১৬ জুন ২০২৫, সোমবার, ১ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

মৎস্যজীবীদের জালে মরশুমের প্রথম ইলিশ, ঢুকল প্রায় ২৫ টন ‘রূপালি শস্য’

চামেলি দাস
  • আপডেট : ১৬ জুন ২০২৫, সোমবার
  • / 34

পুবের কলম ওয়েবডেস্ক: মরশুমের প্রথম ইলিশ ধরা পড়তেই খুশির জোয়ার বইছে দক্ষিণ ২৪ পরগনার উপকূলবর্তী এলাকাগুলিতে। সোমবার সকালেই নামখানা খেয়াঘাটে প্রায় ২৫টি ট্রলার প্রায় ২৫ টন ‘রূপালি শস্য’ নিয়ে বন্দরে ফিরেছে। প্রতিটি ইলিশের ওজন ৮০০ গ্রাম থেকে এক কিলোগ্রামের মধ্যে। এক-একটি ট্রলার ৩০ থেকে ৫০ ক্যারেট ইলিশ নিয়ে ফিরে এসেছে বলে জানিয়েছেন মৎস্যজীবীরা। সোমবার থেকেই খোলা বাজারে বিক্রি শুরু হয়েছে এই রুপালি শস্য। আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় সামান্য সময়ের মধ্যেই এই বিপুল পরিমাণ ইলিশ ধরা পড়েছে। মৎস্যজীবীদের আশা, আগামী দিনে আবহাওয়া ভালো থাকলে ইলিশের জোগান আরও বাড়বে।

গত ১৪ জুন উঠে গেছে মাছ ধরার সরকারি নিষেধাজ্ঞা। মাছের প্রজননের সুবিধার্থে ১৫ এপ্রিল থেকে ১৪ জুন পর্যন্ত গভীর সমুদ্রে মাছ ধরা বন্ধ ছিল। নিষেধাজ্ঞা উঠতেই শনিবার থেকে কয়েক হাজার ট্রলার গভীর সমুদ্রে রওনা দিয়েছে। দক্ষিণ ২৪ পরগনার কাকদ্বীপ, নামখানা, পাথরপ্রতিমা, রায়দিঘি, গোসাবা, ক্যানিং, ফলতা, একাধিক মৎস্য বন্দরে এখন সাজো সাজো রব।

নাওয়া-খাওয়া ভুলে জাল তৈরি,  ট্রলার মেরামত, খাবার ও জ্বালানির বন্দোবস্তে ব্যস্ত মৎস্যজীবীরা। সরকারি হিসাব অনুযায়ী, জেলায় প্রায় ৮,৫০০টি ট্রলার রয়েছে। জেলা সহ-মৎস্য আধিকারিক (সামুদ্রিক) সুরজিৎ কুমার বাগ জানিয়েছেন, ‘ইতিমধ্যেই গভীর সমুদ্রে যাওয়ার অনুমতি দেওয়ার প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। জালের ফাঁস হতে হবে ৯০ মিলিমিটার এবং ২৩ সেন্টিমিটারের কম ইলিশ ধরা যাবে না। প্রত্যেক ট্রলারে থাকতে হবে লাইফ জ্যাকেট, জিপিএস, লগ বুক ও অন্যান্য নিরাপত্তা সামগ্রী। মৎস্যজীবীদের ভারতীয় নৌবাহিনী ও উপকূলরক্ষী বাহিনীর সঙ্গে যোগাযোগ রাখতে বলা হয়েছে, যাতে বিপদের মুহূর্তে দ্রুত উদ্ধার সম্ভব হয়।’ এইভাবে মরশুমের শুরুতেই ইলিশ বাজারে আসায় উৎসাহিত মৎস্যজীবীরা। বাঙালির পাতেও ফিরছে বহু প্রতীক্ষিত প্রিয় রূপালি মাছ।

Tag :

Copyright © Puber Kalom All rights reserved.| Developed by eTech Builder

মৎস্যজীবীদের জালে মরশুমের প্রথম ইলিশ, ঢুকল প্রায় ২৫ টন ‘রূপালি শস্য’

আপডেট : ১৬ জুন ২০২৫, সোমবার

পুবের কলম ওয়েবডেস্ক: মরশুমের প্রথম ইলিশ ধরা পড়তেই খুশির জোয়ার বইছে দক্ষিণ ২৪ পরগনার উপকূলবর্তী এলাকাগুলিতে। সোমবার সকালেই নামখানা খেয়াঘাটে প্রায় ২৫টি ট্রলার প্রায় ২৫ টন ‘রূপালি শস্য’ নিয়ে বন্দরে ফিরেছে। প্রতিটি ইলিশের ওজন ৮০০ গ্রাম থেকে এক কিলোগ্রামের মধ্যে। এক-একটি ট্রলার ৩০ থেকে ৫০ ক্যারেট ইলিশ নিয়ে ফিরে এসেছে বলে জানিয়েছেন মৎস্যজীবীরা। সোমবার থেকেই খোলা বাজারে বিক্রি শুরু হয়েছে এই রুপালি শস্য। আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় সামান্য সময়ের মধ্যেই এই বিপুল পরিমাণ ইলিশ ধরা পড়েছে। মৎস্যজীবীদের আশা, আগামী দিনে আবহাওয়া ভালো থাকলে ইলিশের জোগান আরও বাড়বে।

গত ১৪ জুন উঠে গেছে মাছ ধরার সরকারি নিষেধাজ্ঞা। মাছের প্রজননের সুবিধার্থে ১৫ এপ্রিল থেকে ১৪ জুন পর্যন্ত গভীর সমুদ্রে মাছ ধরা বন্ধ ছিল। নিষেধাজ্ঞা উঠতেই শনিবার থেকে কয়েক হাজার ট্রলার গভীর সমুদ্রে রওনা দিয়েছে। দক্ষিণ ২৪ পরগনার কাকদ্বীপ, নামখানা, পাথরপ্রতিমা, রায়দিঘি, গোসাবা, ক্যানিং, ফলতা, একাধিক মৎস্য বন্দরে এখন সাজো সাজো রব।

নাওয়া-খাওয়া ভুলে জাল তৈরি,  ট্রলার মেরামত, খাবার ও জ্বালানির বন্দোবস্তে ব্যস্ত মৎস্যজীবীরা। সরকারি হিসাব অনুযায়ী, জেলায় প্রায় ৮,৫০০টি ট্রলার রয়েছে। জেলা সহ-মৎস্য আধিকারিক (সামুদ্রিক) সুরজিৎ কুমার বাগ জানিয়েছেন, ‘ইতিমধ্যেই গভীর সমুদ্রে যাওয়ার অনুমতি দেওয়ার প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। জালের ফাঁস হতে হবে ৯০ মিলিমিটার এবং ২৩ সেন্টিমিটারের কম ইলিশ ধরা যাবে না। প্রত্যেক ট্রলারে থাকতে হবে লাইফ জ্যাকেট, জিপিএস, লগ বুক ও অন্যান্য নিরাপত্তা সামগ্রী। মৎস্যজীবীদের ভারতীয় নৌবাহিনী ও উপকূলরক্ষী বাহিনীর সঙ্গে যোগাযোগ রাখতে বলা হয়েছে, যাতে বিপদের মুহূর্তে দ্রুত উদ্ধার সম্ভব হয়।’ এইভাবে মরশুমের শুরুতেই ইলিশ বাজারে আসায় উৎসাহিত মৎস্যজীবীরা। বাঙালির পাতেও ফিরছে বহু প্রতীক্ষিত প্রিয় রূপালি মাছ।