পুবের কলম ওয়েবডেস্ক: কুরবানির ঈদ সামনে রেখে জমজমাট হয়ে উঠেছে পশ্চিমবঙ্গের অন্যতম ঐতিহ্যবাহী পান্ডুয়ার পশু হাট। বিশেষ করে খাশি ও দুম্বা কেনাবেচায় এবারে দেখা গেছে অভূতপূর্ব সাড়া। ঈদের মাত্র পাঁচ দিন বাকি, আর সেই উপলক্ষ্যে হাটে ক্রেতা-বিক্রেতাদের উপচে পড়া ভিড় লক্ষ করা গেছে সোমবারের শেষ হাটে।

ইসলাম ধর্মাবলম্বীদের অন্যতম প্রধান ধর্মীয় উৎসব ঈদুল আযহা, যেটিকে অনেকে বলে কুরবানির ঈদ। এই দিনে মুসলমানরা তাদের সামর্থ্য অনুযায়ী পশু কুরবানি দিয়ে থাকেন। কুরবানির পশু হিসেবে ছাগলের পাশাপাশি দুম্বার চাহিদাও ধীরে ধীরে বাড়ছে। তবে পান্ডুয়ার হাট খাসির জন্যই সবচেয়ে বেশি বিখ্যাত, আর তাই ঈদের আগে এখানে দেখা যায় বিরাট কেনাবেচার ধুম।

এবারের বিশেষ আকর্ষণ ছিল দুম্বা। বিগত কয়েক বছর ধরে অন্যান্য জেলার মতো মালদা ও পান্ডুয়ার হাটেও দুম্বার উপস্থিতি ক্রমেই বাড়ছে। জানা গেছে, দুম্বার দাম শুরু হয়েছে ৭০ হাজার টাকা থেকে, যা গিয়ে ঠেকছে দেড় লক্ষ টাকায়।

এদিন হাটে জেলার বিভিন্ন প্রান্ত ছাড়াও বাইরের জেলা থেকেও অনেক ক্রেতা ও বিক্রেতা আসেন। খাসি কিনতে দেখা গেছে পুরাতন মালদা পুরসভার ভাইস চেয়ারম্যান শফিকুল ইসলামকেও। একাধিক ক্রেতা জানিয়েছেন, অন্যান্য বছরের তুলনায় এবারে খাসির দাম কিছুটা কম, তবে কুরবানি তো দিতেই হবে — তাই কেউ একজন, কেউবা দুই-তিনটি খাসি কিনে নিয়ে যাচ্ছেন।

হরিশ্চন্দ্রপুর থেকে আসা এক খাসি বিক্রেতা জানান, তিনি দীর্ঘদিন ধরে এই হাটে আসেন এবং কুরবানির ঈদকে কেন্দ্র করে ভালোই বেচাকেনা হয়। হাটে এবারও বিক্রির গতি ভালো বলেই জানিয়েছেন তিনি।

এদিকে যানবাহন নিয়ন্ত্রণে গাজোল থানা পুলিশ প্রশাসনের তৎপরতাও চোখে পড়েছে। বিশেষ করে ১২ নম্বর জাতীয় সড়কে যানজট এড়াতে পুলিশের নজরদারি ছিল প্রশংসনীয়।

সার্বিকভাবে বলা যায়, কুরবানির ঈদ উপলক্ষে পান্ডুয়ার পশু হাট রীতিমতো উৎসবের চেহারা নিয়েছে- ধর্মীয় আনুষ্ঠানিকতা আর পশু কেনাবেচার এই মিলনমেলায় খুশির আবহ ছড়িয়ে পড়েছে চারদিকে।