০১ অগাস্ট ২০২৫, শুক্রবার, ১৬ শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে প্রধানমন্ত্রী গ্রামীণ আবাস যোজনায় ৮২০০ কোটি টাকা রাজ্যকে বরাদ্দ করল কেন্দ্র

বিপাশা চক্রবর্তী
  • আপডেট : ২৪ নভেম্বর ২০২২, বৃহস্পতিবার
  • / 26

ফাইল চিত্র

পুবের কলম প্রতিবেদকঃ  কেন্দ্রীয় বরাদ্দ নিয়ে গত কয়েকদিন ধরে বারবারই সরব হতে দেখা গিয়েছে বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে। দেরিতে হলেও অবশেষে পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে প্রধানমন্ত্রী গ্রামীণ আবাস যোজনায় টাকা বরাদ্দ করল কেন্দ্রীয় সরকার। অবশেষে রাজ্য সরকারের কাছে এলো সুখবর। এই প্রকল্পে এবার ৮২০০ কোটি টাকা পেতে চলেছে রাজ্য সরকার।

যে সময় কেন্দ্রীয় সরকার এই বরাদ্দ করলেন তা যথেষ্ট গুরুত্বপূর্ণ বলেই মনে করছে রাজনৈতিক মহল। পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে রাজনৈতিক দল গুলির হাতে সময় কম। ইতিমধ্যেই পুরো দস্তুর প্রচারে নেমে পড়েছে রাজ্যের শাসক এবং বিরোধীরা।

আরও পড়ুন: রাজ্যের নয়া মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিক মনোজ আগরওয়াল

এই অবস্থায় কেন্দ্রের অসহযোগিতার কারণে গরিব মানুষদের জন্য নেওয়া প্রকল্প রূপায়ণ করা যাচ্ছে না এটা বিজেপির জন্য একটা বড় অস্বস্তির কারণ হতে পারতো। আর তাই এই সময় এই টাকা প্রদান বরং প্রচারে বিজেপিকে বাড়তি সুবিধা করে দেবে বলে মনে করছেন তারা।

আরও পড়ুন: সউদি আরবে বহু খালি জায়গা, সেখানে ফিলিস্তিনি রাষ্ট্র হোক : নেতানিয়াহু

যদিও এদিনের বরাদ্দের খবর প্রকাশ্যে আসার পর নবান্নের তরফ থেকে সেভাবে প্রতিক্রিয়া জানানো হয়নি। বরং এক্ষেত্রে নবান্নের আধিকারিকেরা এ কথাই বলছেন যে পঞ্চদশ অর্থকমিশনের সুপারিশের পর রাজ্য স্তরে কিছু কেন্দ্রীয় প্রকল্পে দিল্লির সরকারের বরাদ্দ করার কথা। কাজেই রাজ্যকে হকের টাকায় দিয়েছে কেন্দ্র। ১১ লক্ষ্য বাড়ির জন্য রাজ্যের শেয়ার এবং কেন্দ্রের শেয়ার মিলে মূল বরাদ্দ ১৩ হাজার কোটি টাকার কিছু বেশি। সেই অনুযায়ী গ্রামীণ আবাস যোজনায় ৮২০০ কোটি টাকা বরাদ্দ করেছে কেন্দ্রীয় গ্রামোন্নয়ন মন্ত্রক। বাকি টাকা দিতে হবে রাজ্য সরকারকেই।

আরও পড়ুন: রাজ্যজুড়ে ভারী বৃষ্টির পূর্বাভাস

যদিও এই আনন্দের দিনেও রাজ্যের পঞ্চায়েত এবং গ্রামোন্নয়ন মন্ত্রী প্রদীপ মজুমদার বলেন, দীর্ঘদিন ধরে রাজ্যের প্রাপ্য ১০০ দিনের টাকা এবং গ্রামীণ আবাস যোজনা টাকা আটকে রেখেছিল কেন্দ্রীয় সরকার। গ্রামীন আবাস যোজনার জন্য বরাদ্দ ঘোষণা করা হলেও ১০০ দিনের জন্য বরাদ্দ এখনো দেওয়া হয়নি। যারা কাজ করেছেন টাকা পাওয়া তাদের অধিকার। তাই কেন্দ্র যাতে এই বিষয়টি বিবেচনা করে। তার মতে, রাজ্যের তরফ থেকে সমস্ত কাগজ দেওয়া হয়েছে কেন্দ্রকে। নতুন করে রাজ্যের কাছে কেন্দ্রের তরফে কোন তথ্য তলাশ করা হয়নি। তারপরেও কেন টাকা দেওয়া হচ্ছে না তাই বুঝতে পারছেন না তিনি।

Copyright © Puber Kalom All rights reserved.| Developed by eTech Builder

পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে প্রধানমন্ত্রী গ্রামীণ আবাস যোজনায় ৮২০০ কোটি টাকা রাজ্যকে বরাদ্দ করল কেন্দ্র

আপডেট : ২৪ নভেম্বর ২০২২, বৃহস্পতিবার

পুবের কলম প্রতিবেদকঃ  কেন্দ্রীয় বরাদ্দ নিয়ে গত কয়েকদিন ধরে বারবারই সরব হতে দেখা গিয়েছে বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে। দেরিতে হলেও অবশেষে পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে প্রধানমন্ত্রী গ্রামীণ আবাস যোজনায় টাকা বরাদ্দ করল কেন্দ্রীয় সরকার। অবশেষে রাজ্য সরকারের কাছে এলো সুখবর। এই প্রকল্পে এবার ৮২০০ কোটি টাকা পেতে চলেছে রাজ্য সরকার।

যে সময় কেন্দ্রীয় সরকার এই বরাদ্দ করলেন তা যথেষ্ট গুরুত্বপূর্ণ বলেই মনে করছে রাজনৈতিক মহল। পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে রাজনৈতিক দল গুলির হাতে সময় কম। ইতিমধ্যেই পুরো দস্তুর প্রচারে নেমে পড়েছে রাজ্যের শাসক এবং বিরোধীরা।

আরও পড়ুন: রাজ্যের নয়া মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিক মনোজ আগরওয়াল

এই অবস্থায় কেন্দ্রের অসহযোগিতার কারণে গরিব মানুষদের জন্য নেওয়া প্রকল্প রূপায়ণ করা যাচ্ছে না এটা বিজেপির জন্য একটা বড় অস্বস্তির কারণ হতে পারতো। আর তাই এই সময় এই টাকা প্রদান বরং প্রচারে বিজেপিকে বাড়তি সুবিধা করে দেবে বলে মনে করছেন তারা।

আরও পড়ুন: সউদি আরবে বহু খালি জায়গা, সেখানে ফিলিস্তিনি রাষ্ট্র হোক : নেতানিয়াহু

যদিও এদিনের বরাদ্দের খবর প্রকাশ্যে আসার পর নবান্নের তরফ থেকে সেভাবে প্রতিক্রিয়া জানানো হয়নি। বরং এক্ষেত্রে নবান্নের আধিকারিকেরা এ কথাই বলছেন যে পঞ্চদশ অর্থকমিশনের সুপারিশের পর রাজ্য স্তরে কিছু কেন্দ্রীয় প্রকল্পে দিল্লির সরকারের বরাদ্দ করার কথা। কাজেই রাজ্যকে হকের টাকায় দিয়েছে কেন্দ্র। ১১ লক্ষ্য বাড়ির জন্য রাজ্যের শেয়ার এবং কেন্দ্রের শেয়ার মিলে মূল বরাদ্দ ১৩ হাজার কোটি টাকার কিছু বেশি। সেই অনুযায়ী গ্রামীণ আবাস যোজনায় ৮২০০ কোটি টাকা বরাদ্দ করেছে কেন্দ্রীয় গ্রামোন্নয়ন মন্ত্রক। বাকি টাকা দিতে হবে রাজ্য সরকারকেই।

আরও পড়ুন: রাজ্যজুড়ে ভারী বৃষ্টির পূর্বাভাস

যদিও এই আনন্দের দিনেও রাজ্যের পঞ্চায়েত এবং গ্রামোন্নয়ন মন্ত্রী প্রদীপ মজুমদার বলেন, দীর্ঘদিন ধরে রাজ্যের প্রাপ্য ১০০ দিনের টাকা এবং গ্রামীণ আবাস যোজনা টাকা আটকে রেখেছিল কেন্দ্রীয় সরকার। গ্রামীন আবাস যোজনার জন্য বরাদ্দ ঘোষণা করা হলেও ১০০ দিনের জন্য বরাদ্দ এখনো দেওয়া হয়নি। যারা কাজ করেছেন টাকা পাওয়া তাদের অধিকার। তাই কেন্দ্র যাতে এই বিষয়টি বিবেচনা করে। তার মতে, রাজ্যের তরফ থেকে সমস্ত কাগজ দেওয়া হয়েছে কেন্দ্রকে। নতুন করে রাজ্যের কাছে কেন্দ্রের তরফে কোন তথ্য তলাশ করা হয়নি। তারপরেও কেন টাকা দেওয়া হচ্ছে না তাই বুঝতে পারছেন না তিনি।