৩০ জুন ২০২৫, সোমবার, ১৫ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

‘রূপশ্রী’ প্রকল্পে পরিষেবা প্রদানে রেকর্ড বিধাননগর পুরসভার

চামেলি দাস
  • আপডেট : ৩০ জুন ২০২৫, সোমবার
  • / 19

পুবের কলম ওয়েবডেস্ক: রাজ্য সরকারের ‘রূপশ্রী’ প্রকল্পের আওতায় পরিষেবা দেওয়ার নিরিখে রেকর্ড গড়ল বিধাননগর পুরসভা। সম্প্রতি এমনই একটি রিপোর্ট তুলে ধরে এই সাফল্য নজিরবিহীন বলে দাবি পুর আধিকারিকদের। ২০১৮-১৯ অর্থবর্ষে আর্থিকভাবে পিছিয়ে পড়া পরিবারগুলির মেয়েদের বিয়ের সংস্থান করতে রূপশ্রী প্রকল্পটি চালু করেন  মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।

বর্তমানে সামাজিক এই প্রকল্পটির জনপ্রিয়তা তুঙ্গে উঠেছে। এই প্রকল্পের আওতায় আবেদন করলে প্রশাসনের তরফে ‘ফিল্ড ভেরিফিকেশন’-এর পর উপভোক্তা এককালীন ২৫ হাজার টাকা পান।  সম্প্রতি, জানা গিয়েছে, রাজ্যের সব পুরসভার ও পঞ্চায়েত স্তরে এই আবেদনকারীদের মধ্যে শীর্ষস্থানে রয়েছে বিধাননগর পুরসভার নাম।

সল্টলেক ও রাজারহাট মিলিয়ে বিধাননগর পুরসভার অধীনে মোট ৪১টি ওয়ার্ড রয়েছে। প্রতি বছর রূপশ্রী প্রকল্পের কাজে এই পুরসভায় উপভোক্তার সংখ্যা ক্রমশ বেড়েছে। কর্তৃপক্ষের দেওয়া একটি পরিসংখ্যান বলছে, ২০১৮-১৯ থেকে ২০২৫-২৬ অর্থবর্ষ জুন মাস পর্যন্ত এই আট বছরে রাজ্য সরকারের রূপশ্রী প্রকল্পে বিধাননগর পুরসভায় মোট উপভোক্তার সংখ্যা ২,৮৮৮। আর প্রকল্পে মোট খরচের পরিমাণ ৭ কোটি ২২ লক্ষ টাকা।

বিধাননগর পুরসভা সূত্রে খবর, পরিসংখ্যান অনুযায়ী সবচেয়ে বেশি পরিষেবা পেয়েছেন রাজারহাট অংশের বাসিন্দারা। তালিকায় রয়েছে নারায়ণপুর অঞ্চলের ১, ২, ৩, ৪, ৫ নম্বর ওয়ার্ড। কৈখালি ৬ ও ৭ নম্বর ওয়ার্ড ও চিনারপার্ক সংলগ্ন ১২ ও ১৩ নম্বর ওয়ার্ড ইত্যাদি। এই তথ্য তুলে ধরে বিধাননগর পুরসভার মেয়র কৃষ্ণা চক্রবর্তী বলেন,  ‘সমাজের বিবাহযোগ্য কন্যার অভিভাবকদের পাশে দাঁড়াতে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মস্তিষ্কপ্রসূত এই প্রকল্পে আমরা গুরুত্ব সহকারে কাজ করছি। এটি তারই সাফল্য।’

রূপশ্রী প্রকল্পের দায়িত্বপ্রাপ্ত অফিসার অংশুমান ধর বলেন,  ‘রূপশ্রী প্রকল্পের কাজে কলকাতা, হাওড়া, আসানসোল পুরনিগমের তুলনায় বিধাননগর শীর্ষস্থানে রয়েছে। সব মিলিয়ে এই আর্থিক বছরগুলিতে উপকৃতের সংখ্যা ২,৮৮৮। আর মোট খরচের পরিমাণ ৭ কোটি ২২ লক্ষ টাকা।’

Tag :

Copyright © Puber Kalom All rights reserved.| Developed by eTech Builder

‘রূপশ্রী’ প্রকল্পে পরিষেবা প্রদানে রেকর্ড বিধাননগর পুরসভার

আপডেট : ৩০ জুন ২০২৫, সোমবার

পুবের কলম ওয়েবডেস্ক: রাজ্য সরকারের ‘রূপশ্রী’ প্রকল্পের আওতায় পরিষেবা দেওয়ার নিরিখে রেকর্ড গড়ল বিধাননগর পুরসভা। সম্প্রতি এমনই একটি রিপোর্ট তুলে ধরে এই সাফল্য নজিরবিহীন বলে দাবি পুর আধিকারিকদের। ২০১৮-১৯ অর্থবর্ষে আর্থিকভাবে পিছিয়ে পড়া পরিবারগুলির মেয়েদের বিয়ের সংস্থান করতে রূপশ্রী প্রকল্পটি চালু করেন  মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।

বর্তমানে সামাজিক এই প্রকল্পটির জনপ্রিয়তা তুঙ্গে উঠেছে। এই প্রকল্পের আওতায় আবেদন করলে প্রশাসনের তরফে ‘ফিল্ড ভেরিফিকেশন’-এর পর উপভোক্তা এককালীন ২৫ হাজার টাকা পান।  সম্প্রতি, জানা গিয়েছে, রাজ্যের সব পুরসভার ও পঞ্চায়েত স্তরে এই আবেদনকারীদের মধ্যে শীর্ষস্থানে রয়েছে বিধাননগর পুরসভার নাম।

সল্টলেক ও রাজারহাট মিলিয়ে বিধাননগর পুরসভার অধীনে মোট ৪১টি ওয়ার্ড রয়েছে। প্রতি বছর রূপশ্রী প্রকল্পের কাজে এই পুরসভায় উপভোক্তার সংখ্যা ক্রমশ বেড়েছে। কর্তৃপক্ষের দেওয়া একটি পরিসংখ্যান বলছে, ২০১৮-১৯ থেকে ২০২৫-২৬ অর্থবর্ষ জুন মাস পর্যন্ত এই আট বছরে রাজ্য সরকারের রূপশ্রী প্রকল্পে বিধাননগর পুরসভায় মোট উপভোক্তার সংখ্যা ২,৮৮৮। আর প্রকল্পে মোট খরচের পরিমাণ ৭ কোটি ২২ লক্ষ টাকা।

বিধাননগর পুরসভা সূত্রে খবর, পরিসংখ্যান অনুযায়ী সবচেয়ে বেশি পরিষেবা পেয়েছেন রাজারহাট অংশের বাসিন্দারা। তালিকায় রয়েছে নারায়ণপুর অঞ্চলের ১, ২, ৩, ৪, ৫ নম্বর ওয়ার্ড। কৈখালি ৬ ও ৭ নম্বর ওয়ার্ড ও চিনারপার্ক সংলগ্ন ১২ ও ১৩ নম্বর ওয়ার্ড ইত্যাদি। এই তথ্য তুলে ধরে বিধাননগর পুরসভার মেয়র কৃষ্ণা চক্রবর্তী বলেন,  ‘সমাজের বিবাহযোগ্য কন্যার অভিভাবকদের পাশে দাঁড়াতে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মস্তিষ্কপ্রসূত এই প্রকল্পে আমরা গুরুত্ব সহকারে কাজ করছি। এটি তারই সাফল্য।’

রূপশ্রী প্রকল্পের দায়িত্বপ্রাপ্ত অফিসার অংশুমান ধর বলেন,  ‘রূপশ্রী প্রকল্পের কাজে কলকাতা, হাওড়া, আসানসোল পুরনিগমের তুলনায় বিধাননগর শীর্ষস্থানে রয়েছে। সব মিলিয়ে এই আর্থিক বছরগুলিতে উপকৃতের সংখ্যা ২,৮৮৮। আর মোট খরচের পরিমাণ ৭ কোটি ২২ লক্ষ টাকা।’