০১ জুন ২০২৫, রবিবার, ১৭ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

হাই মাদ্রাসায় রাজ্যে প্রথম ঝালমুড়ি বিক্রেতার কন্যা সারিফা, হতে চান চিকিৎসক

অর্পিতা লাহিড়ী
  • আপডেট : ৩১ মে ২০২২, মঙ্গলবার
  • / 35

 

পুবের কলম ওয়েবডেস্কঃ প্রচেষ্টা আর ইচ্ছেশক্তি থাকলে যে জয় করা যায় যে-কোন বাধা সেটাই প্রমাণ করলেন মালদহের রতুয়ার ভাদো এলাকার সারিফা খাতুন।

আরও পড়ুন: সুন্দরবনের সংখ্যালঘু কৃতি ছাত্রী হতে চায় চিকিৎসক

ঝালমুড়ি বিক্রেতার মেয়ে মাদ্রাসা বোর্ডের পরীক্ষায় রাজ্যের মধ্যে প্রথম হয়েছেন। পেয়েছেন ৮০০ এর মধ্যে ৭৮৬।

আরও পড়ুন: হাই মাদ্রাসা বোর্ডের পরীক্ষায় নজরকাড়া ফল নৌরিন আলামের

বাবা ঠেলাগাড়িতে করে বিক্রি করেন ঝালমুড়ি। আবার কখনও বাড়তি অর্থ উপার্জনের জন্য রাজমিস্ত্রীর কাজও করেন। এই হেন পরিবার থেকে উঠে এসেছেন সারিফা। পাঁচ ভাই বোনের মধ্যে তিনি সবার ছোট। ইচ্ছে চিকিৎসক হয়ে গরীব মানুষের পাশে দাঁড়াবেন। কিন্তু পরিবারের সাধ্য নেই এই খরচ বহন করার। তাই মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছে সারিফার পরিবার আবেদন জানাতে চায়।

আরও পড়ুন: হাই মাদ্রাসার মেধা তালিকায় প্রথম আটে মালদার পড়ুয়ারা

স্থানীয় ভাদো মুসলিম গার্লস মিশনে পড়াশোনা করলেও সারিফা পরীক্ষা দিয়েছিল ভাদো বটতলা আদর্শ হাই মাদ্রাসা থেকে। সারিফার সঙ্গেই পড়াশোনা করত ভাদোর ইমরানা আফরোজ! ইমরানাও রাজ্যে দ্বিতীয় হয়েছে। ইমরানার প্রাপ্ত নম্বর ৭৭৫। এছাড়া ওই গার্লস মিশনের আরও দুই ছাত্রী আনজুমানআরা খাতুন ও মাহিদা খাতুন ভাদো বটতলা হাই মাদ্রাসা থেকে পরীক্ষা দিয়েছিল। ৭৬৩ নম্বর পেয়ে রাজ্যে যুগ্মভাবে দশম হয়েছে তারা।

চারকন্যার এই তাক লাগানো ফলাফলে এলাকা জুড়ে উৎসবের মেজাজ।

 

 

Copyright © Puber Kalom All rights reserved.| Developed by eTech Builder

হাই মাদ্রাসায় রাজ্যে প্রথম ঝালমুড়ি বিক্রেতার কন্যা সারিফা, হতে চান চিকিৎসক

আপডেট : ৩১ মে ২০২২, মঙ্গলবার

 

পুবের কলম ওয়েবডেস্কঃ প্রচেষ্টা আর ইচ্ছেশক্তি থাকলে যে জয় করা যায় যে-কোন বাধা সেটাই প্রমাণ করলেন মালদহের রতুয়ার ভাদো এলাকার সারিফা খাতুন।

আরও পড়ুন: সুন্দরবনের সংখ্যালঘু কৃতি ছাত্রী হতে চায় চিকিৎসক

ঝালমুড়ি বিক্রেতার মেয়ে মাদ্রাসা বোর্ডের পরীক্ষায় রাজ্যের মধ্যে প্রথম হয়েছেন। পেয়েছেন ৮০০ এর মধ্যে ৭৮৬।

আরও পড়ুন: হাই মাদ্রাসা বোর্ডের পরীক্ষায় নজরকাড়া ফল নৌরিন আলামের

বাবা ঠেলাগাড়িতে করে বিক্রি করেন ঝালমুড়ি। আবার কখনও বাড়তি অর্থ উপার্জনের জন্য রাজমিস্ত্রীর কাজও করেন। এই হেন পরিবার থেকে উঠে এসেছেন সারিফা। পাঁচ ভাই বোনের মধ্যে তিনি সবার ছোট। ইচ্ছে চিকিৎসক হয়ে গরীব মানুষের পাশে দাঁড়াবেন। কিন্তু পরিবারের সাধ্য নেই এই খরচ বহন করার। তাই মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছে সারিফার পরিবার আবেদন জানাতে চায়।

আরও পড়ুন: হাই মাদ্রাসার মেধা তালিকায় প্রথম আটে মালদার পড়ুয়ারা

স্থানীয় ভাদো মুসলিম গার্লস মিশনে পড়াশোনা করলেও সারিফা পরীক্ষা দিয়েছিল ভাদো বটতলা আদর্শ হাই মাদ্রাসা থেকে। সারিফার সঙ্গেই পড়াশোনা করত ভাদোর ইমরানা আফরোজ! ইমরানাও রাজ্যে দ্বিতীয় হয়েছে। ইমরানার প্রাপ্ত নম্বর ৭৭৫। এছাড়া ওই গার্লস মিশনের আরও দুই ছাত্রী আনজুমানআরা খাতুন ও মাহিদা খাতুন ভাদো বটতলা হাই মাদ্রাসা থেকে পরীক্ষা দিয়েছিল। ৭৬৩ নম্বর পেয়ে রাজ্যে যুগ্মভাবে দশম হয়েছে তারা।

চারকন্যার এই তাক লাগানো ফলাফলে এলাকা জুড়ে উৎসবের মেজাজ।