০৩ জুন ২০২৫, মঙ্গলবার, ১৯ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

পঞ্চায়েত নির্বাচন ঘোষণার উপরে ৯ মার্চ পর্যন্ত অন্তর্বর্তী স্থগিতাদেশ

বিপাশা চক্রবর্তী
  • আপডেট : ২ মার্চ ২০২৩, বৃহস্পতিবার
  • / 24

নিজস্ব প্রতিবেদক:  রাজ্যের পঞ্চায়েত নির্বাচন নিয়ে অনিশ্চয়তার মেঘ কাটল না।  বুধবার গ্রাম বাংলার ভোট ঘোষণার ওপর অন্তর্বর্তী স্থগিতাদেশের মেয়াদ বাড়িয়ে দিল কলকাতা হাইকোর্ট।

প্রধান বিচারপতি প্রকাশ শ্রীবাস্তব ও বিচারপতি রাজর্ষি ভরদ্বাজের ডিভিশন বেঞ্চ এদিন জানিয়ে দিয়েছে, আগামী ৯ মার্চ পর্যন্ত রাজ্যে পঞ্চায়েত ভোটের বিজ্ঞপ্তি জারি করতে পারবে না রাজ্য নির্বাচন কমিশন। ওই দিন মামলার পরবর্তী শুনানি রয়েছে।

আরও পড়ুন: নয়া ক্যাপ্টেন পেল আরসিবি, জেনে নিন কে?

তবে আইনজীবীরা মনে করছেন, আগামী ৩১ মার্চের মধ্যেই রাজ্যের পঞ্চায়েত ভোটের ভাগ্য স্পষ্ট হতে পারে। কেননা, চলতি মাসের শেষ দিনেই অবসর নিচ্ছেন প্রধান বিচারপতি। অবসর নেওয়ার আগে হাতে থাকা যাবতীয় মামলার রায় দিয়ে যেতে পারেন তিনি।

আরও পড়ুন: পবিত্র উমরাহ শুরুর ঘোষণা  

অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতির নজরদারিতে কেন্দ্রীয় বাহিনী দিয়ে পঞ্চায়েত ভোট করানোর দাবি নিয়ে গত বছর ডিসেম্বর মাসে কলকাতা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতির এজলাসে মামলা দায়ের করেছিলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। ওই মামলার প্রথম শুনানিতেই পঞ্চায়েত ভোটের দিনক্ষণ ঘোষণার উপরে স্থগিতাদেশ জারি করেছিল প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চ। তার পরে দফায়-দফায় বেড়েছে সেই অন্তর্বর্তী স্থগিতাদেশের মেয়াদ। আদালতের নিষেধাজ্ঞা থাকায় পঞ্চায়েত ভোটের দিনক্ষণ ঘোষণা করতে পারছে না রাজ্য নির্বাচন কমিশন।

আরও পড়ুন: মনোনয়ন নথি জালিয়াতি মামলায় সিবিআইকে অন্তর্বর্তী স্থগিতাদেশ ডিভিশন বেঞ্চের

যদিও ভোটের জন্য আসন পুনর্বিন্যাস, সংরক্ষণ এবং খসড়া ভোটার তালিকা প্রকাশের মতো গুরুত্বপূর্ণ কাজ সেরে রেখেছেন কমিশনের শীর্ষ আধিকারিকরা। তবে আদালত দফায়-দফায় ভোট ঘোষণার উপরে অন্তর্বর্তী স্থগিতাদেশ বাড়ানোয় মে মাসেও গ্রাম বাংলার ভোট করানো যাবে কিনা তা নিয়ে কিছুটা অনিশ্চিয়তার মধ্যে রয়েছেন তাঁরা। কেননা, যদি কোনও কারণে হাইকোর্ট কেন্দ্রীয় বাহিনী দিয়ে ভোট করানোর নির্দেশ দেয় তাহলে সেই নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে দেশের শীর্ষ আদালতে যেতে পারে রাজ্য সরকার। সেক্ষেত্রে মামলার ভাগ্য নির্ধারিত হতে মে মাস গড়িয়ে যেতে পারে। যদি মে মাসে মামলা গড়ায় তাহলে কোনও মতে ওই মাসে ভোট করানো যাবে না। কেননা, ভোটের বিজ্ঞপ্তি জারির পরে অন্তত ২৮ দিনের মতো সময় লাগবে ভোট প্রক্রিয়া সম্পন্ন করতে।

Copyright © Puber Kalom All rights reserved.| Developed by eTech Builder

পঞ্চায়েত নির্বাচন ঘোষণার উপরে ৯ মার্চ পর্যন্ত অন্তর্বর্তী স্থগিতাদেশ

আপডেট : ২ মার্চ ২০২৩, বৃহস্পতিবার

নিজস্ব প্রতিবেদক:  রাজ্যের পঞ্চায়েত নির্বাচন নিয়ে অনিশ্চয়তার মেঘ কাটল না।  বুধবার গ্রাম বাংলার ভোট ঘোষণার ওপর অন্তর্বর্তী স্থগিতাদেশের মেয়াদ বাড়িয়ে দিল কলকাতা হাইকোর্ট।

প্রধান বিচারপতি প্রকাশ শ্রীবাস্তব ও বিচারপতি রাজর্ষি ভরদ্বাজের ডিভিশন বেঞ্চ এদিন জানিয়ে দিয়েছে, আগামী ৯ মার্চ পর্যন্ত রাজ্যে পঞ্চায়েত ভোটের বিজ্ঞপ্তি জারি করতে পারবে না রাজ্য নির্বাচন কমিশন। ওই দিন মামলার পরবর্তী শুনানি রয়েছে।

আরও পড়ুন: নয়া ক্যাপ্টেন পেল আরসিবি, জেনে নিন কে?

তবে আইনজীবীরা মনে করছেন, আগামী ৩১ মার্চের মধ্যেই রাজ্যের পঞ্চায়েত ভোটের ভাগ্য স্পষ্ট হতে পারে। কেননা, চলতি মাসের শেষ দিনেই অবসর নিচ্ছেন প্রধান বিচারপতি। অবসর নেওয়ার আগে হাতে থাকা যাবতীয় মামলার রায় দিয়ে যেতে পারেন তিনি।

আরও পড়ুন: পবিত্র উমরাহ শুরুর ঘোষণা  

অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতির নজরদারিতে কেন্দ্রীয় বাহিনী দিয়ে পঞ্চায়েত ভোট করানোর দাবি নিয়ে গত বছর ডিসেম্বর মাসে কলকাতা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতির এজলাসে মামলা দায়ের করেছিলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। ওই মামলার প্রথম শুনানিতেই পঞ্চায়েত ভোটের দিনক্ষণ ঘোষণার উপরে স্থগিতাদেশ জারি করেছিল প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চ। তার পরে দফায়-দফায় বেড়েছে সেই অন্তর্বর্তী স্থগিতাদেশের মেয়াদ। আদালতের নিষেধাজ্ঞা থাকায় পঞ্চায়েত ভোটের দিনক্ষণ ঘোষণা করতে পারছে না রাজ্য নির্বাচন কমিশন।

আরও পড়ুন: মনোনয়ন নথি জালিয়াতি মামলায় সিবিআইকে অন্তর্বর্তী স্থগিতাদেশ ডিভিশন বেঞ্চের

যদিও ভোটের জন্য আসন পুনর্বিন্যাস, সংরক্ষণ এবং খসড়া ভোটার তালিকা প্রকাশের মতো গুরুত্বপূর্ণ কাজ সেরে রেখেছেন কমিশনের শীর্ষ আধিকারিকরা। তবে আদালত দফায়-দফায় ভোট ঘোষণার উপরে অন্তর্বর্তী স্থগিতাদেশ বাড়ানোয় মে মাসেও গ্রাম বাংলার ভোট করানো যাবে কিনা তা নিয়ে কিছুটা অনিশ্চিয়তার মধ্যে রয়েছেন তাঁরা। কেননা, যদি কোনও কারণে হাইকোর্ট কেন্দ্রীয় বাহিনী দিয়ে ভোট করানোর নির্দেশ দেয় তাহলে সেই নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে দেশের শীর্ষ আদালতে যেতে পারে রাজ্য সরকার। সেক্ষেত্রে মামলার ভাগ্য নির্ধারিত হতে মে মাস গড়িয়ে যেতে পারে। যদি মে মাসে মামলা গড়ায় তাহলে কোনও মতে ওই মাসে ভোট করানো যাবে না। কেননা, ভোটের বিজ্ঞপ্তি জারির পরে অন্তত ২৮ দিনের মতো সময় লাগবে ভোট প্রক্রিয়া সম্পন্ন করতে।