২৯ জুলাই ২০২৫, মঙ্গলবার, ১৩ শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

আচার্য প্রফুল্লচন্দ্র রায়ের ১৬১ তম জন্মদিন উপলক্ষে তাঁর স্মরণে বিশেষ অনুষ্ঠান

বিপাশা চক্রবর্তী
  • আপডেট : ২ অগাস্ট ২০২১, সোমবার
  • / 81

পুবের কলম, ওয়েবডেস্ক: ১৮৬১ সালে ২ আগস্ট অধুনা বাংলাদেশের যশোর জেলায় জন্মগ্রহণ করেন আচার্য প্রফুল্লচন্দ্র রায়। কল্যাণী বিশ্ববিদ্যালয়ের রসায়ন বিভাগের উদ্যোগে আচার্য প্রফুল্লচন্দ্র রায়ের ১৬১ তম জন্মদিন উপলক্ষে কোভিড বিধিনিষেধ মেনেই বিশেষ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। সোমবার দিনটি ছিল বিজ্ঞান দিবস। কল্যাণী বিশ্ববিদ্যালয়ের রসায়ন বিভাগে আচার্য প্রফুল্লচন্দ্র রায়ের ১৬১তম জন্মদিন উপলক্ষে স্মরণ অনুষ্ঠানে তাঁর আবক্ষমূর্তীতে মাল্যদান করলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক মানস কুমার সান্যাল, সহ উপাচার্য তথা বরিষ্ঠ অধ্যাপক গৌতম পাল। এদিন উপাচার্য এবং সহ উপাচার্য দুজনেই মূল্যবান বক্তব্য রাখেন। এছাড়াও রসয়ান বিভাগের কিছু অধ্যাপক, অধ্যাপিকা, ল্যাব টেকনিশিয়ান, অফিস কর্মী সহ গবেষকরা মাল্যদান ও ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন।

আরও পড়ুন: ওবিসি সংরক্ষণ কার্যকর হচ্ছে না, বিভিন্ন উপায়ে ওবিসিদের আটকে দেওয়ার অভিযোগ, সমাধান কোনপথে? লিখছেন আইআইটি মুম্বাইয়ের গবেষক

আচার্য প্রফুল্লচন্দ্র রায়ের ১৬১ তম জন্মদিন উপলক্ষে তাঁর স্মরণে বিশেষ অনুষ্ঠান

রসায়ন বিভাগের স্বনামধন্য অধ্যাপক অশোক প্রসূন চট্টোপাধ্যায়, সুরজিৎ চট্টোপাধ্যায়, মিতালী সরকার, সুভাষ দেবনাথ, মনীন্দ্রনাথ বেরা, অষ্টম কুমার মহাপাত্র, বিভাগীয় প্রধান কুমারেশ ঘোষ উপস্থিত ছিলেন। 

আরও পড়ুন: টেক্সাসে সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত ১০, আহত ২০

আচার্য প্রফুল্লচন্দ্র রায়ের স্মরণে এদিন কোভিড বিধিনিষেধ মেনেই কর্মসূচি সফল করতে উপস্থিত ছিলেন রসায়ন বিভাগের অফিস সমন্বয়কারী ফারুক আহমেদ।

আরও পড়ুন: হিজরি নববর্ষের আগাম শুভেচ্ছা জানাল আরব আমিরাত

কেবল বিজ্ঞানশিক্ষা নয়, সমগ্র বাঙালি জাতিকে বিজ্ঞান মনস্ক এবং বিজ্ঞান চেতনায় জাগরুক করে তোলা, তাঁর আজীবনের সাধনা দেশবাসীকে অনুপ্রেরণা যুগিয়েছে। বাংলা ভাষায় বিজ্ঞান শিক্ষা ও প্রসার ছিল তাঁর ব্রত। ব্যবসাবিমুখ বাঙালিকে সাবলম্বী উপার্জনে অনুপ্রাণিত করা ছিল তাঁর লক্ষ্য।

রসায়ন তথা বিজ্ঞানসাধনায় তাঁর অবদান সর্বজনবিদিত। বাংলাভাষায় বিজ্ঞান চর্চাতেও আচার্যের অবদান অনস্বীকার্য।

‘Life and Experience of a Bengali Chemist” তাঁর আত্মচরিত। ইংরেজি ও বাংলায় রচিত বহু গ্রন্থ তাঁর সাহিত্য সাধনার পরিচয় বহন করে। তাঁর আত্মচরিত ইংরেজিতে লেখা হলেও বিপুল জনপ্রিয়তা লাভ করে এবং পাঁচ বছরের মধ্যে আত্মচরিতের বাংলা সংস্করণ প্রকাশিত হয়।

এ ছাড়া বাংলায় লেখা “বাঙালির মস্তিষ্ক ও তার অপব্যবহার এবং অন্নসমস্যায় বাঙালির পরাজয় ও তার প্রতিকার’ তাঁর অন্যতম উল্লেখযোগ্য প্রবন্ধ। তাঁর বিখ্যাত গ্রন্থ “History of Hindu Chemistry” দুই খণ্ডে প্রকাশিত হয়। চরক, সুশ্রুত, বাণভট্ট, বৃন্দ, চক্রপাণি কিংবা নাগার্জুন যে দীর্ঘ বর্ণনা দিয়েছেন সেই সব অজানা তথ্যকে প্রফুল্লচন্দ্র দুখণ্ডে প্রকাশ করেছিলেন। আর এটিই তাঁর দীর্ঘ গবেষণা সমৃদ্ধ রচনা।

ব্রিটিশরা চিরকালই ভারতীয়দের হেয় দৃষ্টিতে দেখেছে। কিন্তু সেই সময় প্রফুল্লচন্দ্র তাঁর মেধা ও গবেষণা দ্বারা প্রমাণ করেছিলেন, ভারতবাসীরাও পিছিয়ে থাকার নয়। শুধু তাই নয় রসায়ন শিক্ষার প্রসারে তার উদ্যোগী ভূমিকা স্মরণীয়। তিনি আজীবন দেশের মানুষের কল্যাণে নিজেকে নিয়োজিত করেছিলেন।

বিজ্ঞানসাধক প্রফুল্লচন্দ্র রায়ের জন্মদিনে শ্রদ্ধাবনত চিত্তে স্মরণ করল কল্যাণী বিশ্ববিদ্যালয়ের রসায়ন বিভাগ।

Copyright © Puber Kalom All rights reserved.| Developed by eTech Builder

আচার্য প্রফুল্লচন্দ্র রায়ের ১৬১ তম জন্মদিন উপলক্ষে তাঁর স্মরণে বিশেষ অনুষ্ঠান

আপডেট : ২ অগাস্ট ২০২১, সোমবার

পুবের কলম, ওয়েবডেস্ক: ১৮৬১ সালে ২ আগস্ট অধুনা বাংলাদেশের যশোর জেলায় জন্মগ্রহণ করেন আচার্য প্রফুল্লচন্দ্র রায়। কল্যাণী বিশ্ববিদ্যালয়ের রসায়ন বিভাগের উদ্যোগে আচার্য প্রফুল্লচন্দ্র রায়ের ১৬১ তম জন্মদিন উপলক্ষে কোভিড বিধিনিষেধ মেনেই বিশেষ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। সোমবার দিনটি ছিল বিজ্ঞান দিবস। কল্যাণী বিশ্ববিদ্যালয়ের রসায়ন বিভাগে আচার্য প্রফুল্লচন্দ্র রায়ের ১৬১তম জন্মদিন উপলক্ষে স্মরণ অনুষ্ঠানে তাঁর আবক্ষমূর্তীতে মাল্যদান করলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক মানস কুমার সান্যাল, সহ উপাচার্য তথা বরিষ্ঠ অধ্যাপক গৌতম পাল। এদিন উপাচার্য এবং সহ উপাচার্য দুজনেই মূল্যবান বক্তব্য রাখেন। এছাড়াও রসয়ান বিভাগের কিছু অধ্যাপক, অধ্যাপিকা, ল্যাব টেকনিশিয়ান, অফিস কর্মী সহ গবেষকরা মাল্যদান ও ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন।

আরও পড়ুন: ওবিসি সংরক্ষণ কার্যকর হচ্ছে না, বিভিন্ন উপায়ে ওবিসিদের আটকে দেওয়ার অভিযোগ, সমাধান কোনপথে? লিখছেন আইআইটি মুম্বাইয়ের গবেষক

আচার্য প্রফুল্লচন্দ্র রায়ের ১৬১ তম জন্মদিন উপলক্ষে তাঁর স্মরণে বিশেষ অনুষ্ঠান

রসায়ন বিভাগের স্বনামধন্য অধ্যাপক অশোক প্রসূন চট্টোপাধ্যায়, সুরজিৎ চট্টোপাধ্যায়, মিতালী সরকার, সুভাষ দেবনাথ, মনীন্দ্রনাথ বেরা, অষ্টম কুমার মহাপাত্র, বিভাগীয় প্রধান কুমারেশ ঘোষ উপস্থিত ছিলেন। 

আরও পড়ুন: টেক্সাসে সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত ১০, আহত ২০

আচার্য প্রফুল্লচন্দ্র রায়ের স্মরণে এদিন কোভিড বিধিনিষেধ মেনেই কর্মসূচি সফল করতে উপস্থিত ছিলেন রসায়ন বিভাগের অফিস সমন্বয়কারী ফারুক আহমেদ।

আরও পড়ুন: হিজরি নববর্ষের আগাম শুভেচ্ছা জানাল আরব আমিরাত

কেবল বিজ্ঞানশিক্ষা নয়, সমগ্র বাঙালি জাতিকে বিজ্ঞান মনস্ক এবং বিজ্ঞান চেতনায় জাগরুক করে তোলা, তাঁর আজীবনের সাধনা দেশবাসীকে অনুপ্রেরণা যুগিয়েছে। বাংলা ভাষায় বিজ্ঞান শিক্ষা ও প্রসার ছিল তাঁর ব্রত। ব্যবসাবিমুখ বাঙালিকে সাবলম্বী উপার্জনে অনুপ্রাণিত করা ছিল তাঁর লক্ষ্য।

রসায়ন তথা বিজ্ঞানসাধনায় তাঁর অবদান সর্বজনবিদিত। বাংলাভাষায় বিজ্ঞান চর্চাতেও আচার্যের অবদান অনস্বীকার্য।

‘Life and Experience of a Bengali Chemist” তাঁর আত্মচরিত। ইংরেজি ও বাংলায় রচিত বহু গ্রন্থ তাঁর সাহিত্য সাধনার পরিচয় বহন করে। তাঁর আত্মচরিত ইংরেজিতে লেখা হলেও বিপুল জনপ্রিয়তা লাভ করে এবং পাঁচ বছরের মধ্যে আত্মচরিতের বাংলা সংস্করণ প্রকাশিত হয়।

এ ছাড়া বাংলায় লেখা “বাঙালির মস্তিষ্ক ও তার অপব্যবহার এবং অন্নসমস্যায় বাঙালির পরাজয় ও তার প্রতিকার’ তাঁর অন্যতম উল্লেখযোগ্য প্রবন্ধ। তাঁর বিখ্যাত গ্রন্থ “History of Hindu Chemistry” দুই খণ্ডে প্রকাশিত হয়। চরক, সুশ্রুত, বাণভট্ট, বৃন্দ, চক্রপাণি কিংবা নাগার্জুন যে দীর্ঘ বর্ণনা দিয়েছেন সেই সব অজানা তথ্যকে প্রফুল্লচন্দ্র দুখণ্ডে প্রকাশ করেছিলেন। আর এটিই তাঁর দীর্ঘ গবেষণা সমৃদ্ধ রচনা।

ব্রিটিশরা চিরকালই ভারতীয়দের হেয় দৃষ্টিতে দেখেছে। কিন্তু সেই সময় প্রফুল্লচন্দ্র তাঁর মেধা ও গবেষণা দ্বারা প্রমাণ করেছিলেন, ভারতবাসীরাও পিছিয়ে থাকার নয়। শুধু তাই নয় রসায়ন শিক্ষার প্রসারে তার উদ্যোগী ভূমিকা স্মরণীয়। তিনি আজীবন দেশের মানুষের কল্যাণে নিজেকে নিয়োজিত করেছিলেন।

বিজ্ঞানসাধক প্রফুল্লচন্দ্র রায়ের জন্মদিনে শ্রদ্ধাবনত চিত্তে স্মরণ করল কল্যাণী বিশ্ববিদ্যালয়ের রসায়ন বিভাগ।