উত্তাল আমতা, থানায় ইটবৃষ্টি! পরিস্থিতি শান্ত রাখার আবেদন আনিসের বাবার

- আপডেট : ২৪ ফেব্রুয়ারী ২০২২, বৃহস্পতিবার
- / 20
পুবের কলম, ওয়েবডেস্কঃ আনিস খুবে সঠিক বিচারের দাবিতে রণক্ষেত্র আমতা। চলছে দফায় দফায় বিক্ষোভ থেকে ব্যারিকেড ভাঙার চেষ্টা। এদিন আমতা থানায় কথা বলতে আনিসের বাবা সহ ৬ জন প্রতিনিধি আমতা থানায় কথা বলতে ঢোকেন। আনিসের বাবার সঙ্গে রয়েছেন ফুরফুরা শরিফের পীরজাদা। এদিন আনিস ও পীরজাদার তরফে সকলের বিক্ষোভকারীদের আমরা ইনসাফ চাইতে এসেছি। সকলে শান্ত থাকুন। ইট ছোঁড়া বন্ধ রাখুন। আমরা ভিতরে গিয়ে কথা বলে দেখছি, দেখা যাক ওনার কি বলেন।
এদিকে প্রবল বিক্ষোভের মুখে উত্তপ্ত আমতা থানা চত্বর। পরিস্থিতি সামলাতে হিমশিম খাচ্ছে পুলিশ। নামানো হয়েছের র্যােফ।
এদিকে যত সময় এগোচ্ছে ততই আনিস কাণ্ড নিয়ে জলঘোলা হচ্ছে। আর বিক্ষোভে উত্তাল হচ্ছে রাজ্য রাজনীতি।
গতকালই মুখ্যমন্ত্রী বৈঠক থেকে জানান, আনিস কাণ্ডে দুজন পুলিশ কর্মীকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তার কিছুক্ষণ পরেই রাজ্য পুলিশের ডিজি মনোজ মালব্য সাংবাদিক বৈঠক করে জানান, দুজন পুলিশকর্মীকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তাদের মধ্যে একজন হল হোম গার্ড কাশীনাথ বেরা ও সিভিক ভলেন্টিয়ার প্রীতম ভট্টাচার্য। ডিজির তরফে আনিসের পরিবারকে তদন্তে সহযোগিতার আবেদন জানানো হয়। সেইসঙ্গে তিনি বলেন, প্রকৃত ন্যায় বিচার পাবে নিহত ছাত্রনেতার পরিবার। সিট নিরপেক্ষ তদন্ত করবে।
অন্যদিকে আনিসের পরিবারে পক্ষ থেকে জানিয়ে দেওয়া হয়, প্রকৃত দোষীকে গ্রেফতার করা হোক। আমরা সিবিআই তদন্ত চাই। সিবিআই একবার তদন্ত করলেই সমস্ত তথ্য সামনে এসে যাবে।
আনিসের দাদা ইতিমধ্যেই সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছে, তার কাছে অচেনা নম্বর থেকে একটি ফোন আসে। সেই ফোনে হুমকি দিয়ে জানানো হয়, সিবিআই তদন্ত চাইলে প্রাণে মেরে ফেলে দেওয়া হবে। আনিসের দাদা আরও জানান, ধৃত দুজন জানিয়েছে তাদের ঘটনার দিন রাতে আমতা থানার ওসি তাদের পাঠিয়েছিল। পাঠিয়ে কি ওসি ঘুমোচ্ছিলেন? আমরা সিবিআই তদন্ত চাই।
এদিকে প্রশ্ন উঠেছে, যদি পুলিশই এই ঘটনা ঘটিয়েছে তাহলে তাদের গ্রেফতার করতে এত দেরি হল কেন?
আজ ধৃত দুজনকে উলুবেড়িয়া আদালতে তোলা হয়। রুদ্ধদ্বার আদালতে শুনানি চলে। প্রিজন ভ্যানে তোলার সময় সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে ধৃত হোমগার্ড কাশীনাথ বেরা ও সিভিক ভলেন্টিয়ার জানান, তাদের বলির পাঁঠা বানানো হচ্ছে। আমতা থানার ওসির নির্দেশেই তারা গিয়েছিলেন। তবে আনিসের মৃত্যু কিভাবে হয়েছে তারা সে বিষয়ে কিছু জানে না।