২৮ জুলাই ২০২৫, সোমবার, ১২ শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

ইউপি: স্কুলে পৌঁছে দেওয়ার সুযোগে ধর্ষণ ছাত্রীকে, ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা কর্তৃপক্ষের

কিবরিয়া আনসারি
  • আপডেট : ২৫ ডিসেম্বর ২০২৩, সোমবার
  • / 18

কানপুর, ২৫ ডিসেম্বর: ছাত্রীকে স্কুলে পৌঁছে দেওয়ার সুযোগে নির্জন জায়গায় গাড়ি থামিয়ে ধর্ষণ করা হয় ষষ্ঠ শ্রেনীর ছাত্রীকে। গত শুক্রবার সকালে ১২ বছর বয়সী নাবালিকা ছাত্রীকে স্কুল গাড়ির ভেতরেই ধর্ষণ করেন চালক বলে অভিযোগ। ঘটনায় শনিবার স্কুলের গাড়ি চালককে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। ঘটনাটি উত্তরপ্রদেশের কানপুরের। পুলিশ জানিয়েছে, স্কুল কর্তৃপক্ষ ষষ্ঠ শ্রেণীর ওই ছাত্রীকে ভয় দেখিয়েছে। যাতে সে ঘটনার কথা কাওকে না বলে। ধর্ষণের ঘটনা ধামাচাপা দেওয়ার অভিযোগে স্কুলের অধ্যক্ষ, ম্যানেজার ও দুই শিক্ষকের বিরুদ্ধেও মামলা রুজু করেছে পুলিশ।

 

আরও পড়ুন: যোগী রাজ্যে অমানবিক চিত্র ভাইরাল! ছাত্রকে অপহরণ করে প্রহার, মুখে প্রস্রাব

পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, দীর্ঘদিন স্কুল গাড়ি চালানোর কাজ করেন রমেশ। সকালে বাড়ি বাড়ি গিয়ে পড়ুয়াদের গাড়ি করে স্কুলে পৌঁছে দেওয়াই তার কাজ। শুক্রবার সকাল ৮ টায় স্কুলে নিয়ে যাওয়ার উদ্দেশ্যে বাড়ি থেকে ওই ছাত্রীকে গাড়িতে তোলা হয়। চালক সুযোগ বুঝে একটি নির্জন জায়গায় গাড়িটি থামিয়ে ছাত্রীকে ধর্ষণ করে। যৌন নিপীড়নের পর নাবালিকাকে ভয় দেখানো হয় এবং বলা হয় ঘটনার কথা কাওকে না বলতে। লোক জানাজানি হলে তার ভয়ানক পরিণতি হবে বলেও তাকে হুমকি দেওয়া হয়। তারপরই চালক গাড়ি নিয়ে অন্যান্য পড়ুয়াদের বাড়ি থেকে নিয়ে স্কুলে পৌঁছায়। সমস্ত পড়ুয়াকে স্কুলে নামিয়ে দেওয়ার পর স্কুলের ভিতরেই গাড়িটি পার্ক করে রমেশ। তারপরই সে পালিয়ে যায়।

 

স্কুলে পৌঁছেই ষষ্ঠ শ্রেনীর ওই ছাত্রী তাঁর দুই শিক্ষককে ঘটনার কথা জানায়। পরে ওই শিক্ষকরা তাকে স্কুলের অধ্যক্ষ এবং ম্যানেজারের কাছে নিয়ে যান। পুলিশ জানিয়েছে, নাবালিকাকে ঘটনার কথা কাউকে না জানানোর পরামর্শ দেন তারা। স্কুল শেষে ছাত্রীকে অন্য গাড়ি করে বাড়ি পাঠানো হয়। নাবালিকার বাবা-মা’য়ের অভিযোগ, সকাল ৮ টায় ভ্যান চালক তাদের মেয়েকে বাড়ি থেকে স্কুলের উদ্দেশ্যে নিয়ে যায়। সেই সময় মেয়ে একাই ছিল গাড়িতে। স্কুল থেকে বাড়ি ফিরে সবটা খুলে বলে মেয়ে। শুক্রবারই থানায় অভিযোগ করেন তারা। কানপুরের অতিরিক্ত ডিসিপি আকাশ প্যাটেল বলেন, “ছাত্রীর মেডিকেল পরীক্ষা করা হয়েছে। প্রমাণের জন্য অভিযুক্ত এবং গাড়ির ফরেনসিক পরীক্ষাও করা হবে। পকশো ধারায় মামলা রুজু করা হয়েছে।”

প্রতিবেদক

কিবরিয়া আনসারি

Kibria obtained a master's degree in journalism from Aliah University. He has been in journalism since 2018, gaining work experience in multiple organizations. Focused and sincere about his work, Kibria is currently employed at the desk of Purber Kalom.

Copyright © Puber Kalom All rights reserved.| Developed by eTech Builder

ইউপি: স্কুলে পৌঁছে দেওয়ার সুযোগে ধর্ষণ ছাত্রীকে, ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা কর্তৃপক্ষের

আপডেট : ২৫ ডিসেম্বর ২০২৩, সোমবার

কানপুর, ২৫ ডিসেম্বর: ছাত্রীকে স্কুলে পৌঁছে দেওয়ার সুযোগে নির্জন জায়গায় গাড়ি থামিয়ে ধর্ষণ করা হয় ষষ্ঠ শ্রেনীর ছাত্রীকে। গত শুক্রবার সকালে ১২ বছর বয়সী নাবালিকা ছাত্রীকে স্কুল গাড়ির ভেতরেই ধর্ষণ করেন চালক বলে অভিযোগ। ঘটনায় শনিবার স্কুলের গাড়ি চালককে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। ঘটনাটি উত্তরপ্রদেশের কানপুরের। পুলিশ জানিয়েছে, স্কুল কর্তৃপক্ষ ষষ্ঠ শ্রেণীর ওই ছাত্রীকে ভয় দেখিয়েছে। যাতে সে ঘটনার কথা কাওকে না বলে। ধর্ষণের ঘটনা ধামাচাপা দেওয়ার অভিযোগে স্কুলের অধ্যক্ষ, ম্যানেজার ও দুই শিক্ষকের বিরুদ্ধেও মামলা রুজু করেছে পুলিশ।

 

আরও পড়ুন: যোগী রাজ্যে অমানবিক চিত্র ভাইরাল! ছাত্রকে অপহরণ করে প্রহার, মুখে প্রস্রাব

পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, দীর্ঘদিন স্কুল গাড়ি চালানোর কাজ করেন রমেশ। সকালে বাড়ি বাড়ি গিয়ে পড়ুয়াদের গাড়ি করে স্কুলে পৌঁছে দেওয়াই তার কাজ। শুক্রবার সকাল ৮ টায় স্কুলে নিয়ে যাওয়ার উদ্দেশ্যে বাড়ি থেকে ওই ছাত্রীকে গাড়িতে তোলা হয়। চালক সুযোগ বুঝে একটি নির্জন জায়গায় গাড়িটি থামিয়ে ছাত্রীকে ধর্ষণ করে। যৌন নিপীড়নের পর নাবালিকাকে ভয় দেখানো হয় এবং বলা হয় ঘটনার কথা কাওকে না বলতে। লোক জানাজানি হলে তার ভয়ানক পরিণতি হবে বলেও তাকে হুমকি দেওয়া হয়। তারপরই চালক গাড়ি নিয়ে অন্যান্য পড়ুয়াদের বাড়ি থেকে নিয়ে স্কুলে পৌঁছায়। সমস্ত পড়ুয়াকে স্কুলে নামিয়ে দেওয়ার পর স্কুলের ভিতরেই গাড়িটি পার্ক করে রমেশ। তারপরই সে পালিয়ে যায়।

 

স্কুলে পৌঁছেই ষষ্ঠ শ্রেনীর ওই ছাত্রী তাঁর দুই শিক্ষককে ঘটনার কথা জানায়। পরে ওই শিক্ষকরা তাকে স্কুলের অধ্যক্ষ এবং ম্যানেজারের কাছে নিয়ে যান। পুলিশ জানিয়েছে, নাবালিকাকে ঘটনার কথা কাউকে না জানানোর পরামর্শ দেন তারা। স্কুল শেষে ছাত্রীকে অন্য গাড়ি করে বাড়ি পাঠানো হয়। নাবালিকার বাবা-মা’য়ের অভিযোগ, সকাল ৮ টায় ভ্যান চালক তাদের মেয়েকে বাড়ি থেকে স্কুলের উদ্দেশ্যে নিয়ে যায়। সেই সময় মেয়ে একাই ছিল গাড়িতে। স্কুল থেকে বাড়ি ফিরে সবটা খুলে বলে মেয়ে। শুক্রবারই থানায় অভিযোগ করেন তারা। কানপুরের অতিরিক্ত ডিসিপি আকাশ প্যাটেল বলেন, “ছাত্রীর মেডিকেল পরীক্ষা করা হয়েছে। প্রমাণের জন্য অভিযুক্ত এবং গাড়ির ফরেনসিক পরীক্ষাও করা হবে। পকশো ধারায় মামলা রুজু করা হয়েছে।”