২৪ জুন ২০২৫, মঙ্গলবার, ৯ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

স্বাধীনতার ৭৬  বছর পর কাটল অন্ধকার, বিদ্যুৎ পৌঁছাল কাশ্মীরের  গ্রামে

অর্পিতা লাহিড়ী
  • আপডেট : ৯ জানুয়ারী ২০২৩, সোমবার
  • / 19

 

 

আরও পড়ুন: স্বাধীনতার ৭৬ বছর পরেও রাস্তার অভাবে নিত্য সমস্যায় জেরবার গ্রামবাসীরা

 

পুবের কলম ওয়েবডেস্ক:  কেটে গিয়েছে স্বাধীনতার ৭৫টি বছর, আলোর মুখ দেখেননি গ্রামের মানুষ। দেশজুড়ে যখন পালিত হচ্ছে স্বাধীনতার অমৃতমহোৎসব। তখনও ওঁরা ছিলেন। অবশেষে গ্রামে এলো আলো। স্বাধীনতার ৭৬ বছর পর বিদ্যুৎয়ের আলো চোখে দেখে স্বভাবতই খুশিতে উদ্বেল গ্রামের বাসিন্দারা।

জম্মু-  কাশ্মীরের অনন্তনাগ জেলার পাহাড়ের উপরের ছোট্ট গ্রাম তেথানে। আদিবাসী অধ্যুষিত গ্রাম তেথানে সাকুল্যে ২০০ মানুষের বাস। এই গ্রামের বাসিন্দাদের বিদ্যুৎয়ের আলো পেতে অপেক্ষা করতে হল ৭৬ টি বছর।

 

তেথানে গ্রামের বাসিন্দারা জানিয়েছেন এতগুলো বছর ধরে তারা কাঠের জ্বালে রান্না করে এসেছেন।ছেলেমেয়েদের লেখাপড়া চলত কুপির আলোয়। কেরোসিন বাঁচানোর জন্য সাত তাড়াতাড়ি খেয়ে শুয়ে পড়তেন সকলে। এখন আর সেই চিন্তা নেই।

 

অনন্তনাগ শহর থেকে ৪৫ কিলোমিটার দূরে পাহাড়ের উপরে রীতিমতো দুর্গম জায়গায় অবস্থিত গ্রাম তেথান। সেখানে বিদ্যুৎ পৌঁছে দিয়ে রীতিমতো অসাধ্য সাধন করেছেন বিদ্যুৎ দপ্তরের কর্মীরা। বৈদ্যুতিক বিভাগ সূত্রে জানা গিয়েছে, আলো পৌঁছতে ৬৩টি ট্রান্সফর্মার দেওয়া হয়েছে গ্রামে, ব্যবহৃত হয়েছে  ৩৮টি হাইটেনশন তার। আপাতত ওই গ্রামের ৬০টি বাড়িতেই এসেছে আলো।

Copyright © Puber Kalom All rights reserved.| Developed by eTech Builder

স্বাধীনতার ৭৬  বছর পর কাটল অন্ধকার, বিদ্যুৎ পৌঁছাল কাশ্মীরের  গ্রামে

আপডেট : ৯ জানুয়ারী ২০২৩, সোমবার

 

 

আরও পড়ুন: স্বাধীনতার ৭৬ বছর পরেও রাস্তার অভাবে নিত্য সমস্যায় জেরবার গ্রামবাসীরা

 

পুবের কলম ওয়েবডেস্ক:  কেটে গিয়েছে স্বাধীনতার ৭৫টি বছর, আলোর মুখ দেখেননি গ্রামের মানুষ। দেশজুড়ে যখন পালিত হচ্ছে স্বাধীনতার অমৃতমহোৎসব। তখনও ওঁরা ছিলেন। অবশেষে গ্রামে এলো আলো। স্বাধীনতার ৭৬ বছর পর বিদ্যুৎয়ের আলো চোখে দেখে স্বভাবতই খুশিতে উদ্বেল গ্রামের বাসিন্দারা।

জম্মু-  কাশ্মীরের অনন্তনাগ জেলার পাহাড়ের উপরের ছোট্ট গ্রাম তেথানে। আদিবাসী অধ্যুষিত গ্রাম তেথানে সাকুল্যে ২০০ মানুষের বাস। এই গ্রামের বাসিন্দাদের বিদ্যুৎয়ের আলো পেতে অপেক্ষা করতে হল ৭৬ টি বছর।

 

তেথানে গ্রামের বাসিন্দারা জানিয়েছেন এতগুলো বছর ধরে তারা কাঠের জ্বালে রান্না করে এসেছেন।ছেলেমেয়েদের লেখাপড়া চলত কুপির আলোয়। কেরোসিন বাঁচানোর জন্য সাত তাড়াতাড়ি খেয়ে শুয়ে পড়তেন সকলে। এখন আর সেই চিন্তা নেই।

 

অনন্তনাগ শহর থেকে ৪৫ কিলোমিটার দূরে পাহাড়ের উপরে রীতিমতো দুর্গম জায়গায় অবস্থিত গ্রাম তেথান। সেখানে বিদ্যুৎ পৌঁছে দিয়ে রীতিমতো অসাধ্য সাধন করেছেন বিদ্যুৎ দপ্তরের কর্মীরা। বৈদ্যুতিক বিভাগ সূত্রে জানা গিয়েছে, আলো পৌঁছতে ৬৩টি ট্রান্সফর্মার দেওয়া হয়েছে গ্রামে, ব্যবহৃত হয়েছে  ৩৮টি হাইটেনশন তার। আপাতত ওই গ্রামের ৬০টি বাড়িতেই এসেছে আলো।