ইসরায়েলের ডিটেনশন পলিসির প্রতিবাদে ১২৪ দিন অনশন, মৃত্যুর দ্বারপ্রান্তে ফিলিস্তিনি বন্দি কাইদ

- আপডেট : ১৫ নভেম্বর ২০২১, সোমবার
- / 17
পুবের কলম ওয়েবডেস্ক : নিজের ভূমিতে প্রতিদিন কোনঠাসা করা হচ্ছে ফিলিস্তিনিদের।প্রতিদিন একটু একটু দখল হয়ে যাচ্ছে তাদের সবকিছু। সামান্য প্রতিবাদের জো নেই। তাহলেই আটক করা হচ্ছে। বিনা অপরাধে, বিনা বিচারে দিনের পর দিন আটকে রাখা হচ্ছে।তার প্রতিবাদে ইসরায়েলি বন্দিরা অনেকেই প্রতিবাদে অনশন করছেন।দীর্ঘ অনশনে ভেঙে গিয়েছে তাদের স্বাস্থ্য। ১২০ দিনেরও বেশি সময় ধরে অনশনরত এমনই এক ফিলিস্তিনি বন্দির স্বাস্থ্য নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন ইসরায়েলি চিকিৎসকরা। ইসরায়েলের অ্যাডমিনিস্ট্রেটিভ ডিটেনশন পলিসি বা বিনা বিচারে আটক রাখার নীতির প্রতিবাদে কাইদ আল-ফাসফুস নামের ওই ফিলিস্তিনি গত চার মাসেরও বেশি সময় ধরে অনশন করে যাচ্ছেন।
ইসরায়েলের বারজিলাই মেডিকেল সেন্টারে বর্তমানে কাইদের চিকিৎসা চলছে। চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, তার রক্ত জমাট বেঁধে যাওয়ার উপক্রম হয়েছে যা শেষ পর্যন্ত তার মৃত্যুর কারণ হতে পারে।এছাড়া অনশনরত এই ফিলিস্তিনি বন্দি অনিয়মিত হার্টবিট, কিডনি সমস্যা ও লো ব্লাড প্রেসারে ভুগছেন। তাঁর শরীরে ভিটামিন ও তরল পদার্থের মারাত্মক ঘাটতিও দেখা দিয়েছে।
ফিলিস্তিনের বন্দিবিষয়ক কমিশন এরই মধ্যে সতর্ক করে দিয়ে বলেছে, কাইদের শারীরিক অবস্থা আশঙ্কাজনক এবং তিনি যেকোনো সময় মারা যেতে পারেন। ৩৪ বছর বয়সি কাইদ গত ১২৪ দিন ধরে অনশন করছেন। ইসরায়েলি কারাগারে বছরের পর বছর ধরে বিনা বিচারে ফিলিস্তিনি বন্দিদের আটক রাখার প্রতিবাদে তিনি এই অনশন শুরু করেন।
একই প্রতিবাদ জানিয়ে আরো চার ফিলিস্তিনি বন্দি বর্তমানে অনশন চালিয়ে যাচ্ছেন। এই পাঁচজনের মধ্যে কাইদ সবচেয়ে বেশি সময় ধরে অনশনে আছেন। অপর চার অনশনরত ফিলিস্তিনি বন্দি হচ্ছেন আলা আরাজ (৯৮ দিন), হিশাম আবু হাউয়াশ (৮৯ দিন), আইয়াদ হুরেইমি (৫২ দিন) এবং লুয়ায়ি আল-আসগর (৩৪ দিন)।