২৩ জুন ২০২৫, সোমবার, ৮ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

বিনা চিকিৎসায় ফিলিস্তিনি বন্দিদের মারছে ইসরাইল

ইমামা খাতুন
  • আপডেট : ১৩ সেপ্টেম্বর ২০২২, মঙ্গলবার
  • / 38

পুবের কলম ওয়েব ডেস্ক: ফিলিস্তিনি বন্দিদের চিকিৎসায় অবহেলা করছে ইসরাইল। এর মাধ্যমে বন্দিদের ধীরে ধীরে মৃত্যুর মুখে ঠেলে দেওয়া হচ্ছে।

ফিলিস্তিনি প্রিজনার্স ক্লাব (পিপিসি) এক প্রতিবেদনে জোর দিয়ে বলেছে, চিকিৎসায় অবহেলার মাধ্যমে ধীরে ধীরে বন্দিদের মৃত্যুর দিকে পরিচালিত করা ইসরাইলের অন্যতম প্রান একটি নীতি।

আরও পড়ুন: ইসরাইলের উসকানিমূলক আচরণ নিরাপত্তা ও স্থিতিশীলতার জন্য হুমকি: মিশরের প্রেসিডেন্ট সিসি

১৯৬৭ সাল থেকে তাদের এ রনের কর্মকাণ্ডের জন্য কারাগারে ৭৩ ফিলিস্তিনি বন্দি শহিদ হয়েছেন।

আরও পড়ুন: ইসরাইলি হামলায় হিজবুল্লা নেতা হাসান নাসরুল্লাহর প্রাক্তন দেহরক্ষী নিহত 

প্রতিবেদনে সতর্ক করে বলা হয়েছে— বিগত কয়েক বছরে ইসরাইলি কর্তৃপক্ষের এ রনের প্রবণতা আরও বেড়েছে।

আরও পড়ুন: আমেরিকার রাষ্ট্রদূতের মুখ ফসকে মন্তব্য: ‘ইসরাইল মধ্যপ্রাচ্যে সন্ত্রাস ছড়াচ্ছে’

বর্তমানে ইসরাইলের বিভিন্ন কারাগারে প্রায় ৬০০ অসুস্থ বন্দি রয়েছে— যারা কঠিন রোগে আক্রান্ত। তাদের মধ্যে ২০০ জন দীর্ঘস্থায়ী রোগে ভুগছেন। যেকোনও মুহূর্তে তাদের মৃত্যুর আশঙ্কা রয়েছে।

প্রতিবেদনে সংস্থাটি উল্লেখ করে— কারাগার প্রশাসন অসুস্থ বন্দিদের চিকিৎসা বা পরীক্ষার জন্য হাসপাতালে স্থানান্তর করতে ইচ্ছাকৃতভাবে অনেক দেরি করে। আর এই নীতিটিই অসুস্থ বন্দিদের মৃত্যুর দিকে ঠেলে দেয়।

পিপিসি আরও উল্লেখ করে— ক্যানসারাক্রান্ত বন্দিদের বেশিরভাগই কঠোর নির্যাতনের শিকার হয়। তাদের কয়েকজনকে গ্রেফতারের আগে বা গ্রেফতারির সময় ইসরাইলি সেনাবাহিনী গুলি করেছিল। পরে বছরের পর বছর তাদের কোনও চিকিৎসা ছাড়াই তাদের নির্জন কারাগারে রাখা হয়।

কিছু কিছু ফিলিস্তিনি কয়েদি ২০ বছরেরও বেশি সময় ধরে ইসরাইলি কারাগারে বন্দী আছেন। বন্দিদের রোগ মারাত্মক অবস্থায় পৌঁছে গেলে কারাগার কর্তৃপক্ষ বিষয়টি রোগীদের অবহিত করে। কিন্তু তখন আর কিছুই করার থাকে না। উল্লেখ্য, কোনও অভিযোগ বা বিচার ছাড়াই কারাগারে হাজার হাজার ফিলিস্তিনিকে আটক রেখেছে ইসরাইল।

Copyright © Puber Kalom All rights reserved.| Developed by eTech Builder

বিনা চিকিৎসায় ফিলিস্তিনি বন্দিদের মারছে ইসরাইল

আপডেট : ১৩ সেপ্টেম্বর ২০২২, মঙ্গলবার

পুবের কলম ওয়েব ডেস্ক: ফিলিস্তিনি বন্দিদের চিকিৎসায় অবহেলা করছে ইসরাইল। এর মাধ্যমে বন্দিদের ধীরে ধীরে মৃত্যুর মুখে ঠেলে দেওয়া হচ্ছে।

ফিলিস্তিনি প্রিজনার্স ক্লাব (পিপিসি) এক প্রতিবেদনে জোর দিয়ে বলেছে, চিকিৎসায় অবহেলার মাধ্যমে ধীরে ধীরে বন্দিদের মৃত্যুর দিকে পরিচালিত করা ইসরাইলের অন্যতম প্রান একটি নীতি।

আরও পড়ুন: ইসরাইলের উসকানিমূলক আচরণ নিরাপত্তা ও স্থিতিশীলতার জন্য হুমকি: মিশরের প্রেসিডেন্ট সিসি

১৯৬৭ সাল থেকে তাদের এ রনের কর্মকাণ্ডের জন্য কারাগারে ৭৩ ফিলিস্তিনি বন্দি শহিদ হয়েছেন।

আরও পড়ুন: ইসরাইলি হামলায় হিজবুল্লা নেতা হাসান নাসরুল্লাহর প্রাক্তন দেহরক্ষী নিহত 

প্রতিবেদনে সতর্ক করে বলা হয়েছে— বিগত কয়েক বছরে ইসরাইলি কর্তৃপক্ষের এ রনের প্রবণতা আরও বেড়েছে।

আরও পড়ুন: আমেরিকার রাষ্ট্রদূতের মুখ ফসকে মন্তব্য: ‘ইসরাইল মধ্যপ্রাচ্যে সন্ত্রাস ছড়াচ্ছে’

বর্তমানে ইসরাইলের বিভিন্ন কারাগারে প্রায় ৬০০ অসুস্থ বন্দি রয়েছে— যারা কঠিন রোগে আক্রান্ত। তাদের মধ্যে ২০০ জন দীর্ঘস্থায়ী রোগে ভুগছেন। যেকোনও মুহূর্তে তাদের মৃত্যুর আশঙ্কা রয়েছে।

প্রতিবেদনে সংস্থাটি উল্লেখ করে— কারাগার প্রশাসন অসুস্থ বন্দিদের চিকিৎসা বা পরীক্ষার জন্য হাসপাতালে স্থানান্তর করতে ইচ্ছাকৃতভাবে অনেক দেরি করে। আর এই নীতিটিই অসুস্থ বন্দিদের মৃত্যুর দিকে ঠেলে দেয়।

পিপিসি আরও উল্লেখ করে— ক্যানসারাক্রান্ত বন্দিদের বেশিরভাগই কঠোর নির্যাতনের শিকার হয়। তাদের কয়েকজনকে গ্রেফতারের আগে বা গ্রেফতারির সময় ইসরাইলি সেনাবাহিনী গুলি করেছিল। পরে বছরের পর বছর তাদের কোনও চিকিৎসা ছাড়াই তাদের নির্জন কারাগারে রাখা হয়।

কিছু কিছু ফিলিস্তিনি কয়েদি ২০ বছরেরও বেশি সময় ধরে ইসরাইলি কারাগারে বন্দী আছেন। বন্দিদের রোগ মারাত্মক অবস্থায় পৌঁছে গেলে কারাগার কর্তৃপক্ষ বিষয়টি রোগীদের অবহিত করে। কিন্তু তখন আর কিছুই করার থাকে না। উল্লেখ্য, কোনও অভিযোগ বা বিচার ছাড়াই কারাগারে হাজার হাজার ফিলিস্তিনিকে আটক রেখেছে ইসরাইল।