২০ জুন ২০২৫, শুক্রবার, ৫ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

রাজ্যে প্রথম বোন ব্যাঙ্ক হচ্ছে আর জি করে

বিপাশা চক্রবর্তী
  • আপডেট : ১৮ জুন ২০২৩, রবিবার
  • / 50

পুবের কলম প্রতিবেদক:  হা‌ড়ে অপা‌রেশন করার সময় অস্থিসন্ধিতে যে প্লেট বসানো হয় সেই থেকে কোনও কোনও রোগীর সংক্রমণ দেখা যায়। সেই সমস‌্যা দূর কর‌তে এবার অর্থোপেডিক চিকিৎসার নতুন দিশা দেখাচ্ছে আরজি কর মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতাল। মানুষের ভাঙা জায়গায় ব্যবহার হবে মানুষেরই হাড়! রাজ্যে গড়ে উঠতে চলেছে প্রথম বোন ব্যাঙ্ক।

অস্থি অন্ত্রোপচার করার সময় বর্তমানে সেখানে প্লেট লাগানো হয়। অস্থিসন্ধিতে যে প্লেট বসানো হয় সেই থেকে কোনও কোনও রোগীর সংক্রমণ দেখা যায়। তখন সংক্রমণ কমানোর জন্য অ্যান্টিবায়োটিক ইঞ্জেকশন বা স্যালাইনের মাধ্যমে রোগীর শরীরে ওষুধ দেওয়া হয়। তবে সেই সমস্যা দূর করতেই নয়া ব্যবস্থা।

আরও পড়ুন: রাজ্যের নয়া মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিক মনোজ আগরওয়াল

এই বিষয়ে আরও এগোতে দুই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে কথা হয়েছে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের। আইআইটি খড়্গপুরের টিস্যু ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের সঙ্গে একদফা আলোচনা হয়েছে আরজি কর অর্থোপেডিক বিভাগের চিকিৎসকদের। ভাঙা হাড়ের অস্ত্রোপচার হলে হাড়ের মধ্যে গ্যাপ তৈরি হয়। এখন শরীরের অন্য অংশের হাড় কেটে নিয়ে সেই গ্যাপ পূরণের চেষ্টা করা হয়। এর জন্য এমন বিকল্প কিছু তৈরির কথা ভাবা হচ্ছে যা  শরীরে প্রবেশ করানোর পর ধীরে ধীরে শরীরেই মিশে গিয়ে ভাঙা হাড়ের মধ্যেকার ফাঁক পূর্ণ করবে। মৃত্যুর পর ইমপ্ল্যান্ট, প্লেট বের করার প্রয়োজন পড়বে না। টিস্যুর সাহায্যে এমন একটা স্তর তৈরি করা হবে যা হাড়কে জুড়ে রাখতে সাহায্য করবে এবং শরীরে মিশে যাবে৷

আরও পড়ুন: সউদি আরবে বহু খালি জায়গা, সেখানে ফিলিস্তিনি রাষ্ট্র হোক : নেতানিয়াহু

যাদবপুরের সেন্ট্রাল গ্লাস অ্যান্ড সেরামিক রিসার্চ ইনস্টিটিউটের সঙ্গে আলোচনা করে ঠিক হবে নতুন করে কোনও পদ্ধতি অবলম্বন করা যায় কি না। এক ধরনের সেরামিক বল, যেগুলি পুঁথির মতো দেখতে এরকম কিছু বানানোর চেষ্টা করা হবে। পুঁথিগুলির মধ্যে অ্যান্টিবায়োটিক ওষুধ ঢুকিয়ে বা পুঁথির মধ্যে গুঁজে রোগীর শরীরের ক্ষতস্থানে ঢুকিয়ে সেলাই করে দেওয়া হবে। ওষুধটি শরীরে গিয়ে কাজ করবে, তারপর ধীরে ধীরে মিশে যাবে। ৪২-৬২ দিনের মধ্যে অ্যান্টিবায়োটিক ওষুধটি মিশে যাবে শরীরে। এ‌তে চি‌কিৎসা ক্ষে‌ত্রে সু‌বিধা হ‌বে সাধারন মানু‌ষের।

আরও পড়ুন: ডাক্তারি পড়ুয়াদের জাতিগত শংসাপত্র তলব করলো হাইকোর্ট

Copyright © Puber Kalom All rights reserved.| Developed by eTech Builder

রাজ্যে প্রথম বোন ব্যাঙ্ক হচ্ছে আর জি করে

আপডেট : ১৮ জুন ২০২৩, রবিবার

পুবের কলম প্রতিবেদক:  হা‌ড়ে অপা‌রেশন করার সময় অস্থিসন্ধিতে যে প্লেট বসানো হয় সেই থেকে কোনও কোনও রোগীর সংক্রমণ দেখা যায়। সেই সমস‌্যা দূর কর‌তে এবার অর্থোপেডিক চিকিৎসার নতুন দিশা দেখাচ্ছে আরজি কর মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতাল। মানুষের ভাঙা জায়গায় ব্যবহার হবে মানুষেরই হাড়! রাজ্যে গড়ে উঠতে চলেছে প্রথম বোন ব্যাঙ্ক।

অস্থি অন্ত্রোপচার করার সময় বর্তমানে সেখানে প্লেট লাগানো হয়। অস্থিসন্ধিতে যে প্লেট বসানো হয় সেই থেকে কোনও কোনও রোগীর সংক্রমণ দেখা যায়। তখন সংক্রমণ কমানোর জন্য অ্যান্টিবায়োটিক ইঞ্জেকশন বা স্যালাইনের মাধ্যমে রোগীর শরীরে ওষুধ দেওয়া হয়। তবে সেই সমস্যা দূর করতেই নয়া ব্যবস্থা।

আরও পড়ুন: রাজ্যের নয়া মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিক মনোজ আগরওয়াল

এই বিষয়ে আরও এগোতে দুই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে কথা হয়েছে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের। আইআইটি খড়্গপুরের টিস্যু ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের সঙ্গে একদফা আলোচনা হয়েছে আরজি কর অর্থোপেডিক বিভাগের চিকিৎসকদের। ভাঙা হাড়ের অস্ত্রোপচার হলে হাড়ের মধ্যে গ্যাপ তৈরি হয়। এখন শরীরের অন্য অংশের হাড় কেটে নিয়ে সেই গ্যাপ পূরণের চেষ্টা করা হয়। এর জন্য এমন বিকল্প কিছু তৈরির কথা ভাবা হচ্ছে যা  শরীরে প্রবেশ করানোর পর ধীরে ধীরে শরীরেই মিশে গিয়ে ভাঙা হাড়ের মধ্যেকার ফাঁক পূর্ণ করবে। মৃত্যুর পর ইমপ্ল্যান্ট, প্লেট বের করার প্রয়োজন পড়বে না। টিস্যুর সাহায্যে এমন একটা স্তর তৈরি করা হবে যা হাড়কে জুড়ে রাখতে সাহায্য করবে এবং শরীরে মিশে যাবে৷

আরও পড়ুন: সউদি আরবে বহু খালি জায়গা, সেখানে ফিলিস্তিনি রাষ্ট্র হোক : নেতানিয়াহু

যাদবপুরের সেন্ট্রাল গ্লাস অ্যান্ড সেরামিক রিসার্চ ইনস্টিটিউটের সঙ্গে আলোচনা করে ঠিক হবে নতুন করে কোনও পদ্ধতি অবলম্বন করা যায় কি না। এক ধরনের সেরামিক বল, যেগুলি পুঁথির মতো দেখতে এরকম কিছু বানানোর চেষ্টা করা হবে। পুঁথিগুলির মধ্যে অ্যান্টিবায়োটিক ওষুধ ঢুকিয়ে বা পুঁথির মধ্যে গুঁজে রোগীর শরীরের ক্ষতস্থানে ঢুকিয়ে সেলাই করে দেওয়া হবে। ওষুধটি শরীরে গিয়ে কাজ করবে, তারপর ধীরে ধীরে মিশে যাবে। ৪২-৬২ দিনের মধ্যে অ্যান্টিবায়োটিক ওষুধটি মিশে যাবে শরীরে। এ‌তে চি‌কিৎসা ক্ষে‌ত্রে সু‌বিধা হ‌বে সাধারন মানু‌ষের।

আরও পড়ুন: ডাক্তারি পড়ুয়াদের জাতিগত শংসাপত্র তলব করলো হাইকোর্ট