অবশেষে কুলতলিতে খাঁচা বন্দি সুন্দরবনের বাঘ

- আপডেট : ১৫ জুন ২০২৫, রবিবার
- / 141
উজ্জ্বল বন্দ্যোপাধ্যায় : দীর্ঘ ২৪ ঘন্টা পর হাঁপ ছেড়ে বাঁচল সুন্দরবনের মানুষ।অবশেষে কুলতলির দেউলবাড়িতে খাঁচাবন্দি হল বাঘ, স্বস্তিতে গ্রামবাসী।স্বস্তি ফিরলো কুলতলির দেউলবাড়ি গ্রামে। শনিবার সকালে কুলতলি ব্লকের দেউলবাড়ি গ্রামে বাঘের পায়ের টাটকা ছাপ দেখে আতঙ্ক ছড়ায় এলাকায়।রবিবার ভোর রাতে খাঁচা বন্দি করা হয়েছে বাঘটিকে।
শনিবার ওই এলাকায় বাঘের ছাপ দেখার পরেই মাইকিং করে বাসিন্দাদের সতর্ক করে চিতুরি বিট অফিসের বন কর্মীরা এবং কুলতলি থানার পুলিশ। সেই সঙ্গেই বাঘের খোঁজ শুরু করে তারা। তাতেও আতঙ্ক কাটেনি বাসিন্দাদের।
শনিবার সকাল থেকে বাঘের পায়ের ছাপ ঘিরে আতঙ্কে কাঁটা হয়ে ছিলেন তাঁরা। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে দ্রুত তৎপর হয় বনদপ্তর এবং কুলতলি থানার পুলিশ।বাঘের খোঁজে নেমে বাঘের অবস্থান খুঁজে পান বন কর্মীরা।একটি ঝোপের মধ্যে বাঘটির অবস্থান নিশ্চিত করার পরেই এলাকাটিকে ঘিরে ফেলা হয়।
সেইসঙ্গেই গ্রামে বাড়তে থাকে জনতা এবং কৌতূহলী মানুষের ভিড়। পুলিশ প্রশাসনের তরফে নিরাপত্তা বলয় তৈরি করে মানুষকে নিরাপদে রাখার চেষ্টা করা হয়।শনিবার বিকালে বাঘটিকে ধরতে দুটি খাঁচা জঙ্গলে বসানো হয়। টোপ হিসেবে রাখা হয় ছাগল।
দীর্ঘক্ষণ নজরদারির পর অবশেষে রবিবার ভোররাতে, তিনটের সময়, পাতা ওই খাঁচার একটিতে ধরা পড়ে বাঘটি।আর তৎক্ষণাৎ বনদপ্তরের কর্মীরা তাকে খাঁচাবন্দি অবস্থায় উদ্ধার করেন।বর্তমানে বাঘটির শারীরিক পরীক্ষা করা হচ্ছে।সব কিছু স্বাভাবিক থাকলে রবিবারই তাকে জঙ্গলের গভীরে ছেড়ে দেওয়াহবে বলে জানালেন জেলা সহ বন আধিকারিক (এ ডি এফ ও) পার্থ মুখার্জি।আর এত বড় বিপদের আশঙ্কা থেকে মুক্ত হয়ে স্বস্তিতে দেউলবাড়ির বাসিন্দারা।