২৫ জুন ২০২৫, বুধবার, ১০ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

১০ থেকে ১৬ ডিসেম্বর মানবাধিকার সপ্তাহ পালন করবে এপিসিআর

ইমামা খাতুন
  • আপডেট : ১০ ডিসেম্বর ২০২২, শনিবার
  • / 20

পুবের কলম ওয়েব ডেস্ক: বিশ্ব মানবাধিকার দিবস উপলক্ষে শনিবার সাংবাদিক সম্মেলন করল এপিসিআর। এ দিন কলকাতার কুমেদান বাগান লেনে আবদুল ফাত্তাহ অডিটোরিয়ামে মানবাধিকার সংগঠন অ্যাসোসিয়েশন ফর প্রোটেকশন অফ সিভিল রাইটস-এর পক্ষে উপস্থিত ছিলেন রাজ্য আহ্বায়ক মুহাম্মদ আবদুস সামাদ, উপদেষ্টা কমিটির সদস্য রফিকুল ইসলাম ও ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং টিমের ইনচার্জ সৈয়দ ইমতিয়াজ আলি। উপস্থিত সাংবাদিকদের সামনে তাঁরা বলেন, দেশের বর্তমান পরিস্থিতি খুবই সংকটজনক। জাতি, ধর্ম, বর্ণ নির্বিশেষে কোনও নাগরিকের মানবাধিকার সুরক্ষিত নয়।

 

আরও পড়ুন: হিটলারের বাড়িতে মানবাধিকার প্রশিক্ষণ!

আইন, প্রশাসন, সরকার সবকিছু থাকা সত্ত্বেও অশুভ শক্তি সমানে দাপিয়ে বেড়াচ্ছে। আইনকে তারা বুড়ো আঙুল দেখিয়ে অবাধে মানুষের সব ধরনের অধিকার লঙ্ঘন করছে, কেড়ে নিচ্ছে। আজকের দিনে মানুষের বেঁচে থাকার অধিকার পর্যন্ত গ্যারান্টি দিতে পারছে না কেউ। এমতাবস্থায় এপিসিআর স্লোগান তুলেছে ‘আমাদের সংবিধান, আমাদের অধিকার। এসো আমরা এক হই, রুখি যত অবিচার’। তাঁরা আরও বলেন, সবথেকে বেশি লঙ্ঘিত হচ্ছে নারীজাতির সম্মান, ইজ্জত, মর্যাদা ও অধিকার। এর থেকে লজ্জার আর কী হতে পারে, সে প্রশ্ন তোলেন এপিসিআর নেতৃত্ব। মানবাধিকার সুনিশ্চিত করার লক্ষ্যে ১০ থেকে ১৬ ডিসেম্বর ২০২২ এক সপ্তাহব্যাপী রাজ্যজুড়ে প্রচার অভিযান হাতে নিয়েছে বলেও জানান তাঁরা।

আরও পড়ুন: মানবাধিকারের পরিধি বাড়াতে হবে : মুর্মু

 

আরও পড়ুন: সংখ্যালঘুর মানবাধিকার রক্ষায় ভারতকে দায়িত্ব মনে করালেন জাতিসংঘ প্রধান

দেশের বিভিন্ন প্রান্তে মানবধিকার লঙ্ঘনের ঘটনা দেশবাসীকে উদ্বেগজনক পরিস্থিতির সম্মুখীন করেছে। সংবিধানের মৌলিক বৈশিষ্ট্যের উপর আঘাত হানার প্রয়াস কোনও কোনও মহল থেকে করা হচ্ছে। অসহিষ্ণুতার উদ্বেগজনক পরিস্থিতির উদ্ভব হয়েছে। দেশের ধর্মনিরপেক্ষ চরিত্রের উপর আঘাত হানার সাম্প্রদায়িক শক্তির প্রচেষ্টা নাগরিক সমাজ ও বিদ্বজ্জনদের উৎকণ্ঠিত করে তুলেছে। মানুষের উপর আক্রমণ পরিলক্ষিত হচ্ছে। ধর্মাচরণের স্বাধীনতা, চিন্তা ও মত প্রকাশের স্বাধীনতা, পেশা গ্রহণ ও নিজ নিজ সংস্কৃতির লালন- পালনের অধিকার সংবিধান দিয়েছে।

 

তাতে ভারতের বহুত্ববাদী চিন্তাকে পরিপুষ্ট করেছে। সম্প্রতি দাদরির ঘটনা, গোবিন্দ পানসারে, কালবুর্গি ও দাভোলকার ও গৌরী লঙ্কেশ হত্যা সংবিধান প্রদত্ত অধিকারকে ইচ্ছাকৃতভাবে পদদলিত করার যে প্রয়াস চালানো হয়েছে, তা নিন্দনীয়। এপিসিআর এই ধরনের অপকর্মের তীব্র ভাষায় ধিক্কার জানাই। ভারতের সংবিধানের মৌল কাঠামোকে পরিবর্তন করার যেকোনও অপচেষ্টাকে এপিসিআর জনমত গঠন করে রোখার চেষ্টা চালাবে।

Copyright © Puber Kalom All rights reserved.| Developed by eTech Builder

১০ থেকে ১৬ ডিসেম্বর মানবাধিকার সপ্তাহ পালন করবে এপিসিআর

আপডেট : ১০ ডিসেম্বর ২০২২, শনিবার

পুবের কলম ওয়েব ডেস্ক: বিশ্ব মানবাধিকার দিবস উপলক্ষে শনিবার সাংবাদিক সম্মেলন করল এপিসিআর। এ দিন কলকাতার কুমেদান বাগান লেনে আবদুল ফাত্তাহ অডিটোরিয়ামে মানবাধিকার সংগঠন অ্যাসোসিয়েশন ফর প্রোটেকশন অফ সিভিল রাইটস-এর পক্ষে উপস্থিত ছিলেন রাজ্য আহ্বায়ক মুহাম্মদ আবদুস সামাদ, উপদেষ্টা কমিটির সদস্য রফিকুল ইসলাম ও ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং টিমের ইনচার্জ সৈয়দ ইমতিয়াজ আলি। উপস্থিত সাংবাদিকদের সামনে তাঁরা বলেন, দেশের বর্তমান পরিস্থিতি খুবই সংকটজনক। জাতি, ধর্ম, বর্ণ নির্বিশেষে কোনও নাগরিকের মানবাধিকার সুরক্ষিত নয়।

 

আরও পড়ুন: হিটলারের বাড়িতে মানবাধিকার প্রশিক্ষণ!

আইন, প্রশাসন, সরকার সবকিছু থাকা সত্ত্বেও অশুভ শক্তি সমানে দাপিয়ে বেড়াচ্ছে। আইনকে তারা বুড়ো আঙুল দেখিয়ে অবাধে মানুষের সব ধরনের অধিকার লঙ্ঘন করছে, কেড়ে নিচ্ছে। আজকের দিনে মানুষের বেঁচে থাকার অধিকার পর্যন্ত গ্যারান্টি দিতে পারছে না কেউ। এমতাবস্থায় এপিসিআর স্লোগান তুলেছে ‘আমাদের সংবিধান, আমাদের অধিকার। এসো আমরা এক হই, রুখি যত অবিচার’। তাঁরা আরও বলেন, সবথেকে বেশি লঙ্ঘিত হচ্ছে নারীজাতির সম্মান, ইজ্জত, মর্যাদা ও অধিকার। এর থেকে লজ্জার আর কী হতে পারে, সে প্রশ্ন তোলেন এপিসিআর নেতৃত্ব। মানবাধিকার সুনিশ্চিত করার লক্ষ্যে ১০ থেকে ১৬ ডিসেম্বর ২০২২ এক সপ্তাহব্যাপী রাজ্যজুড়ে প্রচার অভিযান হাতে নিয়েছে বলেও জানান তাঁরা।

আরও পড়ুন: মানবাধিকারের পরিধি বাড়াতে হবে : মুর্মু

 

আরও পড়ুন: সংখ্যালঘুর মানবাধিকার রক্ষায় ভারতকে দায়িত্ব মনে করালেন জাতিসংঘ প্রধান

দেশের বিভিন্ন প্রান্তে মানবধিকার লঙ্ঘনের ঘটনা দেশবাসীকে উদ্বেগজনক পরিস্থিতির সম্মুখীন করেছে। সংবিধানের মৌলিক বৈশিষ্ট্যের উপর আঘাত হানার প্রয়াস কোনও কোনও মহল থেকে করা হচ্ছে। অসহিষ্ণুতার উদ্বেগজনক পরিস্থিতির উদ্ভব হয়েছে। দেশের ধর্মনিরপেক্ষ চরিত্রের উপর আঘাত হানার সাম্প্রদায়িক শক্তির প্রচেষ্টা নাগরিক সমাজ ও বিদ্বজ্জনদের উৎকণ্ঠিত করে তুলেছে। মানুষের উপর আক্রমণ পরিলক্ষিত হচ্ছে। ধর্মাচরণের স্বাধীনতা, চিন্তা ও মত প্রকাশের স্বাধীনতা, পেশা গ্রহণ ও নিজ নিজ সংস্কৃতির লালন- পালনের অধিকার সংবিধান দিয়েছে।

 

তাতে ভারতের বহুত্ববাদী চিন্তাকে পরিপুষ্ট করেছে। সম্প্রতি দাদরির ঘটনা, গোবিন্দ পানসারে, কালবুর্গি ও দাভোলকার ও গৌরী লঙ্কেশ হত্যা সংবিধান প্রদত্ত অধিকারকে ইচ্ছাকৃতভাবে পদদলিত করার যে প্রয়াস চালানো হয়েছে, তা নিন্দনীয়। এপিসিআর এই ধরনের অপকর্মের তীব্র ভাষায় ধিক্কার জানাই। ভারতের সংবিধানের মৌল কাঠামোকে পরিবর্তন করার যেকোনও অপচেষ্টাকে এপিসিআর জনমত গঠন করে রোখার চেষ্টা চালাবে।