১৯ জুন ২০২৫, বৃহস্পতিবার, ৪ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

ওরা গো-মাংস ছুড়লে পাল্টা শুয়োরের মাংস ছুড়ুন: হিমন্ত

চামেলি দাস
  • আপডেট : ১৯ জুন ২০২৫, বৃহস্পতিবার
  • / 39

পুবের কলম ওয়েবডেস্ক: ‘ওরা যদি গরুর মাংস ছুড়ে মারে, তাহলে পালটা শুয়োরের মাংস ছুড়ে মারতে হবে।’ মন্দিরের সামনে মাংসের টুকরো ফেলে রাখার ঘটনায় এমনই নিদান দিলেন অসমের মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্বশর্মা। সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে এই মন্তব্য করেন তিনি।

স্থানীয়দের অনেকেরই অভিযোগ, কুরবানি ঈদের সময় এলাকায় সাম্প্রদায়িক উত্তেজনা তৈরি করতে মন্দিরের সামনে মাংসের টুকরো ছড়িয়ে রাখা হয়েছিল। এই ধরনের ঘটনা নিয়ে প্রশ্নের জবাবে হিমন্ত বলেন, ‘‘মন্দিরের সামনে গরুর মাংস ছুড়ে মারা হলে হিন্দুদেরও শুয়োরের মাংস ছুড়ে মারা উচিত। আমি সুপারিশ করছি, যদি ওরা গরুর মাংস ছুড়ে মারে, তাহলে প্রতিশোধ হিসেবে শুয়োরের মাংস ছুড়ে মারবেন আপনারা, তাহলে তা ভারসাম্যপূর্ণ হবে।’

কংগ্রেসের অভিযোগ ছিল, রাজ্যে সাম্প্রদায়িক অশান্তি তৈরি করতে ও মুসলিম বিদ্বেষ ছড়াতে মন্দিরের কাছে গরুর মাংস নিক্ষেপের সাম্প্রতিক ঘটনাগুলি ঘটিয়ে বিজেপি ও আরএসএস-এর সদস্যরা। এর জবাবে অবশ্য হিমন্ত কংগ্রেসের অভিযোগ উড়িয়ে দিয়ে পালটা বলেন, হিন্দুরা যদি মাংস নিক্ষেপের সহেগ জড়িত থাকত তাহলে তারা এটা করত, তাহলে তারা গরুর মাংস নয়, শুয়োরের মাংস নিক্ষেপ করত।

আরও পড়ুন: ভারত বাছ-বিচার না করেই বাসিন্দাদের বিতাড়ন করছে, দরিদ্র বলে তারা আদালতে যেতে পারছে না

হিমন্তর কথায়, ‘‘হিন্দুরা গরুর মাংস নিক্ষেপ করে না। হিন্দুরা যদি কোনও বার্তা দিতে চায়, সেক্ষেত্রে তারা শুয়োরের মাংস নিক্ষেপ করবে। কংগ্রেস বলছে যে, হিন্দুরা নাকি গরুর মাথা ফেলে দিয়ে গেছে, তাহলে বাকি মাংস গেল কোথায়? তাহলে কি কংগ্রেস বলতে চাইছে হিন্দুরা সেটা খেয়েছে?’’

আরও পড়ুন: ১৭১ ভুয়ো এনকাউন্টারে তদন্ত, সুপ্রিম-নির্দেশে বিপাকে হিমন্ত

উল্লেখ্য, চলতি বছরে কুরবানি ঈদের সময় অসমের মুসলিম অধ্যুষিত ধুবরি এলাকায় একটি হনুমান মন্দিরের কাছে একটি গরুর মাথা পাওয়া যায়। এই ঘটনা স্থানীয় হিন্দরা ক্ষুব্ধ হয়ে ওঠে। তা নিয়ে ১৩ জুন হিমন্ত বলেছিলেন, ‘‘কুরবানি ঈদের পরের দিন স্থানীয় হনুমান মন্দিরে একটি গরুর কাটা মাথা পাওয়া গেছে। যে উগ্রপন্থীরা ধুবড়িতে পাথর নিক্ষেপ করেছে, ‘নবীন বাংলা’-এর নামে পোস্টার লাগায় এবং যে সংগঠনটি পুরো জেলাকে বাংলাদেশের সাথে যুক্ত করতে চায় তারা এসব করেছে।

আরও পড়ুন: মন্দিরের পাশে মিলল শিশুর গলা কাটা দেহ, ভয়ঙ্কর ‘নরবলি’ গুজরাটে!

এরপরই এই ধরণের ঘটনা রোধে দেখামাত্র গুলি করার নির্দেশ জারি করে হিমন্ত বলেছিলেন, এই ঘটনার পিছনে বাংলাদেশের একটি ইসলামপন্থী গোষ্ঠীর হাত রয়েছে। ধুবড়িতে একটি সাম্প্রদায়িক গোষ্ঠী সক্রিয় রয়েছে। আমরা পুলিশকে দেখামাত্র গুলি করার নির্দেশ দিয়েছি। বিজেপি শাসিত রাজ্যে হিন্দু উপাসনালয়ের অবমাননা সহ্য করা হবে না। এই ঘটনার সঙ্গে জড়িত ৩৮ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।’’

Copyright © Puber Kalom All rights reserved.| Developed by eTech Builder

ওরা গো-মাংস ছুড়লে পাল্টা শুয়োরের মাংস ছুড়ুন: হিমন্ত

আপডেট : ১৯ জুন ২০২৫, বৃহস্পতিবার

পুবের কলম ওয়েবডেস্ক: ‘ওরা যদি গরুর মাংস ছুড়ে মারে, তাহলে পালটা শুয়োরের মাংস ছুড়ে মারতে হবে।’ মন্দিরের সামনে মাংসের টুকরো ফেলে রাখার ঘটনায় এমনই নিদান দিলেন অসমের মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্বশর্মা। সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে এই মন্তব্য করেন তিনি।

স্থানীয়দের অনেকেরই অভিযোগ, কুরবানি ঈদের সময় এলাকায় সাম্প্রদায়িক উত্তেজনা তৈরি করতে মন্দিরের সামনে মাংসের টুকরো ছড়িয়ে রাখা হয়েছিল। এই ধরনের ঘটনা নিয়ে প্রশ্নের জবাবে হিমন্ত বলেন, ‘‘মন্দিরের সামনে গরুর মাংস ছুড়ে মারা হলে হিন্দুদেরও শুয়োরের মাংস ছুড়ে মারা উচিত। আমি সুপারিশ করছি, যদি ওরা গরুর মাংস ছুড়ে মারে, তাহলে প্রতিশোধ হিসেবে শুয়োরের মাংস ছুড়ে মারবেন আপনারা, তাহলে তা ভারসাম্যপূর্ণ হবে।’

কংগ্রেসের অভিযোগ ছিল, রাজ্যে সাম্প্রদায়িক অশান্তি তৈরি করতে ও মুসলিম বিদ্বেষ ছড়াতে মন্দিরের কাছে গরুর মাংস নিক্ষেপের সাম্প্রতিক ঘটনাগুলি ঘটিয়ে বিজেপি ও আরএসএস-এর সদস্যরা। এর জবাবে অবশ্য হিমন্ত কংগ্রেসের অভিযোগ উড়িয়ে দিয়ে পালটা বলেন, হিন্দুরা যদি মাংস নিক্ষেপের সহেগ জড়িত থাকত তাহলে তারা এটা করত, তাহলে তারা গরুর মাংস নয়, শুয়োরের মাংস নিক্ষেপ করত।

আরও পড়ুন: ভারত বাছ-বিচার না করেই বাসিন্দাদের বিতাড়ন করছে, দরিদ্র বলে তারা আদালতে যেতে পারছে না

হিমন্তর কথায়, ‘‘হিন্দুরা গরুর মাংস নিক্ষেপ করে না। হিন্দুরা যদি কোনও বার্তা দিতে চায়, সেক্ষেত্রে তারা শুয়োরের মাংস নিক্ষেপ করবে। কংগ্রেস বলছে যে, হিন্দুরা নাকি গরুর মাথা ফেলে দিয়ে গেছে, তাহলে বাকি মাংস গেল কোথায়? তাহলে কি কংগ্রেস বলতে চাইছে হিন্দুরা সেটা খেয়েছে?’’

আরও পড়ুন: ১৭১ ভুয়ো এনকাউন্টারে তদন্ত, সুপ্রিম-নির্দেশে বিপাকে হিমন্ত

উল্লেখ্য, চলতি বছরে কুরবানি ঈদের সময় অসমের মুসলিম অধ্যুষিত ধুবরি এলাকায় একটি হনুমান মন্দিরের কাছে একটি গরুর মাথা পাওয়া যায়। এই ঘটনা স্থানীয় হিন্দরা ক্ষুব্ধ হয়ে ওঠে। তা নিয়ে ১৩ জুন হিমন্ত বলেছিলেন, ‘‘কুরবানি ঈদের পরের দিন স্থানীয় হনুমান মন্দিরে একটি গরুর কাটা মাথা পাওয়া গেছে। যে উগ্রপন্থীরা ধুবড়িতে পাথর নিক্ষেপ করেছে, ‘নবীন বাংলা’-এর নামে পোস্টার লাগায় এবং যে সংগঠনটি পুরো জেলাকে বাংলাদেশের সাথে যুক্ত করতে চায় তারা এসব করেছে।

আরও পড়ুন: মন্দিরের পাশে মিলল শিশুর গলা কাটা দেহ, ভয়ঙ্কর ‘নরবলি’ গুজরাটে!

এরপরই এই ধরণের ঘটনা রোধে দেখামাত্র গুলি করার নির্দেশ জারি করে হিমন্ত বলেছিলেন, এই ঘটনার পিছনে বাংলাদেশের একটি ইসলামপন্থী গোষ্ঠীর হাত রয়েছে। ধুবড়িতে একটি সাম্প্রদায়িক গোষ্ঠী সক্রিয় রয়েছে। আমরা পুলিশকে দেখামাত্র গুলি করার নির্দেশ দিয়েছি। বিজেপি শাসিত রাজ্যে হিন্দু উপাসনালয়ের অবমাননা সহ্য করা হবে না। এই ঘটনার সঙ্গে জড়িত ৩৮ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।’’