২৫ জুন ২০২৫, বুধবার, ১০ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

কলকাতায় হাজির জোড়া সাইবেরিয়ান বাঘ

কিবরিয়া আনসারি
  • আপডেট : ১০ ডিসেম্বর ২০২৩, রবিবার
  • / 49

পুবের কলম প্রতিবেদক: কলকাতার হাল্কা শীতের আমেজ গায়ে মেখে শনিবার রাতে কলকাতা বিমানবন্দরে হাজির হন দুই সাইবেরিয়ান অতিথি। একজনের নাম লাকা এবং আরেকজনের নাম আকামাস। তবে, এই দুই অতিথি তিলত্তমায় নয়, বাসিন্দা হতে চলেছেন দার্জিলিঙের। শনিবার সাইপ্রাসের পাফস থেকে বিমানে কলকাতায় আনা হয়েছে লাকা আর আকামাস নামে দুই সাইবেরিয়ান বাঘকে। এরপর, তাদের সড়কপথে নিয়ে যাওয়া হয় পদ্মজা নাইডুল হিমালয়ান জুওলজিক্যাল পার্কে। জানা গিয়েছে, শনিবার সন্ধ্যে ৬টা ৫০মিনিট নাগাদ কলকাতায় এসে পৌঁছয় এই দুই সাইবেরিয়ান বাঘ। দুজনেরই বয়স এক বছরের বেশি। এই দুই বাঘের বদলে ভারতের তরফে পাঠানো হয়েছে দুটি লাল পান্ডা।

 

আরও পড়ুন: অবশেষে কুলতলিতে খাঁচা বন্দি সুন্দরবনের বাঘ

শনিবার লাকা এবং আকামাসকে কাঠের বাক্সে করে নিয়ে আসা হয় কলকাতা বিমানবন্দরে। এরপর, কলকাতা বিমানবন্দর থেকে একটি শীততাপ নিয়ন্ত্রিত অ্যাম্বুলেন্সে তাদের রওনা করা হয় শিলিগুড়ির উদ্দেশ্যে। সেখানে বেঙ্গল সাফারি পার্কে নিয়ে যাওয়া হবে বাঘ দুটিকে। এরপর, সেখান থেকে দুটি পৃথক অ্যাম্বুলেন্সে তাদের দার্জিলিঙের চিড়িয়াখানায় নিয়ে যাওয়া হবে।

আরও পড়ুন: কুলতলিতে বাঘের পায়ের ছাপ ঘিরে এলাকায় ফের আতঙ্ক

 

আরও পড়ুন: লাইফ এক মাদারি কা খেল বাবুয়া…………..

এই দুই সাইবেরিয়ান বাঘের যাত্রাপথে যাতে কোনও অসুবিধা না হয়, সেদিকে বিশেষ নজর দেওয়া হয়েছে বলে জানিয়ে দার্জিলিং চিড়িয়াখানার দায়িত্বে থাকা বাসবরাজ হোলাইচি জানিয়েছেন,”আমাদের তরফে একজোড়া রেড পান্ডা পাঠানো হচ্ছে। পরিবর্তে এক জোড়া সাইবেরিয়ান বাঘ আমরা পাব।” পাশাপাশি, জানা গিয়েছে, দার্জিলিং পৌঁছনোর পর এক মাস এই বাঘগুলিকে কোয়ারেন্টাইনে রাখা হতে চলেছে। আগে, দার্জিলিং চিড়িয়াখানাতে সাইবেরিয়ান বাঘ থাকলেও কয়েক বছর আগে তার মৃত্যু হয়।

 

এরপরেই ভারত এবং সাইপ্রাসের মধ্যে দ্বিপাক্ষিক আলোচনা হয় এবং বিনিময় প্রথার মাধ্যমে দুটি লাল পান্ডার বিনিময়ে দুটি বাঘ আনার সিদ্ধান্তে তারা রাজি হয়। প্রসঙ্গত, দার্জিলিঙের এই চিড়িয়াখানাতেই একমাত্র লাল পান্ডার প্রজননের ব্যবস্থা রয়েছে। জানা গিয়েছে, চিড়িয়াখানাতে মোট ৯টি পুরুষ এবং ১৫টি মহিলা লাল পান্ডা ছিল। যার মধ্যে একটি পুরুষ(৬) এবং একটি মহিলা(২) লাল পান্ডাকে বাঘেদের বদলে সাইপ্রাসে পাঠানো হয়েছে।

প্রতিবেদক

কিবরিয়া আনসারি

Kibria obtained a master's degree in journalism from Aliah University. He has been in journalism since 2018, gaining work experience in multiple organizations. Focused and sincere about his work, Kibria is currently employed at the desk of Purber Kalom.

Copyright © Puber Kalom All rights reserved.| Developed by eTech Builder

কলকাতায় হাজির জোড়া সাইবেরিয়ান বাঘ

আপডেট : ১০ ডিসেম্বর ২০২৩, রবিবার

পুবের কলম প্রতিবেদক: কলকাতার হাল্কা শীতের আমেজ গায়ে মেখে শনিবার রাতে কলকাতা বিমানবন্দরে হাজির হন দুই সাইবেরিয়ান অতিথি। একজনের নাম লাকা এবং আরেকজনের নাম আকামাস। তবে, এই দুই অতিথি তিলত্তমায় নয়, বাসিন্দা হতে চলেছেন দার্জিলিঙের। শনিবার সাইপ্রাসের পাফস থেকে বিমানে কলকাতায় আনা হয়েছে লাকা আর আকামাস নামে দুই সাইবেরিয়ান বাঘকে। এরপর, তাদের সড়কপথে নিয়ে যাওয়া হয় পদ্মজা নাইডুল হিমালয়ান জুওলজিক্যাল পার্কে। জানা গিয়েছে, শনিবার সন্ধ্যে ৬টা ৫০মিনিট নাগাদ কলকাতায় এসে পৌঁছয় এই দুই সাইবেরিয়ান বাঘ। দুজনেরই বয়স এক বছরের বেশি। এই দুই বাঘের বদলে ভারতের তরফে পাঠানো হয়েছে দুটি লাল পান্ডা।

 

আরও পড়ুন: অবশেষে কুলতলিতে খাঁচা বন্দি সুন্দরবনের বাঘ

শনিবার লাকা এবং আকামাসকে কাঠের বাক্সে করে নিয়ে আসা হয় কলকাতা বিমানবন্দরে। এরপর, কলকাতা বিমানবন্দর থেকে একটি শীততাপ নিয়ন্ত্রিত অ্যাম্বুলেন্সে তাদের রওনা করা হয় শিলিগুড়ির উদ্দেশ্যে। সেখানে বেঙ্গল সাফারি পার্কে নিয়ে যাওয়া হবে বাঘ দুটিকে। এরপর, সেখান থেকে দুটি পৃথক অ্যাম্বুলেন্সে তাদের দার্জিলিঙের চিড়িয়াখানায় নিয়ে যাওয়া হবে।

আরও পড়ুন: কুলতলিতে বাঘের পায়ের ছাপ ঘিরে এলাকায় ফের আতঙ্ক

 

আরও পড়ুন: লাইফ এক মাদারি কা খেল বাবুয়া…………..

এই দুই সাইবেরিয়ান বাঘের যাত্রাপথে যাতে কোনও অসুবিধা না হয়, সেদিকে বিশেষ নজর দেওয়া হয়েছে বলে জানিয়ে দার্জিলিং চিড়িয়াখানার দায়িত্বে থাকা বাসবরাজ হোলাইচি জানিয়েছেন,”আমাদের তরফে একজোড়া রেড পান্ডা পাঠানো হচ্ছে। পরিবর্তে এক জোড়া সাইবেরিয়ান বাঘ আমরা পাব।” পাশাপাশি, জানা গিয়েছে, দার্জিলিং পৌঁছনোর পর এক মাস এই বাঘগুলিকে কোয়ারেন্টাইনে রাখা হতে চলেছে। আগে, দার্জিলিং চিড়িয়াখানাতে সাইবেরিয়ান বাঘ থাকলেও কয়েক বছর আগে তার মৃত্যু হয়।

 

এরপরেই ভারত এবং সাইপ্রাসের মধ্যে দ্বিপাক্ষিক আলোচনা হয় এবং বিনিময় প্রথার মাধ্যমে দুটি লাল পান্ডার বিনিময়ে দুটি বাঘ আনার সিদ্ধান্তে তারা রাজি হয়। প্রসঙ্গত, দার্জিলিঙের এই চিড়িয়াখানাতেই একমাত্র লাল পান্ডার প্রজননের ব্যবস্থা রয়েছে। জানা গিয়েছে, চিড়িয়াখানাতে মোট ৯টি পুরুষ এবং ১৫টি মহিলা লাল পান্ডা ছিল। যার মধ্যে একটি পুরুষ(৬) এবং একটি মহিলা(২) লাল পান্ডাকে বাঘেদের বদলে সাইপ্রাসে পাঠানো হয়েছে।