০১ জুন ২০২৫, রবিবার, ১৭ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

দত্তপুকুর বিস্ফোরণ কাণ্ড, এনআইএ-সিবিআই তদন্ত চেয়ে হাইকোর্টে মামলা

কিবরিয়া আনসারি
  • আপডেট : ২৮ অগাস্ট ২০২৩, সোমবার
  • / 19

পারিজাত মোল্লা: দত্তপুকুর বিস্ফোরণ কাণ্ডে এনআইএ-সিবিআই তদন্ত চেয়ে মামলা হল হাইকোর্টে। সোমবার কলকাতা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চে দাখিল হয়েছে দুটি জনস্বার্থ মামলা। রাজ্য পুলিশের হাত থেকে তদন্তভার সরিয়ে অবিলম্বে তা সিবিআই এবং এনআইএ-র হাতে তুলে দেওয়ার আবেদন জানানো হয়েছে। সোমবার প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চে আবেদন জানানো হয়েছে, মামলা গ্রহণ করেছে প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চ। মঙ্গলবার শুনানির সম্ভাবনা রয়েছে বলে জানা গেছে। দত্তপুকুর বিস্ফোরণ কাণ্ডে সোমবার এক অভিযুক্তকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। এই ঘটনায় মৃতের সংখ্যা বেড়ে হয়েছে ৯ জন। এরই মধ্যেই সোমবার  সকালে কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী এবং রাজর্ষি লাহিড়ী। সিবিআই ও এনআইএ তদন্তের দাবিতে মামলা করেন তাঁরা।

 

আরও পড়ুন: বাদুড়িয়ায় শিক্ষা কর্মাধ্যক্ষের উদ্যোগে ভোটার নিরীক্ষণ কর্মশালা

মামলাকারীর আইনজীবীর অভিযোগ, ‘দত্তপুকুর বিস্ফোরণ কান্ডে স্থানীয় প্রভাবশালীদের হাত রয়েছে। এরফলে রাজ্য পুলিশের হাতে তদন্তভার থাকলে মামলা প্রভাবিত করার চেষ্টা হতে পারে’। এমনকী বিস্ফোরণ কাণ্ডের তথ্যপ্রমাণ নষ্ট করা হতে পারে বলেও দাবি করা হয়েছে। তাই রাজ্য পুলিশ নয়, সিবিআই-এনআইএ দিয়ে তদন্ত করা জরুরি। কী ভাবে বিস্ফোরণ ঘটল? কীভাবে এত মৃত্যু ঘটল? গোটা বিষয়টিই যাতে এনআইএ খতিয়ে দেখে, সেই আবেদন করা হয়েছে দাখিল মামলায়।

আরও পড়ুন: হেফাজতে নির্মম মারধর, সাত পুলিশ কর্মীর বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের ইসলামপুরে

 

আরও পড়ুন: মাদ্রাসা শিক্ষার উন্নয়নে আমিনপুর সিনিয়র মাদ্রাসায় সভা

গত রবিবার সকালে হঠাৎ বিস্ফোরণে কেঁপে ওঠে বারাসত লাগোয়া দত্তপুকুর থানার নীলগঞ্জ ফাঁড়ির নীলগঞ্জ গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকার মোছপোল পশ্চিমপাড়া অঞ্চল। সেই বিস্ফোরণে ভেঙে পড়ে একটি দোতলা বাড়ি। বিস্ফেরণের জেরে ক্ষতিগ্রস্ত হয় আশপাশের অনেক  বাড়ি। স্থানীয়দের দাবি, ‘এই বাড়িতেই কেরামত এবং সামসুল হাত মিলিয়ে বেআইনিভাবে বাজি তৈরি করত। ওই বাজিই সেখানে মজুত রাখা ছিল। সেটা ফেটেই ভয়াবহ বিস্ফোরণ ঘটে’’। মঙ্গলবার শুনানি হতে পারে এই মামলার।

 

দত্তপুকুরে বিস্ফোরণের ঘটনায় আদালতের দারস্থ হয়েছেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। বিরোধী দলনেতার দাবি, ‘রাজ্যের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি বিঘ্নিত হচ্ছে। বিস্ফোরণে মৃত্যু হয়েছে অনেকের’। তাই এই ঘটনায় এনআইএ তদন্তের আবেদন জানিয়ে কলকাতা হাইকোর্টে জনস্বার্থ মামলা দায়ের করেছেন বিরোধী দলনেতা। জরুরি ভিত্তিতে শুনানির আবেদন করেছেন বিরোধী দলনেতার আইনজীবী। হাইকোর্টে করা আবেদনে শুভেন্দু অধিকারীর তরফে জানানো হয়েছে যে, ‘বহু ক্ষেত্রে এনআইএ-র হাতে তদন্তভার গেলেও রাজ্যের তরফ থেকে অসহোযোগিতা করা হয়েছে। তাই আদালতের নজরদারিতে তদন্ত হোক’। শুভেন্দুর পাশাপাশি, দত্তপুকুরে কারখানায় বিস্ফোরণের ঘটনায় জনস্বার্থ মামলা করেছেন বিজেপির আরেক নেতা রাজর্ষি লাহিড়িও। মামলার আবেদনে তাঁর দাবি, ‘রাজ্যের মদতেই এই ধরনের বেআইনি বাজি কারখানা গজিয়ে উঠছে। রবিবারের ঘটনার কেন্দ্রীয় সংস্থা দ্বারা নিরপেক্ষ তদন্ত প্রয়োজন। তাছাড়া বাজি কারখানার লাইসেন্স কে বা কারা দেয়, তাও সামনে আসা জরুরি’।

প্রতিবেদক

কিবরিয়া আনসারি

Kibria obtained a master's degree in journalism from Aliah University. He has been in journalism since 2018, gaining work experience in multiple organizations. Focused and sincere about his work, Kibria is currently employed at the desk of Purber Kalom.

Copyright © Puber Kalom All rights reserved.| Developed by eTech Builder

দত্তপুকুর বিস্ফোরণ কাণ্ড, এনআইএ-সিবিআই তদন্ত চেয়ে হাইকোর্টে মামলা

আপডেট : ২৮ অগাস্ট ২০২৩, সোমবার

পারিজাত মোল্লা: দত্তপুকুর বিস্ফোরণ কাণ্ডে এনআইএ-সিবিআই তদন্ত চেয়ে মামলা হল হাইকোর্টে। সোমবার কলকাতা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চে দাখিল হয়েছে দুটি জনস্বার্থ মামলা। রাজ্য পুলিশের হাত থেকে তদন্তভার সরিয়ে অবিলম্বে তা সিবিআই এবং এনআইএ-র হাতে তুলে দেওয়ার আবেদন জানানো হয়েছে। সোমবার প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চে আবেদন জানানো হয়েছে, মামলা গ্রহণ করেছে প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চ। মঙ্গলবার শুনানির সম্ভাবনা রয়েছে বলে জানা গেছে। দত্তপুকুর বিস্ফোরণ কাণ্ডে সোমবার এক অভিযুক্তকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। এই ঘটনায় মৃতের সংখ্যা বেড়ে হয়েছে ৯ জন। এরই মধ্যেই সোমবার  সকালে কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী এবং রাজর্ষি লাহিড়ী। সিবিআই ও এনআইএ তদন্তের দাবিতে মামলা করেন তাঁরা।

 

আরও পড়ুন: বাদুড়িয়ায় শিক্ষা কর্মাধ্যক্ষের উদ্যোগে ভোটার নিরীক্ষণ কর্মশালা

মামলাকারীর আইনজীবীর অভিযোগ, ‘দত্তপুকুর বিস্ফোরণ কান্ডে স্থানীয় প্রভাবশালীদের হাত রয়েছে। এরফলে রাজ্য পুলিশের হাতে তদন্তভার থাকলে মামলা প্রভাবিত করার চেষ্টা হতে পারে’। এমনকী বিস্ফোরণ কাণ্ডের তথ্যপ্রমাণ নষ্ট করা হতে পারে বলেও দাবি করা হয়েছে। তাই রাজ্য পুলিশ নয়, সিবিআই-এনআইএ দিয়ে তদন্ত করা জরুরি। কী ভাবে বিস্ফোরণ ঘটল? কীভাবে এত মৃত্যু ঘটল? গোটা বিষয়টিই যাতে এনআইএ খতিয়ে দেখে, সেই আবেদন করা হয়েছে দাখিল মামলায়।

আরও পড়ুন: হেফাজতে নির্মম মারধর, সাত পুলিশ কর্মীর বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের ইসলামপুরে

 

আরও পড়ুন: মাদ্রাসা শিক্ষার উন্নয়নে আমিনপুর সিনিয়র মাদ্রাসায় সভা

গত রবিবার সকালে হঠাৎ বিস্ফোরণে কেঁপে ওঠে বারাসত লাগোয়া দত্তপুকুর থানার নীলগঞ্জ ফাঁড়ির নীলগঞ্জ গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকার মোছপোল পশ্চিমপাড়া অঞ্চল। সেই বিস্ফোরণে ভেঙে পড়ে একটি দোতলা বাড়ি। বিস্ফেরণের জেরে ক্ষতিগ্রস্ত হয় আশপাশের অনেক  বাড়ি। স্থানীয়দের দাবি, ‘এই বাড়িতেই কেরামত এবং সামসুল হাত মিলিয়ে বেআইনিভাবে বাজি তৈরি করত। ওই বাজিই সেখানে মজুত রাখা ছিল। সেটা ফেটেই ভয়াবহ বিস্ফোরণ ঘটে’’। মঙ্গলবার শুনানি হতে পারে এই মামলার।

 

দত্তপুকুরে বিস্ফোরণের ঘটনায় আদালতের দারস্থ হয়েছেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। বিরোধী দলনেতার দাবি, ‘রাজ্যের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি বিঘ্নিত হচ্ছে। বিস্ফোরণে মৃত্যু হয়েছে অনেকের’। তাই এই ঘটনায় এনআইএ তদন্তের আবেদন জানিয়ে কলকাতা হাইকোর্টে জনস্বার্থ মামলা দায়ের করেছেন বিরোধী দলনেতা। জরুরি ভিত্তিতে শুনানির আবেদন করেছেন বিরোধী দলনেতার আইনজীবী। হাইকোর্টে করা আবেদনে শুভেন্দু অধিকারীর তরফে জানানো হয়েছে যে, ‘বহু ক্ষেত্রে এনআইএ-র হাতে তদন্তভার গেলেও রাজ্যের তরফ থেকে অসহোযোগিতা করা হয়েছে। তাই আদালতের নজরদারিতে তদন্ত হোক’। শুভেন্দুর পাশাপাশি, দত্তপুকুরে কারখানায় বিস্ফোরণের ঘটনায় জনস্বার্থ মামলা করেছেন বিজেপির আরেক নেতা রাজর্ষি লাহিড়িও। মামলার আবেদনে তাঁর দাবি, ‘রাজ্যের মদতেই এই ধরনের বেআইনি বাজি কারখানা গজিয়ে উঠছে। রবিবারের ঘটনার কেন্দ্রীয় সংস্থা দ্বারা নিরপেক্ষ তদন্ত প্রয়োজন। তাছাড়া বাজি কারখানার লাইসেন্স কে বা কারা দেয়, তাও সামনে আসা জরুরি’।