০৩ জুন ২০২৫, মঙ্গলবার, ১৯ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

বুথ পাহারা নয় সিভিক নয়, হলফনামায় জানালো রাজ্য নির্বাচন কমিশন

বিপাশা চক্রবর্তী
  • আপডেট : ৩ জুলাই ২০২৩, সোমবার
  • / 32

পারিজাত মোল্লা:  ইতিমধ্যেই কলকাতা হাইকোর্টের তরফে জানানো হয়েছে, ‘ পঞ্চায়েত ভোটে নিরাপত্তার কাজে সিভিক ভলান্টিয়ারদের যে ব্যবহার করা যাবে না’ । এ ব্যাপারে রাজ্য নির্বাচন কমিশনের থেকে হলফনামা চেয়েছিল হাইকোর্ট।

সোমবার কলকাতা হাইকোর্টে সেই হলফনামা দিয়ে রাজ্য নির্বাচন কমিশন জানাল, -‘সিভিক ভলান্টিয়াররা বুথ পাহারা দেবেন না।তাদের নিরাপত্তার কাজেও ব্যবহার করা হবে না। তাঁরা শুধু বুথের বাইরে লাইন ঠিক করবেন’।

আরও পড়ুন: কলকাতা ও তার পার্শ্ববর্তী পাঁচ জেলায় ৫৮ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েনের সিদ্ধান্ত কমিশনের

পঞ্চায়েত ভোটে যাতে সিভিক ভলান্টিয়ারদের ব্যবহার করা না হয়,  সেই দাবি তুলে হাইকোর্টে ২ টি  মামলা দায়ের হয়েছিল।

আরও পড়ুন: চার জেলাকে নিয়ে ফের বৈঠকে মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিক

কলকাতা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি টিএস শিবজ্ঞাবমের ডিভিশন বেঞ্চ তাদের নির্দেশে জানিয়েছিল, -‘ সিভিক ভলান্টিয়ার সংক্রান্ত গাইডলাইন মেনেই ভোট করাতে হবে’।পঞ্চায়েত নির্বাচন নিয়ে এদিন যে রাজ্য নির্বাচন কমিশন হলফনামা দেয় তাতে বলা হয়, রাজ্য পুলিশের নিয়ম মেনেই সিভিক ভলান্টিয়ারদের ব্যবহার করা হবে ভোটের কাজে। ভোটের লাইন ব্যবস্থাপনা আর নাকা পয়েন্টে তাঁদের ব্যবহার করা হবে। তবে হ্যাঁ, পোলিং বুথের মধ্যে সিভিক ভলান্টিয়ারদের ঢুকতে দেওয়া হবে না’।

আরও পড়ুন: জেলায় আইনশৃঙ্খলার দিকে নজর কমিশনের: জেলাশাসক-পুলিশ কর্তাদের নিয়ে ২৪ তারিখ বৈঠক

নির্বাচন কমিশনের এই হলফনামা নিয়ে তীব্র প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন বিরোধীরা। তাঁদের অভিযোগ -‘রাজ্য নির্বাচন কমিশনের শাসক দলের কথামতো কাজ করছে। সিভিক ভলান্টিয়ারদের বারো আনা হলেন শাসক দলের ক্যাডার। বুথের বাইরে তাঁরা লাইন ম্যানেজ করতে গিয়ে ভোটারদের প্রভাবিত করার চেষ্টা করবেন না, তার গ্যারান্টি কে দেবে?’পোলিং বুথে সিসি ক্যামেরা বসানো ও ভিডিওগ্রাফি করার ব্যাপারে হাইকোর্ট যে নির্দেশ দিয়েছিল, তা কীভাবে পালন করা হচ্ছে?  তা হলফনামায় জানিয়েছে রাজ্য নির্বাচন কমিশন। হলফনামায় বলা হয়েছে, -‘ রাজ্যের মোট ৬১ হাজার ৬৩৬ পোলিং বুথের মধ্যে ৫৬ হাজার ৪ টি বুথে সিসি ক্যামেরা লাগানোর বন্দোবস্ত করা হয়েছে। অর্থাত্‍ ৯৫ শতাংশ বুথই থাকবে সিসি ক্যামেরার নজরদারিতে। বাকি ৫ শতাংশ বুথ অর্থাত্‍ ৩ হাজার ৬৩২ বুথে ভিডিওগ্রাফি করা হবে।,নির্বাচনের দু’দিন আগে থেকে বুথে বুথে সিসি ক্যামেরা লাগানোর কাজ শুরু হবে’। এখন দেখার ভোটের দিন সিভিকদের নিয়ে প্রশ্ন উঠে কিনা?



                            

Copyright © Puber Kalom All rights reserved.| Developed by eTech Builder

বুথ পাহারা নয় সিভিক নয়, হলফনামায় জানালো রাজ্য নির্বাচন কমিশন

আপডেট : ৩ জুলাই ২০২৩, সোমবার

পারিজাত মোল্লা:  ইতিমধ্যেই কলকাতা হাইকোর্টের তরফে জানানো হয়েছে, ‘ পঞ্চায়েত ভোটে নিরাপত্তার কাজে সিভিক ভলান্টিয়ারদের যে ব্যবহার করা যাবে না’ । এ ব্যাপারে রাজ্য নির্বাচন কমিশনের থেকে হলফনামা চেয়েছিল হাইকোর্ট।

সোমবার কলকাতা হাইকোর্টে সেই হলফনামা দিয়ে রাজ্য নির্বাচন কমিশন জানাল, -‘সিভিক ভলান্টিয়াররা বুথ পাহারা দেবেন না।তাদের নিরাপত্তার কাজেও ব্যবহার করা হবে না। তাঁরা শুধু বুথের বাইরে লাইন ঠিক করবেন’।

আরও পড়ুন: কলকাতা ও তার পার্শ্ববর্তী পাঁচ জেলায় ৫৮ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েনের সিদ্ধান্ত কমিশনের

পঞ্চায়েত ভোটে যাতে সিভিক ভলান্টিয়ারদের ব্যবহার করা না হয়,  সেই দাবি তুলে হাইকোর্টে ২ টি  মামলা দায়ের হয়েছিল।

আরও পড়ুন: চার জেলাকে নিয়ে ফের বৈঠকে মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিক

কলকাতা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি টিএস শিবজ্ঞাবমের ডিভিশন বেঞ্চ তাদের নির্দেশে জানিয়েছিল, -‘ সিভিক ভলান্টিয়ার সংক্রান্ত গাইডলাইন মেনেই ভোট করাতে হবে’।পঞ্চায়েত নির্বাচন নিয়ে এদিন যে রাজ্য নির্বাচন কমিশন হলফনামা দেয় তাতে বলা হয়, রাজ্য পুলিশের নিয়ম মেনেই সিভিক ভলান্টিয়ারদের ব্যবহার করা হবে ভোটের কাজে। ভোটের লাইন ব্যবস্থাপনা আর নাকা পয়েন্টে তাঁদের ব্যবহার করা হবে। তবে হ্যাঁ, পোলিং বুথের মধ্যে সিভিক ভলান্টিয়ারদের ঢুকতে দেওয়া হবে না’।

আরও পড়ুন: জেলায় আইনশৃঙ্খলার দিকে নজর কমিশনের: জেলাশাসক-পুলিশ কর্তাদের নিয়ে ২৪ তারিখ বৈঠক

নির্বাচন কমিশনের এই হলফনামা নিয়ে তীব্র প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন বিরোধীরা। তাঁদের অভিযোগ -‘রাজ্য নির্বাচন কমিশনের শাসক দলের কথামতো কাজ করছে। সিভিক ভলান্টিয়ারদের বারো আনা হলেন শাসক দলের ক্যাডার। বুথের বাইরে তাঁরা লাইন ম্যানেজ করতে গিয়ে ভোটারদের প্রভাবিত করার চেষ্টা করবেন না, তার গ্যারান্টি কে দেবে?’পোলিং বুথে সিসি ক্যামেরা বসানো ও ভিডিওগ্রাফি করার ব্যাপারে হাইকোর্ট যে নির্দেশ দিয়েছিল, তা কীভাবে পালন করা হচ্ছে?  তা হলফনামায় জানিয়েছে রাজ্য নির্বাচন কমিশন। হলফনামায় বলা হয়েছে, -‘ রাজ্যের মোট ৬১ হাজার ৬৩৬ পোলিং বুথের মধ্যে ৫৬ হাজার ৪ টি বুথে সিসি ক্যামেরা লাগানোর বন্দোবস্ত করা হয়েছে। অর্থাত্‍ ৯৫ শতাংশ বুথই থাকবে সিসি ক্যামেরার নজরদারিতে। বাকি ৫ শতাংশ বুথ অর্থাত্‍ ৩ হাজার ৬৩২ বুথে ভিডিওগ্রাফি করা হবে।,নির্বাচনের দু’দিন আগে থেকে বুথে বুথে সিসি ক্যামেরা লাগানোর কাজ শুরু হবে’। এখন দেখার ভোটের দিন সিভিকদের নিয়ে প্রশ্ন উঠে কিনা?