১৪ অগাস্ট ২০২৫, বৃহস্পতিবার, ২৮ শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

পার্কসার্কাসের ‘প্যাভেলিয়নে’মিলেমিশে গিয়েছে ক্রিকেট ও রেস্টো ক্যাফে

অর্পিতা লাহিড়ী
  • আপডেট : ২৮ সেপ্টেম্বর ২০২১, মঙ্গলবার
  • / 9

অর্পিতা লাহিড়ী, ক্রিকেটের ২২ গজে থাকে লড়াইয়ের এক অনন্য উপাদান। প্যাভেলিয়নে বসে তার স্বাদ উপভোগ করার মধ্যে সবসময় লুকিয়ে থাকে এক আলাদা রোমাঞ্চ। ধরে নিন– একটা ক্রিকেটীয় আবহে কাছের মানুষ বা বন্ধুদের নিয়ে আড্ডা জমেছে জোরদার– প্যাভেলিয়নে একের পর এক হাজির হচ্ছে মুখরোচক স্টার্টার– ডিনারে এসে উপস্থিত হয়েছে ধোঁয়া ওঠা মাটন কাচ্চি বিরিয়ানি– চোখের সামনে রয়েছে বিরাট কোহলির স্বাক্ষর করা ব্যাট– অথবা ওয়াসিম আক্রমের সেই বল।

পার্কসার্কাসের ‘প্যাভেলিয়নে’মিলেমিশে গিয়েছে ক্রিকেট ও রেস্টো ক্যাফে

মনে হতে পারে– এতটা রসাস্বাদন কি করে সম্ভব? শহর কলকাতাতেই সেই অসম্ভবকে সম্ভব করে তুলেছেন এক আদ্যন্ত ক্রিকেটপ্রেমী রেস্তোরাঁ ব্যবসায়ী। এই শহরে শুরু হয়েছে প্রথম ক্রিকেটীয় থিমের রেস্টো ক্যাফে– যার নাম দেওয়া হয়েছে ‘প্যাভেলিয়ন’। রেস্তোরাঁর অন্যতম মালিক অভীক কুন্ডু জানালেন– অজয় নগরে মাল্টিকুইজিন’ রেস্তোরাঁর মধ্যে দিয়েই এই ব্যবসায়û আমার পা রাখা। তবে সব সময় মনের মধ্যে ঘোরাফেরা করত একটু অন্য কিছু করার তাগিদ। ছোট থেকেই খেলাধূলার আবহে বড় হয়ে উঠেছি। নিজেও চুটিয়ে ক্রিকেট খেলেছি। ক্যাটারিং ব্যবসার সৌজন্যে সিএবিতেও নিত্য যাতায়াত। এমনকি আমরা বিভিন্ন খেলার মাঝে বা সিএবির নানা অনুষ্ঠানেও খাবার সরবরাহ করে থাকি। তাই এই শহরের ক্রিকেটপ্রেমীদের জন্য খাবারের সঙ্গে যদি ২২ গজের স্বাদ মিলেমিশে এক করে দেওয়া যায়– সেই ভাবনা থেকেই জন্ম নেয় এই প্যাভেলিয়ন।’

১০১ রকমের স্মারক দিয়ে সাজানো রয়েছে এই রেস্টো ক্যাফেটি। কি নেই এই রেস্টো ক্যাফেতে রয়েছে ধোনি এবং চেন্নাই সুপার কিংসের ক্রিকেটারদের স্বাক্ষরিত জার্সি। ওয়াসিম আক্রমের সেই বল– যা দিয়ে বিশ্বের তাবড় তাবড় ক্রিকেটারদের একটা সময় আউট করেছেন তিনি। রয়েছে বিরাট কোহলির স্বাক্ষর করা ব্যাট। ভারতীয় ক্রিকেটের অন্যতম আইকন সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়ের নানা ধরনের ক্রিকেটীয় মুহূর্তের কোলাজ।

অভীকবাবুর কথায় ২০১৪ সালে শুরু হয় এই রেস্তোরাঁর পথচলা। প্রাক্তন ভারত অধিনায়ক তথা বিবিসিআই প্রেসিডেন্ট সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায় প্যাভেলিয়নকে ক্রিকেটপ্রেমীদের জন্য উন্মুক্ত করে দেন। ভোজনরসিক দাদাকে প্যাভেলিয়ন স্বাগত জানাই মটন বিরিয়ানি এবং চিংড়ি মালাইকারী দিয়ে।’

পার্কসার্কাসের ‘প্যাভেলিয়নে’মিলেমিশে গিয়েছে ক্রিকেট ও রেস্টো ক্যাফে
প্যাভিলিয়নের অন্দরমহল

সৌরভ নিজেও জানিয়েছেন– বিশ্বের নানা দেশে খেলার সুবাদে এই ধরনের ক্রিকেট থিমের নানা ধরনের রেস্তোরাঁ বা রেস্টো ক্যাফে তাঁর চোখে পড়েছে। কিন্তু খোদ কলকাতায় এ রকম ধরনের প্রচেষ্টা এই প্রথম। নিঃসন্দেহে মহানগরীর ক্রিকেটপ্রেমীদের মন জয় করবে এই রেস্টো ক্যাফে।

মাল্টিকুইজিন থেকে স্ন্যাক্স– সঙ্গে চা-কফির বিপুল আয়োজন রয়েছে প্যাভেলিয়নে। শুধু তাই নয়– প্যাভেলিয়ন কর্তৃপক্ষ আরও জানাচ্ছেন– আইপিএলের যে দ্বিতীয় অধ্যায় শুরু হয়েছে– তাতে যেকোনও ক্রিকেটপ্রেমী চলে আসতে পারেন পার্ক সার্কাসের সাত মাথার মোড়ের খুব কাছে এই রেস্টো ক্যাফেতে। মুখরোচক খাবারের সঙ্গে মিলেমিশে এক হয়ে যাবে আইপিএলের উত্তেজনা। শুধু তাই নয়– ১০১ ধরনের স্মারক দিয়ে এই রেস্টো ক্যাফেটি সাজানো হয়েছে। তার প্রত্যেকটির সঙ্গে জড়িয়ে রয়েছে কোনও না কোনও বিশেষ মুহূর্ত। নিছক শুধুমাত্র রেস্তোরাঁ সাজানোর জন্য তা ব্যবহার করা হয়নি। ক্রিকেটারদের টাই– জার্সি– বল সবকিছুই কোনও না কোনও সময় ম্যাচের মধ্যে ব্যবহার করা হয়েছে।দুপুর ১২টা থেকে রাত ১১টা পর্যন্ত খোলা প্যাভেলিয়নের দরজা। ২২ গজের উত্তাপে ক্রিকেটীয় মুহূর্তে একটু অন্যরকম সময় কাটানোর ইচ্ছে হলে একেবারে আদর্শ জায়গা হতে পারে এই রেস্টো ক্যাফে প্যাভেলিয়ন

Copyright © Puber Kalom All rights reserved.| Developed by eTech Builder

পার্কসার্কাসের ‘প্যাভেলিয়নে’মিলেমিশে গিয়েছে ক্রিকেট ও রেস্টো ক্যাফে

আপডেট : ২৮ সেপ্টেম্বর ২০২১, মঙ্গলবার

অর্পিতা লাহিড়ী, ক্রিকেটের ২২ গজে থাকে লড়াইয়ের এক অনন্য উপাদান। প্যাভেলিয়নে বসে তার স্বাদ উপভোগ করার মধ্যে সবসময় লুকিয়ে থাকে এক আলাদা রোমাঞ্চ। ধরে নিন– একটা ক্রিকেটীয় আবহে কাছের মানুষ বা বন্ধুদের নিয়ে আড্ডা জমেছে জোরদার– প্যাভেলিয়নে একের পর এক হাজির হচ্ছে মুখরোচক স্টার্টার– ডিনারে এসে উপস্থিত হয়েছে ধোঁয়া ওঠা মাটন কাচ্চি বিরিয়ানি– চোখের সামনে রয়েছে বিরাট কোহলির স্বাক্ষর করা ব্যাট– অথবা ওয়াসিম আক্রমের সেই বল।

পার্কসার্কাসের ‘প্যাভেলিয়নে’মিলেমিশে গিয়েছে ক্রিকেট ও রেস্টো ক্যাফে

মনে হতে পারে– এতটা রসাস্বাদন কি করে সম্ভব? শহর কলকাতাতেই সেই অসম্ভবকে সম্ভব করে তুলেছেন এক আদ্যন্ত ক্রিকেটপ্রেমী রেস্তোরাঁ ব্যবসায়ী। এই শহরে শুরু হয়েছে প্রথম ক্রিকেটীয় থিমের রেস্টো ক্যাফে– যার নাম দেওয়া হয়েছে ‘প্যাভেলিয়ন’। রেস্তোরাঁর অন্যতম মালিক অভীক কুন্ডু জানালেন– অজয় নগরে মাল্টিকুইজিন’ রেস্তোরাঁর মধ্যে দিয়েই এই ব্যবসায়û আমার পা রাখা। তবে সব সময় মনের মধ্যে ঘোরাফেরা করত একটু অন্য কিছু করার তাগিদ। ছোট থেকেই খেলাধূলার আবহে বড় হয়ে উঠেছি। নিজেও চুটিয়ে ক্রিকেট খেলেছি। ক্যাটারিং ব্যবসার সৌজন্যে সিএবিতেও নিত্য যাতায়াত। এমনকি আমরা বিভিন্ন খেলার মাঝে বা সিএবির নানা অনুষ্ঠানেও খাবার সরবরাহ করে থাকি। তাই এই শহরের ক্রিকেটপ্রেমীদের জন্য খাবারের সঙ্গে যদি ২২ গজের স্বাদ মিলেমিশে এক করে দেওয়া যায়– সেই ভাবনা থেকেই জন্ম নেয় এই প্যাভেলিয়ন।’

১০১ রকমের স্মারক দিয়ে সাজানো রয়েছে এই রেস্টো ক্যাফেটি। কি নেই এই রেস্টো ক্যাফেতে রয়েছে ধোনি এবং চেন্নাই সুপার কিংসের ক্রিকেটারদের স্বাক্ষরিত জার্সি। ওয়াসিম আক্রমের সেই বল– যা দিয়ে বিশ্বের তাবড় তাবড় ক্রিকেটারদের একটা সময় আউট করেছেন তিনি। রয়েছে বিরাট কোহলির স্বাক্ষর করা ব্যাট। ভারতীয় ক্রিকেটের অন্যতম আইকন সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়ের নানা ধরনের ক্রিকেটীয় মুহূর্তের কোলাজ।

অভীকবাবুর কথায় ২০১৪ সালে শুরু হয় এই রেস্তোরাঁর পথচলা। প্রাক্তন ভারত অধিনায়ক তথা বিবিসিআই প্রেসিডেন্ট সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায় প্যাভেলিয়নকে ক্রিকেটপ্রেমীদের জন্য উন্মুক্ত করে দেন। ভোজনরসিক দাদাকে প্যাভেলিয়ন স্বাগত জানাই মটন বিরিয়ানি এবং চিংড়ি মালাইকারী দিয়ে।’

পার্কসার্কাসের ‘প্যাভেলিয়নে’মিলেমিশে গিয়েছে ক্রিকেট ও রেস্টো ক্যাফে
প্যাভিলিয়নের অন্দরমহল

সৌরভ নিজেও জানিয়েছেন– বিশ্বের নানা দেশে খেলার সুবাদে এই ধরনের ক্রিকেট থিমের নানা ধরনের রেস্তোরাঁ বা রেস্টো ক্যাফে তাঁর চোখে পড়েছে। কিন্তু খোদ কলকাতায় এ রকম ধরনের প্রচেষ্টা এই প্রথম। নিঃসন্দেহে মহানগরীর ক্রিকেটপ্রেমীদের মন জয় করবে এই রেস্টো ক্যাফে।

মাল্টিকুইজিন থেকে স্ন্যাক্স– সঙ্গে চা-কফির বিপুল আয়োজন রয়েছে প্যাভেলিয়নে। শুধু তাই নয়– প্যাভেলিয়ন কর্তৃপক্ষ আরও জানাচ্ছেন– আইপিএলের যে দ্বিতীয় অধ্যায় শুরু হয়েছে– তাতে যেকোনও ক্রিকেটপ্রেমী চলে আসতে পারেন পার্ক সার্কাসের সাত মাথার মোড়ের খুব কাছে এই রেস্টো ক্যাফেতে। মুখরোচক খাবারের সঙ্গে মিলেমিশে এক হয়ে যাবে আইপিএলের উত্তেজনা। শুধু তাই নয়– ১০১ ধরনের স্মারক দিয়ে এই রেস্টো ক্যাফেটি সাজানো হয়েছে। তার প্রত্যেকটির সঙ্গে জড়িয়ে রয়েছে কোনও না কোনও বিশেষ মুহূর্ত। নিছক শুধুমাত্র রেস্তোরাঁ সাজানোর জন্য তা ব্যবহার করা হয়নি। ক্রিকেটারদের টাই– জার্সি– বল সবকিছুই কোনও না কোনও সময় ম্যাচের মধ্যে ব্যবহার করা হয়েছে।দুপুর ১২টা থেকে রাত ১১টা পর্যন্ত খোলা প্যাভেলিয়নের দরজা। ২২ গজের উত্তাপে ক্রিকেটীয় মুহূর্তে একটু অন্যরকম সময় কাটানোর ইচ্ছে হলে একেবারে আদর্শ জায়গা হতে পারে এই রেস্টো ক্যাফে প্যাভেলিয়ন