তবে ওই নৌকোতে কোনও যাত্রী ছিল না। আপাতত নাশকতার আশঙ্কায় গোটা এলাকায় হাই  অ্যালার্ট জারি করেছে প্রশাসন।

 

আরও পড়ুন: Breaking: SSKM-এ এলেন মুখ্যমন্ত্রী, হাঁটুতে অস্ত্রোপচার হতে পারে বৃহস্পতিবারই

উল্লেখ্য, বৃহস্পতিবার মহারাষ্ট্রের রায়গড় জেলার হরিহরেশ্বর উপকূলের কাছে এই অস্ত্রবোঝাই নৌকাটি বাজেয়াপ্ত করা হয়। নৌকো  থেকে উদ্ধার হয়েছে একে-৪৭ রাইফেল সহ প্রচুর অস্ত্র। বাজেয়াপ্ত হয়েছে ৩ টি একে-৪৭ রাইফেল ও কার্তুজ। এর পিছনে কোনও সন্ত্রাসবাদী কার্যকলাপের ষড়যন্ত্র ছিল কি না তা নিয়ে উঠছে প্রশ্ন।

আরও পড়ুন: বৃহস্পতিবার ডিভিশন বেঞ্চে পুরসভা মামলার শুনানি!  

 

আরও পড়ুন: মণিপুরে অস্ত্র সমর্পণ, ৫ জেলায় উঠল কারফিউ

প্রসঙ্গত, এর আগে ২৬/১১ তে মুম্বই হামলার সময় এভাবেই ভারতে অনুপ্রবেশ করেছিল হামলাকারীরা। সেরকমই কোনও হামলার পুনরাবৃত্তির ছক কি না তা নিয়েও উদ্বিগ্ন মহারাষ্ট্র সরকার। মূলত রায়গড়ের উপকূলে যেখান থেকে এই নৌকাটি উদ্ধার হয়েছে, তা মুম্বই থেকে প্রায় ২০০ কিমি দূরে অবস্থিত।

 

এই প্রসঙ্গে প্রাক্তন এনএসজি কমান্ডার দীপাঞ্জন চক্রবর্তী বলেছেন,  ‘অতীতেও যখন মুম্বইতে বোমা হামলা হয়েছিল এবং ভারতে আরডিএক্স এসেছিল, তখন রায়গড়ের উপকূল ধরেই এসেছিল। সেই সময় সমুদ্রে সেইভাবে নিরাপত্তা ছিল না।

 

কিন্তু ২৬/১১-র পর এখন নিরাপত্তা ব্যবস্থা অনেক কঠোর হয়েছে। প্রতি মুহূর্তে নজরদারি চালানো হয়’। তিনি জানিয়েছেন, এখানে অবাক হওয়ার মত বিষয় হল এই কড়া নজরদারির মধ্যে দিয়েও কিভাবে অস্ত্র বোঝাই নৌকো ঢুকল? তাই ভাবাচ্ছে নিরাপত্তারক্ষীদের।

 

এই প্রসঙ্গে, সংবাদ মাধ্যমে দেওয়া সাক্ষাৎকারে দেবেন্দ্র ফড়নবীস জানিয়েছেন, ‘আমরা কোস্টগার্ড সহ কেন্দ্রীয় কর্তৃপক্ষের সঙ্গে সর্বক্ষণ যোগাযোগ রাখছি। প্রাথমিক তথ্য অনুসারে, এর সঙ্গে কোনও সন্ত্রাসী হামলার সম্পর্ক নেই বলেই মনে করা হচ্ছে। তবে ইতিমধ্যেই ঘটনার তদন্ত শুরু হয়েছে। পুলিশ ও অ্যান্টি টেরোরিজম স্কোয়াড তদন্ত করছে।’