২৩ জুন ২০২৫, সোমবার, ৮ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

‘সালতানাত আল্লাহর দেওয়া এক উপহার’- ইউপিএসসি পরীক্ষার সাফল্যের পর এমনটাই জানালেন তাঁর আম্মু

ইমামা খাতুন
  • আপডেট : ১০ এপ্রিল ২০২৩, সোমবার
  • / 26

পুবের কলম,ওয়েবডেস্ক: ইউপিএসসি পরীক্ষা ভারতের তথা বিশ্বের সবচেয়ে কঠিন পরীক্ষাগুলির মধ্যে একটি। এই পরীক্ষায় সমস্ত বাধা অতিক্রম করে সাফল্যের শিখরে ওঠার স্বপ্ন দেখে দেশের কোটি কোটি  তরুণ-তরুণী। কিন্তু, এই পরীক্ষা এতটাই কঠিন যে প্রতি বছর হাতে গোনা মাত্র কিছু প্রার্থীর ভাগ্যেই শিকে ছেঁড়ে। পিছনে পড়ে থাকে লক্ষাধিক অসফল প্রার্থীর বহু নিদ্রাবিহীন রাত্রির রক্তজল করা পরিশ্রম। বছরের পর বছর ধরে জোর প্রস্তুতির পরও প্রতিবছর হৃদয় ভাঙে দেশের লক্ষ লক্ষ প্রার্থীর। কিন্তু, এদের মধ্যে অধিকাংশই ব্যর্থতা ভুলে আবার পরের বছরের জন্য প্রস্তুতি শুরু করে দেন।

নিজের ব্যর্থতার কথা আর সেই ব্যর্থতাকে পিছনে ফেলে আবার নতুন করে লড়াই শুরু করার গল্প সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করে মন জয় করে নেন তাঁরা। এই তালিকারই অন্যতম একজন হলেন আলিগড়ের সালতানাত পারভিন।

 সম্প্রতি ইউপিএসসি ২০২২-এর ফলাফল প্রকাশের পর সংবাদমাধ্যমে নিজের  পরীক্ষার সফলতার কথা তুলে ধরেছেন সালতানাত পারভিন। চতুর্থবারের পর সাফলতার মুখ দেখেন তিনি। এমনকি ষষ্ঠ স্থান অধিকার করে সবাইকে চমকে দিয়েছেন সালতানাত। বাড়িতে তৈরি হয়েছে এক আনন্দময়  পরিবেশ।

ক্রমাগত ভিড় লেগে রয়েছে আত্মীয়-স্বজনদের। ঘটনাপ্রসঙ্গে সংবাদমাধ্যমে দেওয়া সাক্ষাৎকারে সালতানাতের আম্মু মন্তব্য করে বলেন, ও আমাদের জীবনে আল্লাহর দেওয়া এক উপহার। জন্মানোর পর থেকেই আমরা উপলব্ধি করেছিলাম সালতানাত জীবনে বড় কিছু একটা হবে। আমাদের মুখ উজ্ব্বল করবে।

 এদিন সালতানাতের আম্মু আরও বলেন, আমার মেয়ে শুধু   পড়াশোনায় নয়, খেলাধূলতেও পারদর্শী। আর ও সব সময় একটি কথা বলতে থাকে ‘কৌশিস কারনে ওয়ালো কি কাভি হার নেহি হোতি’। নিজের ইউপিএসসির ক্ষেত্রেও সে বারবার এই কথা বলত।

  সালতানাত তাঁর এই সাফল্যের জন্য তাঁর আম্মু-আব্বু ও পরিবারের   সকলকে শুকরিয়া জানিয়েছেন। ৩০/৩৫ জনের  যৌথ পরিবারে  থাকেন তাঁরা। সকলেই আর্থিক ও নৈতিকভাবে সালতানাতকে সাহায্য ও উৎসাহিত করেছেন বলেও জানান সালতানাত। সে বাবা-মার এক সন্তান  বলেও জানান।

Copyright © Puber Kalom All rights reserved.| Developed by eTech Builder

‘সালতানাত আল্লাহর দেওয়া এক উপহার’- ইউপিএসসি পরীক্ষার সাফল্যের পর এমনটাই জানালেন তাঁর আম্মু

আপডেট : ১০ এপ্রিল ২০২৩, সোমবার

পুবের কলম,ওয়েবডেস্ক: ইউপিএসসি পরীক্ষা ভারতের তথা বিশ্বের সবচেয়ে কঠিন পরীক্ষাগুলির মধ্যে একটি। এই পরীক্ষায় সমস্ত বাধা অতিক্রম করে সাফল্যের শিখরে ওঠার স্বপ্ন দেখে দেশের কোটি কোটি  তরুণ-তরুণী। কিন্তু, এই পরীক্ষা এতটাই কঠিন যে প্রতি বছর হাতে গোনা মাত্র কিছু প্রার্থীর ভাগ্যেই শিকে ছেঁড়ে। পিছনে পড়ে থাকে লক্ষাধিক অসফল প্রার্থীর বহু নিদ্রাবিহীন রাত্রির রক্তজল করা পরিশ্রম। বছরের পর বছর ধরে জোর প্রস্তুতির পরও প্রতিবছর হৃদয় ভাঙে দেশের লক্ষ লক্ষ প্রার্থীর। কিন্তু, এদের মধ্যে অধিকাংশই ব্যর্থতা ভুলে আবার পরের বছরের জন্য প্রস্তুতি শুরু করে দেন।

নিজের ব্যর্থতার কথা আর সেই ব্যর্থতাকে পিছনে ফেলে আবার নতুন করে লড়াই শুরু করার গল্প সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করে মন জয় করে নেন তাঁরা। এই তালিকারই অন্যতম একজন হলেন আলিগড়ের সালতানাত পারভিন।

 সম্প্রতি ইউপিএসসি ২০২২-এর ফলাফল প্রকাশের পর সংবাদমাধ্যমে নিজের  পরীক্ষার সফলতার কথা তুলে ধরেছেন সালতানাত পারভিন। চতুর্থবারের পর সাফলতার মুখ দেখেন তিনি। এমনকি ষষ্ঠ স্থান অধিকার করে সবাইকে চমকে দিয়েছেন সালতানাত। বাড়িতে তৈরি হয়েছে এক আনন্দময়  পরিবেশ।

ক্রমাগত ভিড় লেগে রয়েছে আত্মীয়-স্বজনদের। ঘটনাপ্রসঙ্গে সংবাদমাধ্যমে দেওয়া সাক্ষাৎকারে সালতানাতের আম্মু মন্তব্য করে বলেন, ও আমাদের জীবনে আল্লাহর দেওয়া এক উপহার। জন্মানোর পর থেকেই আমরা উপলব্ধি করেছিলাম সালতানাত জীবনে বড় কিছু একটা হবে। আমাদের মুখ উজ্ব্বল করবে।

 এদিন সালতানাতের আম্মু আরও বলেন, আমার মেয়ে শুধু   পড়াশোনায় নয়, খেলাধূলতেও পারদর্শী। আর ও সব সময় একটি কথা বলতে থাকে ‘কৌশিস কারনে ওয়ালো কি কাভি হার নেহি হোতি’। নিজের ইউপিএসসির ক্ষেত্রেও সে বারবার এই কথা বলত।

  সালতানাত তাঁর এই সাফল্যের জন্য তাঁর আম্মু-আব্বু ও পরিবারের   সকলকে শুকরিয়া জানিয়েছেন। ৩০/৩৫ জনের  যৌথ পরিবারে  থাকেন তাঁরা। সকলেই আর্থিক ও নৈতিকভাবে সালতানাতকে সাহায্য ও উৎসাহিত করেছেন বলেও জানান সালতানাত। সে বাবা-মার এক সন্তান  বলেও জানান।