১৭ জুন ২০২৫, মঙ্গলবার, ২ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

ভারত-বাংলাদেশ সীমান্ত: ৬ গুণ বেশি দামে জমি অধিগ্রহণ, দুই দেশের সীমান্তে বসছে কাঁটাতার

চামেলি দাস
  • আপডেট : ১০ জুন ২০২৫, মঙ্গলবার
  • / 90

পুবের কলম ওয়েবডেস্ক: দীর্ঘদিন ধরে ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তে কাঁটাতারের বেড়ার অভাবে নিরাপত্তায় সংকট দেখা দিলেও এবার পরিস্থিতি বদলাতে শুরু করেছে। কেন্দ্র এবং রাজ্য সরকারের যৌথ উদ্যোগে সীমান্তের জমি অধিগ্রহণের কাজ শুরু হয়েছে। বিশেষজ্ঞ ও স্থানীয় সূত্রের খবর, জমিদাতাদের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে ইতিমধ্যে বাজারদরের তুলনায় ছয় গুণ বেশি ক্ষতিপূরণ দেওয়া শুরু হয়েছে, যার ফলে জমি দিতে স্থানীয়রা রাজি হয়েছেন।

দীর্ঘদিন ধরে স্থানীয় বাসিন্দারা জমি দেওয়ায় আপত্তি তুলেছিলেন কারণ ক্ষতিপূরণ ছিল অত্যন্ত কম এবং জমি হারালে তাদের বসতভিটে ও কৃষিজমি ক্ষতিগ্রস্ত হত। কিন্তু সাম্প্রতিক বাংলাদেশে অস্থিতিশীলতার প্রেক্ষিতে বিএসএফ সীমান্তকে আরও মজবুত করতে মরিয়া হওয়ায় রাজ্য ও কেন্দ্রীয় সরকার একযোগে কাজ শুরু করে। নদিয়ার ভূমি ও ভূমি সংস্কার বিভাগের অতিরিক্ত জেলাশাসক প্রলয় রায়চৌধুরি জানিয়েছেন, জমি অধিগ্রহণ নিয়ে বিএসএফ-এর সঙ্গে নিয়মিত সমন্বয় চলছে এবং যত দ্রুত সম্ভব কাজ সম্পন্ন হবে বলে আশাবাদী তিনি।

আরও পড়ুন: ভারত-বাংলাদেশ সীমান্ত সুরক্ষা: কলকাতায় কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রসচিবের সঙ্গে বৈঠকে রাজ্য আধিকারিকরা

উত্তর ২৪ পরগনার বয়রা এলাকার বিডিও প্রসূন কুমার জানান, ‘ওই এলাকায় প্রয়োজনীয় জমির বেশিরভাগ অধিগ্রহণ সম্পন্ন হয়েছে এবং তা বিএসএফ-এর হাতে হস্তান্তর করা হয়েছে।’ বয়রা পঞ্চায়েতের উপ-প্রধান অসিত মণ্ডলও জানান, পূর্বে ৫.৫ কিলোমিটার এলাকায় কাঁটাতার ছিল না, এখন সেখানে জমি নিয়ে কাজ শুরু হওয়ায় নিরাপত্তা ব্যবস্থা আরও শক্ত হয়েছে। স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, কাঁটাতারের বেড়া বসানো হলে তারা নিরাপদে থাকতে পারবে এবং দেশের সুরক্ষাও নিশ্চিত হবে। জেলায় জেলায় এই কাজ এগিয়ে চলেছে, যা সীমান্ত সুরক্ষায় এক বড় ইতিবাচক পদক্ষেপ বলে মনে করা হচ্ছে।

আরও পড়ুন: যশোরে ভারত বাংলাদেশ আন্তর্জাতিক চিত্র প্রদর্শনী

Copyright © Puber Kalom All rights reserved.| Developed by eTech Builder

ভারত-বাংলাদেশ সীমান্ত: ৬ গুণ বেশি দামে জমি অধিগ্রহণ, দুই দেশের সীমান্তে বসছে কাঁটাতার

আপডেট : ১০ জুন ২০২৫, মঙ্গলবার

পুবের কলম ওয়েবডেস্ক: দীর্ঘদিন ধরে ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তে কাঁটাতারের বেড়ার অভাবে নিরাপত্তায় সংকট দেখা দিলেও এবার পরিস্থিতি বদলাতে শুরু করেছে। কেন্দ্র এবং রাজ্য সরকারের যৌথ উদ্যোগে সীমান্তের জমি অধিগ্রহণের কাজ শুরু হয়েছে। বিশেষজ্ঞ ও স্থানীয় সূত্রের খবর, জমিদাতাদের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে ইতিমধ্যে বাজারদরের তুলনায় ছয় গুণ বেশি ক্ষতিপূরণ দেওয়া শুরু হয়েছে, যার ফলে জমি দিতে স্থানীয়রা রাজি হয়েছেন।

দীর্ঘদিন ধরে স্থানীয় বাসিন্দারা জমি দেওয়ায় আপত্তি তুলেছিলেন কারণ ক্ষতিপূরণ ছিল অত্যন্ত কম এবং জমি হারালে তাদের বসতভিটে ও কৃষিজমি ক্ষতিগ্রস্ত হত। কিন্তু সাম্প্রতিক বাংলাদেশে অস্থিতিশীলতার প্রেক্ষিতে বিএসএফ সীমান্তকে আরও মজবুত করতে মরিয়া হওয়ায় রাজ্য ও কেন্দ্রীয় সরকার একযোগে কাজ শুরু করে। নদিয়ার ভূমি ও ভূমি সংস্কার বিভাগের অতিরিক্ত জেলাশাসক প্রলয় রায়চৌধুরি জানিয়েছেন, জমি অধিগ্রহণ নিয়ে বিএসএফ-এর সঙ্গে নিয়মিত সমন্বয় চলছে এবং যত দ্রুত সম্ভব কাজ সম্পন্ন হবে বলে আশাবাদী তিনি।

আরও পড়ুন: ভারত-বাংলাদেশ সীমান্ত সুরক্ষা: কলকাতায় কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রসচিবের সঙ্গে বৈঠকে রাজ্য আধিকারিকরা

উত্তর ২৪ পরগনার বয়রা এলাকার বিডিও প্রসূন কুমার জানান, ‘ওই এলাকায় প্রয়োজনীয় জমির বেশিরভাগ অধিগ্রহণ সম্পন্ন হয়েছে এবং তা বিএসএফ-এর হাতে হস্তান্তর করা হয়েছে।’ বয়রা পঞ্চায়েতের উপ-প্রধান অসিত মণ্ডলও জানান, পূর্বে ৫.৫ কিলোমিটার এলাকায় কাঁটাতার ছিল না, এখন সেখানে জমি নিয়ে কাজ শুরু হওয়ায় নিরাপত্তা ব্যবস্থা আরও শক্ত হয়েছে। স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, কাঁটাতারের বেড়া বসানো হলে তারা নিরাপদে থাকতে পারবে এবং দেশের সুরক্ষাও নিশ্চিত হবে। জেলায় জেলায় এই কাজ এগিয়ে চলেছে, যা সীমান্ত সুরক্ষায় এক বড় ইতিবাচক পদক্ষেপ বলে মনে করা হচ্ছে।

আরও পড়ুন: যশোরে ভারত বাংলাদেশ আন্তর্জাতিক চিত্র প্রদর্শনী