০২ জুন ২০২৫, সোমবার, ১৮ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

আর্সেনিক প্রবণ কুলতলিতে বাড়ছে বিশুদ্ধ পানীয় জলের চাহিদা

চামেলি দাস
  • আপডেট : ৩০ মে ২০২৫, শুক্রবার
  • / 50

উজ্জ্বল বন্দ্যোপাধ্যায়: আর্সেনিক প্রবণ কুলতলিতে বিশুদ্ধ পানীয় জলের চাহিদা বাড়ছে। সুন্দরবনের কুলতলি আর্সেনিক কবলিত এলাকা। এবার সেখানেই আর্সেনিক মুক্ত পানীয় জলের পরিষেবা পৌঁছে দিতে উদ্যোগী হয়েছে প্রশাসন।

পাইপ লাইনের মাধ্যমে পরিশ্রুত পানীয় জল বাড়িতে বাড়িতে পৌঁছে দেওয়ার পাইপ লাইন বসানোর কাজ চলছে। সুন্দরবনের প্রত্যন্ত অঞ্চলে দীর্ঘ সময় ধরে চলছে এই কাজ।তবে কুলতলির মানুষ কবে আর্সেনিকমুক্ত এই পানীয় জল পাবে এখন সেদিকেই তাকিয়ে সুন্দরবনের মানুষ।

মূলত এই সমস্ত এলাকার মানুষের জীবিকা নদীতে মাছ কাঁকড়া ধরা তাই বেশিরভাগ সময় জলের মধ্যে থাকতে হয়।আর্সেনিক থেকে ছড়ানো রোগে আক্রান্তদের নির্দিষ্ট কোনও চিকিৎসা নেই হাত-পায়ের তালুতে কালো দাগ দেখা যায়। গায়ের চামড়া মোটা হয়ে যায়। আর্সেনিকের ফলে ক্যানসার পর্যন্ত হতে পারে।

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা হু-র হিসাবে দক্ষিণ ২৪ পরগনার একাধিক ব্লক এলাকা আর্সেনিক প্রবণ।আর সেইসব এলাকায় বর্তমানে বিশুদ্ধ পানীয় জলের চাহিদা বাড়ছে।তাই কয়েক কোটি টাকা ব্যয়ে নতুন প্রকল্প তৈরি করা হয়েছে।সুন্দরবনের কুলতলি, কৈখালী, মৈপিঠ, ভুবনেশ্বরী সহ একাধিক এলাকার বাসিন্দারা আর্সেনিক মুক্ত এই পাণীয় জলের পরিষেবা পাবেন।রাজ্যের অনুমোদন ও মিলে গিয়েছে। প্রকল্পের কাজ ও শুরু হয়ে গেছে। খুব শীঘ্রই জল পাবেন এই সমস্ত এলাকায় মানুষ।

সূত্রের খবর এই সব অঞ্চলের মানুষের রাস্তার পাইপ ফুটো করে জল সংগ্রহ করার প্রবণতা রয়েছে। ফলে সেই অংশ দিয়ে জল অপচয় হয়। তার কারণেই বিভিন্ন এলাকায় জল পৌঁছাতে সমস্যা হচ্ছে। তবে এখন সেই অংশের মেরামতের কাজ চলছে। নতুন প্রকল্প চালু হলে জলের গতি বেড়ে যাবে এবং নতুন নতুন গ্রামে আর্সেনিকমুক্ত জল ও পৌঁছবে বলে কুলতলি ব্লক প্রশাসন সূত্রে জানা গেল।

Tag :

Copyright © Puber Kalom All rights reserved.| Developed by eTech Builder

আর্সেনিক প্রবণ কুলতলিতে বাড়ছে বিশুদ্ধ পানীয় জলের চাহিদা

আপডেট : ৩০ মে ২০২৫, শুক্রবার

উজ্জ্বল বন্দ্যোপাধ্যায়: আর্সেনিক প্রবণ কুলতলিতে বিশুদ্ধ পানীয় জলের চাহিদা বাড়ছে। সুন্দরবনের কুলতলি আর্সেনিক কবলিত এলাকা। এবার সেখানেই আর্সেনিক মুক্ত পানীয় জলের পরিষেবা পৌঁছে দিতে উদ্যোগী হয়েছে প্রশাসন।

পাইপ লাইনের মাধ্যমে পরিশ্রুত পানীয় জল বাড়িতে বাড়িতে পৌঁছে দেওয়ার পাইপ লাইন বসানোর কাজ চলছে। সুন্দরবনের প্রত্যন্ত অঞ্চলে দীর্ঘ সময় ধরে চলছে এই কাজ।তবে কুলতলির মানুষ কবে আর্সেনিকমুক্ত এই পানীয় জল পাবে এখন সেদিকেই তাকিয়ে সুন্দরবনের মানুষ।

মূলত এই সমস্ত এলাকার মানুষের জীবিকা নদীতে মাছ কাঁকড়া ধরা তাই বেশিরভাগ সময় জলের মধ্যে থাকতে হয়।আর্সেনিক থেকে ছড়ানো রোগে আক্রান্তদের নির্দিষ্ট কোনও চিকিৎসা নেই হাত-পায়ের তালুতে কালো দাগ দেখা যায়। গায়ের চামড়া মোটা হয়ে যায়। আর্সেনিকের ফলে ক্যানসার পর্যন্ত হতে পারে।

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা হু-র হিসাবে দক্ষিণ ২৪ পরগনার একাধিক ব্লক এলাকা আর্সেনিক প্রবণ।আর সেইসব এলাকায় বর্তমানে বিশুদ্ধ পানীয় জলের চাহিদা বাড়ছে।তাই কয়েক কোটি টাকা ব্যয়ে নতুন প্রকল্প তৈরি করা হয়েছে।সুন্দরবনের কুলতলি, কৈখালী, মৈপিঠ, ভুবনেশ্বরী সহ একাধিক এলাকার বাসিন্দারা আর্সেনিক মুক্ত এই পাণীয় জলের পরিষেবা পাবেন।রাজ্যের অনুমোদন ও মিলে গিয়েছে। প্রকল্পের কাজ ও শুরু হয়ে গেছে। খুব শীঘ্রই জল পাবেন এই সমস্ত এলাকায় মানুষ।

সূত্রের খবর এই সব অঞ্চলের মানুষের রাস্তার পাইপ ফুটো করে জল সংগ্রহ করার প্রবণতা রয়েছে। ফলে সেই অংশ দিয়ে জল অপচয় হয়। তার কারণেই বিভিন্ন এলাকায় জল পৌঁছাতে সমস্যা হচ্ছে। তবে এখন সেই অংশের মেরামতের কাজ চলছে। নতুন প্রকল্প চালু হলে জলের গতি বেড়ে যাবে এবং নতুন নতুন গ্রামে আর্সেনিকমুক্ত জল ও পৌঁছবে বলে কুলতলি ব্লক প্রশাসন সূত্রে জানা গেল।