২০ জুন ২০২৫, শুক্রবার, ৫ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

কাশ্মীরি পণ্ডিতদের উপত্যকায় ফেরাতে সওয়াল মীরওয়াইজের

ইমামা খাতুন
  • আপডেট : ১৭ ফেব্রুয়ারী ২০২৫, সোমবার
  • / 43

শ্রীনগর, ১৭ ফেব্রুয়ারি: কাশ্মীরি পণ্ডিতদের উপত্যকায় ফিরিয়ে আনা পুরোপুরিভাবে মানবিক ইস্যু। একথা বলেছেন হুরিয়ত কনফারেন্সের চেয়ারম্যান মীরওয়াইজ উমর ফারুক। শ্রীনগরে বই প্রকাশের এক অনুষ্ঠানে যোগ দিয়ে মীরওয়াইজ এপ্রসঙ্গে আরও কিছু কথা বলেছেন। তিনি বলেছেন, অনেকে কাশ্মীরি পণ্ডিতদের থাকার জন্যে পৃথক জায়গার কথা বলছেন। এই দাবির কোনও যৌক্তিকতা নেই। জম্মু কাশ্মীরে সংখ্যাগরিষ্ঠ সম্প্রদায়ের মানুষ মুসলমান সম্প্রদায়ের অন্তর্গত। ফলে জম্মুকাশ্মীরের মাটিতে ওঁদের নিরাপত্তা দেওয়ার দায়িত্বও আমাদের।

হুরিয়ত কনফারেন্সের চেয়ারম্যান মীরওয়াইজ উমর ফারুক আরও বলেছেন, আমরা চাই না কাশ্মীরি পণ্ডিতরা তালাচাবি দেওয়া অবস্থায় বসবাস করুন। ওঁরা আমাদের সঙ্গে একত্রে বসবাস করুন। এজন্যে আমরা ওঁদের স্বার্থে কাজ করব। যাতে কাশ্মীরি পণ্ডিতরা জম্মু কাশ্মীরে ফিরতে পারেন, এবিষয়টি গুরুত্ব সহকারে বিবেচনা করা উচিত। ১৯৯০ সালে কাশ্মীরি পণ্ডিতরা যে পরিস্থিতির শিকার হয়েছেন তাও দুভার্গ্যজনক। সমস্যার সমাধানের জন্যে আমাদের পরস্পরের বেদনাকে অনুভব করতে হবে।

আরও পড়ুন: শুধু বিতাড়ন নয়, ধর্ষণের হুমকিও দেওয়া হচ্ছে, চরমে আতঙ্ক কাশ্মীরি ছাত্রীরা

এছাড়া মীরওয়াইজ এও বলেন, জম্মুকাশ্মীরের বাসিন্দা সংখ্যাগুরু সম্প্রদায়ের মানুষজন যে অমানবিকতার শিকার এখানকার সংখ্যালঘু সম্প্রদায়কে এর প্রতিবাদ করতে হবে। যদি জম্মুকাশ্মীরের জামিয়া মসজিদ বন্ধ করে দেওয়া হয় এবং যদি সেখানে প্রার্থনা করতে না দেওয়া হয়, সেক্ষেত্রে এর বিরুদ্ধে পণ্ডিত, শিখ এবং খ্রিস্টানদের একযোগে প্রতিবাদে সামিল হওয়া দরকার।

আরও পড়ুন: নওয়াজকে রাজনীতিতে ফেরাবেন শাহবাজ শরিফ !

আরও পড়ুন: সমস্ত পদক ও সম্মান ফিরিয়ে দিতে চান কুস্তিগীররা

Copyright © Puber Kalom All rights reserved.| Developed by eTech Builder

কাশ্মীরি পণ্ডিতদের উপত্যকায় ফেরাতে সওয়াল মীরওয়াইজের

আপডেট : ১৭ ফেব্রুয়ারী ২০২৫, সোমবার

শ্রীনগর, ১৭ ফেব্রুয়ারি: কাশ্মীরি পণ্ডিতদের উপত্যকায় ফিরিয়ে আনা পুরোপুরিভাবে মানবিক ইস্যু। একথা বলেছেন হুরিয়ত কনফারেন্সের চেয়ারম্যান মীরওয়াইজ উমর ফারুক। শ্রীনগরে বই প্রকাশের এক অনুষ্ঠানে যোগ দিয়ে মীরওয়াইজ এপ্রসঙ্গে আরও কিছু কথা বলেছেন। তিনি বলেছেন, অনেকে কাশ্মীরি পণ্ডিতদের থাকার জন্যে পৃথক জায়গার কথা বলছেন। এই দাবির কোনও যৌক্তিকতা নেই। জম্মু কাশ্মীরে সংখ্যাগরিষ্ঠ সম্প্রদায়ের মানুষ মুসলমান সম্প্রদায়ের অন্তর্গত। ফলে জম্মুকাশ্মীরের মাটিতে ওঁদের নিরাপত্তা দেওয়ার দায়িত্বও আমাদের।

হুরিয়ত কনফারেন্সের চেয়ারম্যান মীরওয়াইজ উমর ফারুক আরও বলেছেন, আমরা চাই না কাশ্মীরি পণ্ডিতরা তালাচাবি দেওয়া অবস্থায় বসবাস করুন। ওঁরা আমাদের সঙ্গে একত্রে বসবাস করুন। এজন্যে আমরা ওঁদের স্বার্থে কাজ করব। যাতে কাশ্মীরি পণ্ডিতরা জম্মু কাশ্মীরে ফিরতে পারেন, এবিষয়টি গুরুত্ব সহকারে বিবেচনা করা উচিত। ১৯৯০ সালে কাশ্মীরি পণ্ডিতরা যে পরিস্থিতির শিকার হয়েছেন তাও দুভার্গ্যজনক। সমস্যার সমাধানের জন্যে আমাদের পরস্পরের বেদনাকে অনুভব করতে হবে।

আরও পড়ুন: শুধু বিতাড়ন নয়, ধর্ষণের হুমকিও দেওয়া হচ্ছে, চরমে আতঙ্ক কাশ্মীরি ছাত্রীরা

এছাড়া মীরওয়াইজ এও বলেন, জম্মুকাশ্মীরের বাসিন্দা সংখ্যাগুরু সম্প্রদায়ের মানুষজন যে অমানবিকতার শিকার এখানকার সংখ্যালঘু সম্প্রদায়কে এর প্রতিবাদ করতে হবে। যদি জম্মুকাশ্মীরের জামিয়া মসজিদ বন্ধ করে দেওয়া হয় এবং যদি সেখানে প্রার্থনা করতে না দেওয়া হয়, সেক্ষেত্রে এর বিরুদ্ধে পণ্ডিত, শিখ এবং খ্রিস্টানদের একযোগে প্রতিবাদে সামিল হওয়া দরকার।

আরও পড়ুন: নওয়াজকে রাজনীতিতে ফেরাবেন শাহবাজ শরিফ !

আরও পড়ুন: সমস্ত পদক ও সম্মান ফিরিয়ে দিতে চান কুস্তিগীররা