২৬ ডিসেম্বর ২০২৫, শুক্রবার, ১০ পৌষ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

বাংলাদেশের চট্টগ্রামে ট্রেনের সঙ্গে বাসের ধাক্কা, ১১ জনের প্রাণহানি, ৫ সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন

পুবের কলম, ওয়েবডেস্ক: ট্রেনের সঙ্গে বাসের ধাক্কায় বাংলাদেশের চট্টগ্রামের মিরসরাইতে মৃত্যু হয়েছে কমপক্ষে ১১ জনের। শুক্রবার বেলা দেড়টা নাগাদ এই ঘটনা ঘটে। জখম হয়েছে আরও পাঁচজন। কোনও সিগন্যাল ও রক্ষী না থাকার জন্য অবাধে রেললাইনের ওপর দিয়ে ট্রেন চলাচল করে। রক্ষীবিহীন রেললাইন পার হতে গিয়েই এই ভয়ঙ্কর দুর্ঘটনা ঘটে। ইতিমধ্যেই দুর্ঘটনার তদন্ত করতে ৫ সদস্যের একটি কমিটিও গঠন করা হয়েছে বলে জানা গিয়েছে।

মিরসরাই থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা কবির হোসেন জানিয়েছেন, ঢাকা থেকে চট্টগ্রামমুখী একটি ট্রেনের সঙ্গে ধাক্কা খায় মাইক্রোবাসটি। এতে ঘটনাস্থলেই ১১ জনের মৃত্যু হয়। আহত হন তিনজন। হতাহতদের বাড়ি হাটহাজারীর আমানবাজার এলাকায় বলে জানা গেছে।

আরও পড়ুন: হাদিকে হত্যা করে নির্বাচন বানচালের চেষ্টার অভিযোগ, ইউনূস সরকারের একাংশকে দায়ী নিহতের দাদা

পুলিশ ও কয়েকজন প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা যায়, খৈয়াছড়া ঝরনা নামের পর্যটন স্পট থেকে গোসল করে ফেরার পথে এ দুর্ঘটনা ঘটে। ট্রেনটি ধাক্কা দেওয়ার পর মাইক্রোবাসটিকে প্রায় এক কিলোমিটার ঠেলে নিয়ে যায়। হতাহত সবাই  মাইক্রোবাসের যাত্রী।

আরও পড়ুন: বাংলাদেশের উচিত সংযত হওয়া, ভারত পরমাণু শক্তিধর: সেভেন সিস্টার্স নিয়ে পাল্টা হুঁশিয়ারি হিমন্তের

রেলওয়ে সূত্রে খবর,  ট্রেনটি ছিল ঢাকা থেকে চট্টগ্রামমুখী মহানগর প্রভাতী।

আরও পড়ুন: শারীরিক অবস্থার অবনতি খালেদা জিয়ার, সিসিইউ-তে প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী

বাংলাদেশ রেলওয়ে কর্তৃপক্ষের তরফে জানানো হয়েছে, পড়ুয়াবোঝাই ওই মাইক্রোবাসটি দ্রুতগতিতে আসছিল। সোজা রেললাইনে উঠে পড়ে গাড়িটি। এদিকে সেই সময়ই লাইন দিয়ে ঢাকা-চট্টগ্রামগামী মহানগর প্রভাতী ট্রেনটি যে আসছে, তা দেখতে পাননি গাড়ির চালক। লাইন পার করার আগেই ট্রেনটি সজোরে ধাক্কা মারে গাড়িটিতে। দুমড়ে-মুচড়ে যায় গাড়িটি। প্রায় এক কিলোমিটার ট্রেনের সঙ্গেই ধাক্কা খেতে এগিয়ে যায় গাড়িটি।

স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ, মিরসরাইয়ের কাছে ওই অংশে ট্রেনলাইনে কোনও সিগন্যালের ব্যবস্থা নেই। দুর্ঘটনার সময়ে কোনও রক্ষীও ছিল না। ট্রেন লাইনের উপরে গাড়ি চলাচল নিয়ন্ত্রণ করতে ভরসা শুধু একটি বাঁশ। দুর্ঘটনার পরই রেল চলাচল বন্ধ করে দেওয়া হয় ওই লাইনে।

 

 

 

সর্বধিক পাঠিত

আলিগড় বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে শিক্ষককে গুলি করে খুন, চাঞ্চল্য এএমইউ জুড়ে

Copyright © Puber Kalom All rights reserved.| Developed by eTech Builder

বাংলাদেশের চট্টগ্রামে ট্রেনের সঙ্গে বাসের ধাক্কা, ১১ জনের প্রাণহানি, ৫ সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন

আপডেট : ৩০ জুলাই ২০২২, শনিবার

পুবের কলম, ওয়েবডেস্ক: ট্রেনের সঙ্গে বাসের ধাক্কায় বাংলাদেশের চট্টগ্রামের মিরসরাইতে মৃত্যু হয়েছে কমপক্ষে ১১ জনের। শুক্রবার বেলা দেড়টা নাগাদ এই ঘটনা ঘটে। জখম হয়েছে আরও পাঁচজন। কোনও সিগন্যাল ও রক্ষী না থাকার জন্য অবাধে রেললাইনের ওপর দিয়ে ট্রেন চলাচল করে। রক্ষীবিহীন রেললাইন পার হতে গিয়েই এই ভয়ঙ্কর দুর্ঘটনা ঘটে। ইতিমধ্যেই দুর্ঘটনার তদন্ত করতে ৫ সদস্যের একটি কমিটিও গঠন করা হয়েছে বলে জানা গিয়েছে।

মিরসরাই থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা কবির হোসেন জানিয়েছেন, ঢাকা থেকে চট্টগ্রামমুখী একটি ট্রেনের সঙ্গে ধাক্কা খায় মাইক্রোবাসটি। এতে ঘটনাস্থলেই ১১ জনের মৃত্যু হয়। আহত হন তিনজন। হতাহতদের বাড়ি হাটহাজারীর আমানবাজার এলাকায় বলে জানা গেছে।

আরও পড়ুন: হাদিকে হত্যা করে নির্বাচন বানচালের চেষ্টার অভিযোগ, ইউনূস সরকারের একাংশকে দায়ী নিহতের দাদা

পুলিশ ও কয়েকজন প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা যায়, খৈয়াছড়া ঝরনা নামের পর্যটন স্পট থেকে গোসল করে ফেরার পথে এ দুর্ঘটনা ঘটে। ট্রেনটি ধাক্কা দেওয়ার পর মাইক্রোবাসটিকে প্রায় এক কিলোমিটার ঠেলে নিয়ে যায়। হতাহত সবাই  মাইক্রোবাসের যাত্রী।

আরও পড়ুন: বাংলাদেশের উচিত সংযত হওয়া, ভারত পরমাণু শক্তিধর: সেভেন সিস্টার্স নিয়ে পাল্টা হুঁশিয়ারি হিমন্তের

রেলওয়ে সূত্রে খবর,  ট্রেনটি ছিল ঢাকা থেকে চট্টগ্রামমুখী মহানগর প্রভাতী।

আরও পড়ুন: শারীরিক অবস্থার অবনতি খালেদা জিয়ার, সিসিইউ-তে প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী

বাংলাদেশ রেলওয়ে কর্তৃপক্ষের তরফে জানানো হয়েছে, পড়ুয়াবোঝাই ওই মাইক্রোবাসটি দ্রুতগতিতে আসছিল। সোজা রেললাইনে উঠে পড়ে গাড়িটি। এদিকে সেই সময়ই লাইন দিয়ে ঢাকা-চট্টগ্রামগামী মহানগর প্রভাতী ট্রেনটি যে আসছে, তা দেখতে পাননি গাড়ির চালক। লাইন পার করার আগেই ট্রেনটি সজোরে ধাক্কা মারে গাড়িটিতে। দুমড়ে-মুচড়ে যায় গাড়িটি। প্রায় এক কিলোমিটার ট্রেনের সঙ্গেই ধাক্কা খেতে এগিয়ে যায় গাড়িটি।

স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ, মিরসরাইয়ের কাছে ওই অংশে ট্রেনলাইনে কোনও সিগন্যালের ব্যবস্থা নেই। দুর্ঘটনার সময়ে কোনও রক্ষীও ছিল না। ট্রেন লাইনের উপরে গাড়ি চলাচল নিয়ন্ত্রণ করতে ভরসা শুধু একটি বাঁশ। দুর্ঘটনার পরই রেল চলাচল বন্ধ করে দেওয়া হয় ওই লাইনে।