২৫ জুন ২০২৫, বুধবার, ১০ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

কুলতলিতে ফের  বাঘের কামড়ে মৃত্যু এক মৎস্যজীবির

অর্পিতা লাহিড়ী
  • আপডেট : ২৪ জানুয়ারী ২০২৩, মঙ্গলবার
  • / 65

 

 

আরও পড়ুন: অবশেষে কুলতলিতে খাঁচা বন্দি সুন্দরবনের বাঘ

 

আরও পড়ুন: কুলতলিতে বাঘের পায়ের ছাপ ঘিরে এলাকায় ফের আতঙ্ক

 

আরও পড়ুন: সুন্দরবনের মৈপীঠে ফের বাঘের আতঙ্ক

 

 

উজ্জ্বল বন্দ্যোপাধ্যায়,কুলতলি :সুন্দরবনে বাঘের কামড়ে মৃত্যু মিছিল অব্যাহত। কুলতলিতে আবারও বাঘের আক্রমণে মৃত্যু এক মৎস্যজীবীর।মৃত মৎস্যজীবীর নাম বাসুদেব বৈদ্য, বাড়ি কুলতলির দেউলবাড়ী নাইয়া পাড়া এলাকায়। গত বৃহস্পতিবার বিপ্লব নাইয়া, বিশ্বজিৎ বৈদ্য ও বাসুদেব বৈদ্য কাঁকড়া ধরতে সুন্দরবনের জঙ্গলে গিয়েছিল। কুলতলি ব্লকের দেউলবাড়ী দেবীপুর অঞ্চলের দেউলবাড়ী ২০৫ নাম্বার বুথের  বাসিন্দা বাসুদেব বৈদ্য,বিপ্লব নাইয়া ও  বিশ্বজিৎ বৈদ্য ক্যানিং সুন্দরবন টাইগার রিজার্ভ ফরেস্ট থেকে বৈধ পাশ নিয়ে গত  বৃহস্পতিবার  সকালে কুলতলির দেউলবাড়ী গ্রাম থেকে সুন্দরবনের রিজার্ভ ফরেস্টে কাঁকড়া ধরতে গিয়েছিল।বেশ কয়েকদিন কাঁকড়া  ধরার পর সোমবার সন্ধ্যাকালীন কাঁকড়া ধরার পর নৌকায় বসে গল্প গুজব করার মুহূর্তে বাঘ নৌকার উপর থাকা বাসুদেবের উপর পিছন থেকে ঝাঁপিয়ে পড়ে। সঙ্গে থাকা দুই সহকর্মীরা অসীম সাহসিকতায় বাঘে মানুষের যুদ্ধ করার পর অবশেষে বাঘ রণেভঙ্গ দিয়ে জঙ্গলে ফিরে যায়। পরে বাসুদেবের দেহটি নৌকায় তুলে নিয়ে আসে। তবে নৌকায় আনলে ও শেষ রক্ষা মেলেনি। একমাত্র রোজগারের মৃত্যুতে দেউলবাড়ি নাইয়া পাড়ার বৈদ্য পরিবারে নেমে এসেছে শোকের ছায়া।বাসুদেবের দুই পুত্র অভিজিৎ বৈদ্য(১০) ও  ইন্দ্রজিৎ বৈদ্য (৮)। একমাত্র রোজগেরে ছেলে বাসুদেব বৈদ্য জঙ্গলের ওপর তাঁর জীবিকা নির্বাহ হয়।স্থানীয় সূএে জানা গেল,   সুন্দরবনে BLC-67046  পাস নিয়ে মাছ কাঁকড়া ধরতে গিয়ে মেছুয়ার জঙ্গলে বাঘ বাসুদেব বৈদ্যের উপর আক্রমণ করে কোন ক্রমে সঙ্গীরা ছাড়িয়ে আনলেও কিছুক্ষণের মধ্যে মৃত্যু হয়। তারপর জয়নগর কুলতলি গ্রামীণ হাসপাতাল ও পরে কুলতলি থানা হয়ে মঙ্গলবার  ময়নাতদন্তে পাঠানো হয়।দীর্ঘ দিন বাঘের কামড়ে মৃত ও আহতদের অধিকার ফিরিয়ে দিতে লড়াই চালিয়ে যাচ্ছে এপিডিআর নামে একটি সংগঠন। আর এদিন এই প্রসঙ্গে এপিডিআরের জয়নগর শাখা সম্পাদক মিঠুন মন্ডল বলেন,২০২৩ সালে এপর্যন্ত ৩ জনের বাঘের আক্রমণে মৃত্যু হলো। বাসুদেব বৈদ্য এর স্ত্রী নাবালক দুই ছেলে বাবা মা পরিবারের একমাত্র ইনকামদার ছিলেন।বিকল্প কর্মসংস্থান না পেয়ে জঙ্গলে গিয়ে ক্রমাগত বাঘের কামড়ে মৃত্যু ঘটে চলেছে সুন্দরবনের মৎস্যজীবিদের। আমারা চাই, অবিলম্বে পরিবারের একজনের সরকারি চাকরি দেওয়ার কথা ঘোষণা করতে হবে।

ক্ষতি পূরন এর ৫ লক্ষ টাকা পাইয়ে দিতে হবে কোন কোর বা বাফার এরিয়ার অজুহাত দিয়ে বঞ্চিত করা যাবে না।বাচ্চাদের পড়াশোনার দায়িত্ব নিয়ে হবে।বনদপ্তরের সহ বিডিও থানা, পঞ্চায়েত সরকারি দপ্তরের  কোন টালমাটাল করা চলবেনা।তবে এই মৃত্যু মিছিল কি বন্ধ হবে না সুন্দরবনে।

Copyright © Puber Kalom All rights reserved.| Developed by eTech Builder

কুলতলিতে ফের  বাঘের কামড়ে মৃত্যু এক মৎস্যজীবির

আপডেট : ২৪ জানুয়ারী ২০২৩, মঙ্গলবার

 

 

আরও পড়ুন: অবশেষে কুলতলিতে খাঁচা বন্দি সুন্দরবনের বাঘ

 

আরও পড়ুন: কুলতলিতে বাঘের পায়ের ছাপ ঘিরে এলাকায় ফের আতঙ্ক

 

আরও পড়ুন: সুন্দরবনের মৈপীঠে ফের বাঘের আতঙ্ক

 

 

উজ্জ্বল বন্দ্যোপাধ্যায়,কুলতলি :সুন্দরবনে বাঘের কামড়ে মৃত্যু মিছিল অব্যাহত। কুলতলিতে আবারও বাঘের আক্রমণে মৃত্যু এক মৎস্যজীবীর।মৃত মৎস্যজীবীর নাম বাসুদেব বৈদ্য, বাড়ি কুলতলির দেউলবাড়ী নাইয়া পাড়া এলাকায়। গত বৃহস্পতিবার বিপ্লব নাইয়া, বিশ্বজিৎ বৈদ্য ও বাসুদেব বৈদ্য কাঁকড়া ধরতে সুন্দরবনের জঙ্গলে গিয়েছিল। কুলতলি ব্লকের দেউলবাড়ী দেবীপুর অঞ্চলের দেউলবাড়ী ২০৫ নাম্বার বুথের  বাসিন্দা বাসুদেব বৈদ্য,বিপ্লব নাইয়া ও  বিশ্বজিৎ বৈদ্য ক্যানিং সুন্দরবন টাইগার রিজার্ভ ফরেস্ট থেকে বৈধ পাশ নিয়ে গত  বৃহস্পতিবার  সকালে কুলতলির দেউলবাড়ী গ্রাম থেকে সুন্দরবনের রিজার্ভ ফরেস্টে কাঁকড়া ধরতে গিয়েছিল।বেশ কয়েকদিন কাঁকড়া  ধরার পর সোমবার সন্ধ্যাকালীন কাঁকড়া ধরার পর নৌকায় বসে গল্প গুজব করার মুহূর্তে বাঘ নৌকার উপর থাকা বাসুদেবের উপর পিছন থেকে ঝাঁপিয়ে পড়ে। সঙ্গে থাকা দুই সহকর্মীরা অসীম সাহসিকতায় বাঘে মানুষের যুদ্ধ করার পর অবশেষে বাঘ রণেভঙ্গ দিয়ে জঙ্গলে ফিরে যায়। পরে বাসুদেবের দেহটি নৌকায় তুলে নিয়ে আসে। তবে নৌকায় আনলে ও শেষ রক্ষা মেলেনি। একমাত্র রোজগারের মৃত্যুতে দেউলবাড়ি নাইয়া পাড়ার বৈদ্য পরিবারে নেমে এসেছে শোকের ছায়া।বাসুদেবের দুই পুত্র অভিজিৎ বৈদ্য(১০) ও  ইন্দ্রজিৎ বৈদ্য (৮)। একমাত্র রোজগেরে ছেলে বাসুদেব বৈদ্য জঙ্গলের ওপর তাঁর জীবিকা নির্বাহ হয়।স্থানীয় সূএে জানা গেল,   সুন্দরবনে BLC-67046  পাস নিয়ে মাছ কাঁকড়া ধরতে গিয়ে মেছুয়ার জঙ্গলে বাঘ বাসুদেব বৈদ্যের উপর আক্রমণ করে কোন ক্রমে সঙ্গীরা ছাড়িয়ে আনলেও কিছুক্ষণের মধ্যে মৃত্যু হয়। তারপর জয়নগর কুলতলি গ্রামীণ হাসপাতাল ও পরে কুলতলি থানা হয়ে মঙ্গলবার  ময়নাতদন্তে পাঠানো হয়।দীর্ঘ দিন বাঘের কামড়ে মৃত ও আহতদের অধিকার ফিরিয়ে দিতে লড়াই চালিয়ে যাচ্ছে এপিডিআর নামে একটি সংগঠন। আর এদিন এই প্রসঙ্গে এপিডিআরের জয়নগর শাখা সম্পাদক মিঠুন মন্ডল বলেন,২০২৩ সালে এপর্যন্ত ৩ জনের বাঘের আক্রমণে মৃত্যু হলো। বাসুদেব বৈদ্য এর স্ত্রী নাবালক দুই ছেলে বাবা মা পরিবারের একমাত্র ইনকামদার ছিলেন।বিকল্প কর্মসংস্থান না পেয়ে জঙ্গলে গিয়ে ক্রমাগত বাঘের কামড়ে মৃত্যু ঘটে চলেছে সুন্দরবনের মৎস্যজীবিদের। আমারা চাই, অবিলম্বে পরিবারের একজনের সরকারি চাকরি দেওয়ার কথা ঘোষণা করতে হবে।

ক্ষতি পূরন এর ৫ লক্ষ টাকা পাইয়ে দিতে হবে কোন কোর বা বাফার এরিয়ার অজুহাত দিয়ে বঞ্চিত করা যাবে না।বাচ্চাদের পড়াশোনার দায়িত্ব নিয়ে হবে।বনদপ্তরের সহ বিডিও থানা, পঞ্চায়েত সরকারি দপ্তরের  কোন টালমাটাল করা চলবেনা।তবে এই মৃত্যু মিছিল কি বন্ধ হবে না সুন্দরবনে।