১৯ জুন ২০২৫, বৃহস্পতিবার, ৪ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

আজ ৩য় দফা বৈঠকে বসছে ইউক্রেন-রাশিয়া

অর্পিতা লাহিড়ী
  • আপডেট : ৬ মার্চ ২০২২, রবিবার
  • / 39

পুবের কলম ওয়েবডেস্কঃ ইউক্রেনের মারিউপোল শহর থেকে অসামরিক নাগরিকদের নিরাপদে সরে যাওয়ার সুযোগ দেওয়ার লক্ষ্যে এক যুদ্ধবিরতির প্রস্তাবে রাশিয়া ও ইউক্রেন রাজি হয়েছিল। কিন্তু ৪ ঘণ্টার বেশি টেকেনি সেই চুক্তি। রাশিয়া ও ইউক্রেন একে অপরের বিরুদ্ধে যুদ্ধবিরতি লঙ্ঘনের অভিযোগ তুলে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। ফলে এই পরিকল্পনা এখন ভেস্তে গেছে। পূর্ব ইউক্রেনেরে মারিউপোলের বাসিন্দা ৪৪-বছর বয়সী আলেক্সান্ডার বলেন, ‍‌‌‌‌‌‌’আমি এখন শহরের রাস্তায় দাঁড়িয়ে আছি। আমি তিন হতে পাঁচ মিনিট পরপর গোলার শব্দ শুনতে পাচ্ছি। শহরের লোকজনকে বের করে নেওয়ার জন্য যে নিরাপদ করিডোর স্থাপন করা হয়েছে, তা কাজ করছে না। আমি দেখছি যারা পালানোর চেষ্টা করেছিল তারা ফিরে আসছে। একেবারেই বিশৃঙ্খল পরিস্থিতি।’

মারিউপোল শহরের ডেপুটি মেয়র অভিযোগ করেছেন, রুশরা এই যুদ্ধবিরতি লঙ্ঘন করেছে, তারা সেখানে ক্রমাগত গোলাবর্ষণ করে যাচ্ছে। এর ফলে শহর থেকে হাজার হাজার অসামরিক মানুষকে সরিয়ে নেওয়ার পরিকল্পনা তাদেরকে এখন স্থগিত রাখতে হচ্ছে। তবে এই অভিযোগ অস্বীকার করেছে মস্কো। রাশিয়ার প্রতিরক্ষামন্ত্রক বলছে, ইউক্রেনের জাতীয়তাবাদীরাই শহর থেকে অসামরিক মানুষকে বেরোতে বাধা দিচ্ছে। রুশ বাহিনী মানবিককরিডোর তৈরি করতে গেলে সেখানে রুশ বাহিনীর ওপর গুলি চালানো হয়।

আরও পড়ুন: রাষ্ট্রসঙ্ঘের বৈঠকে মোদির প্রশংসায় আপ্লুত ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট

উল্লেখ্য, মারিউপোল শহরে গত কয়েকদিন ধরেই তীব্র লড়াই চলছে। সেখানে পানি এবং বিদ্যুতের সরবরাহ নেই, খাদ্য এবং ওষুধের সংকট দেখা দিয়েছে। ভলনোভাখা শহরেও যুদ্ধ চলছে।  চলমান যুদ্ধের মধ্যে আজ  তৃতীয় দফায় বৈঠকে বসতে যাচ্ছে রাশিয়া ও ইউক্রেনের প্রতিনিধিরা। তবে এবারের বৈঠকটি কোথায় হচ্ছে তা প্রকাশ করা হয়নি। দেশ দুটির মধ্যে প্রথম বৈঠকটি হয় ইউক্রেন-বেলারুশ সীমান্তে। তৃতীয় দফার বৈঠক নিয়ে বিস্তারিত কিছু না জানালেও ফেসবুকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ইউক্রেনের আলোচক ডেভিড আরাখামিয়া। রাশিয়ার তরফ থেকে শুধু বলা হয়েছিল সোমবার বৈঠক হতে পারে। এর আগে বেলারুশের গোমেল অঞ্চলে ইউক্রেন ও রাশিয়ার মধ্যে প্রথম বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। সেখানে দুই দেশের প্রতিনিধি দলের সঙ্গে উপস্থিত ছিলেন বেলারুশের বিদেশমন্ত্রী ভ্লাদিমির মাকেই। কোনও ধরনের চুক্তি ছাড়াই ওই বৈঠক শেষ হয়।

 

 

 

Copyright © Puber Kalom All rights reserved.| Developed by eTech Builder

আজ ৩য় দফা বৈঠকে বসছে ইউক্রেন-রাশিয়া

আপডেট : ৬ মার্চ ২০২২, রবিবার

পুবের কলম ওয়েবডেস্কঃ ইউক্রেনের মারিউপোল শহর থেকে অসামরিক নাগরিকদের নিরাপদে সরে যাওয়ার সুযোগ দেওয়ার লক্ষ্যে এক যুদ্ধবিরতির প্রস্তাবে রাশিয়া ও ইউক্রেন রাজি হয়েছিল। কিন্তু ৪ ঘণ্টার বেশি টেকেনি সেই চুক্তি। রাশিয়া ও ইউক্রেন একে অপরের বিরুদ্ধে যুদ্ধবিরতি লঙ্ঘনের অভিযোগ তুলে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। ফলে এই পরিকল্পনা এখন ভেস্তে গেছে। পূর্ব ইউক্রেনেরে মারিউপোলের বাসিন্দা ৪৪-বছর বয়সী আলেক্সান্ডার বলেন, ‍‌‌‌‌‌‌’আমি এখন শহরের রাস্তায় দাঁড়িয়ে আছি। আমি তিন হতে পাঁচ মিনিট পরপর গোলার শব্দ শুনতে পাচ্ছি। শহরের লোকজনকে বের করে নেওয়ার জন্য যে নিরাপদ করিডোর স্থাপন করা হয়েছে, তা কাজ করছে না। আমি দেখছি যারা পালানোর চেষ্টা করেছিল তারা ফিরে আসছে। একেবারেই বিশৃঙ্খল পরিস্থিতি।’

মারিউপোল শহরের ডেপুটি মেয়র অভিযোগ করেছেন, রুশরা এই যুদ্ধবিরতি লঙ্ঘন করেছে, তারা সেখানে ক্রমাগত গোলাবর্ষণ করে যাচ্ছে। এর ফলে শহর থেকে হাজার হাজার অসামরিক মানুষকে সরিয়ে নেওয়ার পরিকল্পনা তাদেরকে এখন স্থগিত রাখতে হচ্ছে। তবে এই অভিযোগ অস্বীকার করেছে মস্কো। রাশিয়ার প্রতিরক্ষামন্ত্রক বলছে, ইউক্রেনের জাতীয়তাবাদীরাই শহর থেকে অসামরিক মানুষকে বেরোতে বাধা দিচ্ছে। রুশ বাহিনী মানবিককরিডোর তৈরি করতে গেলে সেখানে রুশ বাহিনীর ওপর গুলি চালানো হয়।

আরও পড়ুন: রাষ্ট্রসঙ্ঘের বৈঠকে মোদির প্রশংসায় আপ্লুত ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট

উল্লেখ্য, মারিউপোল শহরে গত কয়েকদিন ধরেই তীব্র লড়াই চলছে। সেখানে পানি এবং বিদ্যুতের সরবরাহ নেই, খাদ্য এবং ওষুধের সংকট দেখা দিয়েছে। ভলনোভাখা শহরেও যুদ্ধ চলছে।  চলমান যুদ্ধের মধ্যে আজ  তৃতীয় দফায় বৈঠকে বসতে যাচ্ছে রাশিয়া ও ইউক্রেনের প্রতিনিধিরা। তবে এবারের বৈঠকটি কোথায় হচ্ছে তা প্রকাশ করা হয়নি। দেশ দুটির মধ্যে প্রথম বৈঠকটি হয় ইউক্রেন-বেলারুশ সীমান্তে। তৃতীয় দফার বৈঠক নিয়ে বিস্তারিত কিছু না জানালেও ফেসবুকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ইউক্রেনের আলোচক ডেভিড আরাখামিয়া। রাশিয়ার তরফ থেকে শুধু বলা হয়েছিল সোমবার বৈঠক হতে পারে। এর আগে বেলারুশের গোমেল অঞ্চলে ইউক্রেন ও রাশিয়ার মধ্যে প্রথম বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। সেখানে দুই দেশের প্রতিনিধি দলের সঙ্গে উপস্থিত ছিলেন বেলারুশের বিদেশমন্ত্রী ভ্লাদিমির মাকেই। কোনও ধরনের চুক্তি ছাড়াই ওই বৈঠক শেষ হয়।