ধর্মনিরপেক্ষতা সংস্কৃতির অংশ নয়, সমাজতন্ত্রের প্রয়োজন নেই: শিবরাজ সিং চৌহান

- আপডেট : ২৮ জুন ২০২৫, শনিবার
- / 53
পুবের কলম ওয়েবডেস্ক: ভারতের সংবিধানের প্রস্তাবনায় থাকা ‘ধর্মনিরপেক্ষ’ ও ‘সমাজতান্ত্রিক’ শব্দ দু’টি নিয়ে নতুন করে বিতর্ক সৃষ্টি করলেন কেন্দ্রীয় কৃষিমন্ত্রী শিবরাজ সিং চৌহান। জরুরি অবস্থার ৫০ বছর উপলক্ষে বারাণসীতে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে তিনি বলেন, ভারতে সমাজবাদের কোনও প্রয়োজন নেই এবং ধর্মনিরপেক্ষতাও ভারতীয় সংস্কৃতির মৌলিক অংশ নয়।
শিবরাজ সিং বলেন, “ভারতের সংস্কৃতি এমনিতেই সহিষ্ণু এবং সব ধর্মকে সম্মান করে। সেখানে ‘ধর্মনিরপেক্ষ’ শব্দটি জুড়ে দেওয়ার কোনও প্রয়োজন ছিল না। আর সমাজতন্ত্র তো বিদেশি ধারণা—ভারতবর্ষের চেতনাকে তা ধারণ করে না।” তিনি জানান, এই দু’টি শব্দ সংবিধানের মূল প্রস্তাবনায় ছিল না। ১৯৭৫ সালে জরুরি অবস্থার সময় তা জুড়ে দেওয়া হয়েছিল। যা নিয়ে এখন বিতর্ক হওয়াই উচিত।
এর আগে আরএসএস-এর সাধারণ সম্পাদক দত্তাত্রেয় হোসাবলে দিল্লিতে এক অনুষ্ঠানে বলেন, জরুরি অবস্থার সময়েই এই শব্দ দু’টি সংবিধানে যুক্ত হয়। যখন দেশে মৌলিক অধিকার ও ন্যায়বিচার ছিল না। তিনি কটাক্ষ করে বলেন, “যাঁরা এই শব্দ দু’টি সংযোজন করেছিলেন, আজ তাঁরাই সংবিধানের কপি হাতে ঘুরে বেড়ান। অথচ কোনওদিন তাদের কৃতকর্মের জন্য জনগণের কাছে ক্ষমা চাননি।”
এই মন্তব্যের প্রসঙ্গ টেনেই শিবরাজ বলেন, “১৯৭৫ সালের ২৫ জুন রাতে মন্ত্রিসভার কোনও বৈঠক ছাড়াই দেশে জরুরি অবস্থা জারি করা হয়। দেশের কোনও বাহ্যিক বা অভ্যন্তরীণ বিপদ ছিল না, শুধু একজনের (প্রধানমন্ত্রীর) গদির ভয় থেকেই সেই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল।”
শিবরাজের মন্তব্যের পর রাজনৈতিক মহলে নতুন করে আলোচনা শুরু হয়েছে। সংবিধানের প্রস্তাবনা থেকে ধর্মনিরপেক্ষতা ও সমাজতন্ত্র শব্দ দু’টি বাদ দেওয়ার প্রশ্নে মতপার্থক্য দীর্ঘদিনের। তবে এবার কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর সরাসরি এই বক্তব্য বিতর্ক আরও বাড়াবে বলে মনে করছেন পর্যবেক্ষকরা।