ইউনূস-তারেক বৈঠক: প্রত্যাশার পারদ তুঙ্গে, রাজনৈতিক মহলে জোর চর্চা

- আপডেট : ১০ জুন ২০২৫, মঙ্গলবার
- / 95
পুবের কলম, ওয়েবডেস্ক: লন্ডনে অন্তর্র্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের একটি ‘ওয়ান টু ওয়ান’ বৈঠক আগামী ১৩ জুন অনুষ্ঠিত হতে চলেছে।
নির্বাচন-সংস্কার সহ দেশের চলমান রাজনৈতিক উত্তেজনার আবহে এমন একটি বৈঠকের খবর রাজনৈতিক মহল থেকে শুরু করে সাধারণ মানুষের মধ্যেও আশার সঞ্চার করেছে।
বিএনপির একটি নির্ভরযোগ্য সূত্র মারফত জানা গেছে, লন্ডনের ডরচেস্টার হোটেলে এই প্রথমবার ড. ইউনূস ও তারেক রহমান মুখোমুখি বসছেন।
প্রধান উপদেষ্টার দফতর থেকে এই বৈঠকের আয়োজন করা হয়েছে এবং ইতিমধ্যে তাঁর পক্ষ থেকে তারেক রহমানকে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে।
আগামী ১৩ জুন, স্থানীয় সময় সকাল ৯টা থেকে ১১টা পর্যন্ত, অর্থাৎ প্রায় দুই ঘণ্টা ধরে এই গুরুত্বপূর্ণ বৈঠকটি হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
উল্লেখ্য, প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস চার দিনের সরকারি সফরে গতকাল সোমবার সন্ধ্যা সাড়ে ৭টায় এমিরেটস এয়ারলাইন্সের একটি ফ্লাইটে লন্ডনের উদ্দেশ্যে ঢাকা ছেড়েছেন।
ড. ইউনূস ও তারেক রহমানের বৈঠক নিয়ে সোমবার রাতেই বিএনপির স্থায়ী কমিটি একটি জরুরি বৈঠক করে চেয়ারপারসনের গুলশান কার্যালয়ে।
এই বৈঠকে তারেক রহমান নেতাদের সঙ্গে ড. ইউনূসের সঙ্গে সম্ভাব্য বৈঠক নিয়ে বিশদ আলোচনা করেন এবং বৈঠকে অংশগ্রহণের বিষয়ে সবার মতামত নেন। ড. ইউনূস ও তারেক রহমানের ‘ওয়ান টু ওয়ান’ বৈঠক নিয়ে জানতে চাইলে বিএনপির নেতারা সরাসরি কোনও মন্তব্য না করলেও, বৈঠকের বিষয়ে ইতিবাচক ইঙ্গিত দিয়েছেন। স্থায়ী কমিটির বৈঠকে আগামী নির্বাচন নিয়ে কোনও আলোচনা হয়েছে কি না, এমন প্রশ্নের উত্তরে বিএনপির এক সিনিয়র নেতা জানান যে, এই বিষয়ে ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান ড. ইউনূসের সঙ্গে লন্ডনেই কথা বলবেন।
বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর এই বৈঠককে ‘রাজনীতির জন্য টার্নিং পয়েন্ট’ হিসেবে অভিহিত করেছেন। তিনি বলেছেন যে, আগামী ১৩ জুন লন্ডনের স্থানীয় সময় সকালে, সকাল ৯টা থেকে বেলা ১১টা পর্যন্ত দুই ঘণ্টাব্যাপী এই বৈঠক অনুষ্ঠিত হবে। বিএনপির শীর্ষ নেতাদের ধারণা, প্রথম এই সাক্ষাতের গুরুত্ব অপরিসীম।
বিশেষ করে আগামী নির্বাচনের সময়কাল, নির্বাচন পরবর্তী অন্তর্র্বর্তী সরকারের সম্ভাব্য এজেন্ডা, তারেক রহমানের দেশে ফেরার প্রাসঙ্গিকতা সহ বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ বিষয় নিয়ে দুই নেতার মধ্যে আলোচনা হবে বলে তাঁরা মনে করছেন। এই বৈঠক দেশের ভবিষ্যৎ রাজনৈতিক গতিপথ নির্ধারণে এক নতুন মাত্রা যোগ করতে পারে, এমনটাই আশা করছে রাজনৈতিক মহল।