১৬ জুন ২০২৫, সোমবার, ১ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

আর্থিক সংকটের মধ্যেই ডাক্তারি পড়ার সুযোগ পেল মথুরাপুরের দুই শিক্ষার্থী!

চামেলি দাস
  • আপডেট : ১৬ জুন ২০২৫, সোমবার
  • / 39

পুবের কলম ওয়েবডেস্ক: মথুরাপুরের দুইজন মেধাবী শিক্ষার্থী ২০২৫ সালে সরকারি মেডিক্যাল কলেজে ডাক্তারি পড়ার সুযোগ পেল। ডাক্তারি পড়ার সুযোগ পাওয়ার পরেও আর্থিক সংকটের কারণে ভর্তি হওয়া এবং  পড়া চালিয়ে যাওয়া নিয়ে চিন্তায় তাঁরা।

দু’জনের মধ্যে একজন হলেন সৌমিক মণ্ডল এবং আরেকজন হলেন  স্নেহা নাটুয়া। দু’জনের পরিবার আর্থিকভাবে দুর্বল।জানা যায় সৌমিক মণ্ডলের বাবা পেশায় নাট্য ব্যক্তিত্ব এবং চুক্তিভিত্তিক শিক্ষক।  মা  স্নিগ্ধা মণ্ডল গৃহবধূ। সৌমিকের বাড়ি দক্ষিণ ২৪ পরগনা রায়দিঘির কাশিনগরে। সৌমিক-কৃষ্ণচন্দ্রপুর হাই স্কুলের প্রাক্তন ছাত্র। বিজ্ঞান বিভাগ থেকে উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষায় ৯৩% নম্বর পেয়ে উত্তীর্ণ হয়েছে। বাড়ি থেকেই প্রস্তুতি নিয়েছে নিট ২০২৫-এর পরীক্ষা।  ৭২০ মধ্যে ৫২৮ নম্বর পায়। তার অল ইন্ডিয়া র‍্যাঙ্ক ২৫১১৭ এবং EWS র‍্যাঙ্ক ২৯০৫। সৌমিকের স্বপ্ন ছিল ডাক্তার হওয়ার  কিন্তু সেই স্বপ্ন ধীরে ধীরে বাস্তবায়নের পথে। সরকারি কলেজে এমবিবিএস পড়ার সুযোগ এসেছে।  আর্থিক সংকটের কারণে দুশ্চিন্তার ভাঁজ। অন্যদিকে কৃতি প্রাক্তন ছাত্রী স্নেহা নাটুয়া। তার বাবা শেখর নাটুয়া। তিনি সেলসম্যান। মা  স্বপ্না নাটুয়া গৃহবধূ। স্নেহার বাড়ি দক্ষিণ ২৪ পরগনার মথুরাপুর ১ নম্বর ব্লকের কৃষ্ণচন্দ্রপুরের গ্রামে। স্নেহা পঞ্চম শ্রেণি থেকে দ্বাদশ শ্রেণি পর্যন্ত কৃষ্ণচন্দ্রপুর হাই স্কুলে পড়াশোনা করে।  অধ্যবসায় অভিভাবকদের নিরন্তন সহযোগিতা এবং এক নিষ্ঠাবান স্থানীয় শিক্ষকের সান্নিধ্যে, সে তার বহু প্রতীক্ষিত স্বপ্ন সফল করে। নিট ২০২৫-এ স্নেহা ৭২০ এর মধ্যে ৫৬১৮ নম্বর পায়।  তার অল ইন্ডিয়া র‍্যাঙ্ক ৩৩৭১৫। স্নেহা ছোটবেলা থেকে ডাক্তার হতে চেয়েছে।  সেইমতো তার স্বপ্নপূরণ বাস্তবায়ন হতে এবার সরকারি কলেজে এমবিবিএস পড়ার সুযোগ পেল। স্নেহার পরিবারও আর্থিকভাবে দুর্বল হওয়ায় চিন্তায় পড়েছেন তারা। কৃষ্ণচন্দ্রপুর হাই স্কুলের শিক্ষক চন্দন মাইতি স্নেহা এবং সৌমিককে আন্তরিক অভিনন্দন জানান এবং তাদের উজ্জ্বল ভবিষ্যতের কামনা করেন। দু’জনের পাশে থাকার আশ্বাসও দেন তিনি। তাদের এই কৃতিত্ব কৃষ্ণ চন্দ্রপুর হাই স্কুল পরিবারের কাছে এবং সুন্দরবন এলাকার মানুষদের কাছে এক গর্বের বিষয় ।

Tag :

Copyright © Puber Kalom All rights reserved.| Developed by eTech Builder

আর্থিক সংকটের মধ্যেই ডাক্তারি পড়ার সুযোগ পেল মথুরাপুরের দুই শিক্ষার্থী!

আপডেট : ১৬ জুন ২০২৫, সোমবার

পুবের কলম ওয়েবডেস্ক: মথুরাপুরের দুইজন মেধাবী শিক্ষার্থী ২০২৫ সালে সরকারি মেডিক্যাল কলেজে ডাক্তারি পড়ার সুযোগ পেল। ডাক্তারি পড়ার সুযোগ পাওয়ার পরেও আর্থিক সংকটের কারণে ভর্তি হওয়া এবং  পড়া চালিয়ে যাওয়া নিয়ে চিন্তায় তাঁরা।

দু’জনের মধ্যে একজন হলেন সৌমিক মণ্ডল এবং আরেকজন হলেন  স্নেহা নাটুয়া। দু’জনের পরিবার আর্থিকভাবে দুর্বল।জানা যায় সৌমিক মণ্ডলের বাবা পেশায় নাট্য ব্যক্তিত্ব এবং চুক্তিভিত্তিক শিক্ষক।  মা  স্নিগ্ধা মণ্ডল গৃহবধূ। সৌমিকের বাড়ি দক্ষিণ ২৪ পরগনা রায়দিঘির কাশিনগরে। সৌমিক-কৃষ্ণচন্দ্রপুর হাই স্কুলের প্রাক্তন ছাত্র। বিজ্ঞান বিভাগ থেকে উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষায় ৯৩% নম্বর পেয়ে উত্তীর্ণ হয়েছে। বাড়ি থেকেই প্রস্তুতি নিয়েছে নিট ২০২৫-এর পরীক্ষা।  ৭২০ মধ্যে ৫২৮ নম্বর পায়। তার অল ইন্ডিয়া র‍্যাঙ্ক ২৫১১৭ এবং EWS র‍্যাঙ্ক ২৯০৫। সৌমিকের স্বপ্ন ছিল ডাক্তার হওয়ার  কিন্তু সেই স্বপ্ন ধীরে ধীরে বাস্তবায়নের পথে। সরকারি কলেজে এমবিবিএস পড়ার সুযোগ এসেছে।  আর্থিক সংকটের কারণে দুশ্চিন্তার ভাঁজ। অন্যদিকে কৃতি প্রাক্তন ছাত্রী স্নেহা নাটুয়া। তার বাবা শেখর নাটুয়া। তিনি সেলসম্যান। মা  স্বপ্না নাটুয়া গৃহবধূ। স্নেহার বাড়ি দক্ষিণ ২৪ পরগনার মথুরাপুর ১ নম্বর ব্লকের কৃষ্ণচন্দ্রপুরের গ্রামে। স্নেহা পঞ্চম শ্রেণি থেকে দ্বাদশ শ্রেণি পর্যন্ত কৃষ্ণচন্দ্রপুর হাই স্কুলে পড়াশোনা করে।  অধ্যবসায় অভিভাবকদের নিরন্তন সহযোগিতা এবং এক নিষ্ঠাবান স্থানীয় শিক্ষকের সান্নিধ্যে, সে তার বহু প্রতীক্ষিত স্বপ্ন সফল করে। নিট ২০২৫-এ স্নেহা ৭২০ এর মধ্যে ৫৬১৮ নম্বর পায়।  তার অল ইন্ডিয়া র‍্যাঙ্ক ৩৩৭১৫। স্নেহা ছোটবেলা থেকে ডাক্তার হতে চেয়েছে।  সেইমতো তার স্বপ্নপূরণ বাস্তবায়ন হতে এবার সরকারি কলেজে এমবিবিএস পড়ার সুযোগ পেল। স্নেহার পরিবারও আর্থিকভাবে দুর্বল হওয়ায় চিন্তায় পড়েছেন তারা। কৃষ্ণচন্দ্রপুর হাই স্কুলের শিক্ষক চন্দন মাইতি স্নেহা এবং সৌমিককে আন্তরিক অভিনন্দন জানান এবং তাদের উজ্জ্বল ভবিষ্যতের কামনা করেন। দু’জনের পাশে থাকার আশ্বাসও দেন তিনি। তাদের এই কৃতিত্ব কৃষ্ণ চন্দ্রপুর হাই স্কুল পরিবারের কাছে এবং সুন্দরবন এলাকার মানুষদের কাছে এক গর্বের বিষয় ।