১৭ জুন ২০২৫, মঙ্গলবার, ২ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

পৌষমেলা করতে চেয়ে বিশ্বভারতীকে চিঠি বোলপুর পুরসভার

পুবের কলম
  • আপডেট : ২২ নভেম্বর ২০২১, সোমবার
  • / 10

দেবশ্রী মজুমদার, রামপুরহাট: বিশ্বভারতী পৌষমেলা আয়োজন করতে ইচ্ছুক নয় এমনটাই বিশ্বস্ত সূত্রে জানতে পেরে এই বিষয় নিয়ে তৎপর হল বোলপুর পুরসভা। 

জানা গেছে, শান্তিনিকেতনে পৌষমেলার আয়োজন করতে আগ্রহ প্রকাশ করে বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষকে চিঠি দিল বোলপুর পুরসভা। এব‍্যাপারে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য বিদ‍্যুৎ চক্রবর্তী ছাড়াও শান্তি নিকেতন ট্রাস্টের সদস‍্য সবুজ কলি সেন,  কালি কিঙ্কর চট্টোপাধ্যায় ও অনিল কোনারকে ও একই আবেদন নিয়ে চিঠি দেওয়া হয়েছে পুরসভার তরফে।   এনিয়ে একটি প্রশাসনিক বৈঠকের পর সোমবার  বিকেল চার ঘটিকায় সাংবাদিক বৈঠক করে সেই কথায় জানান, বোলপুর পুরসভার প্রশাসক মণ্ডলীর চেয়ারপার্সন পর্ণা ঘোষ।

আরও পড়ুন: হাজিরা এড়ালেন প্রাক্তন উপাচার্য, কোর্টের ভৎর্সনার মুখে বিদ্যুৎ

পৌষমেলা করতে চেয়ে বিশ্বভারতীকে চিঠি বোলপুর পুরসভার

উল্লেখ্য,  মেলার মাঠের জন‍্য বিশ্বভারতীকে কুড়ি হাজার টাকা জমা দিতে হয় ট্রাস্টকে। পুরো মেলাটি চলে শান্তিনিকেতন ট্রাস্টের ত্বত্তাবধানে। তারপর সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের নির্ঘন্ট তৈরি করে কর্মী মণ্ডলী। গত বছর কোভিড অতিমারীর কারণে পৌষমেলা বন্ধ থাকে। পশ্চিমবঙ্গের বিভিন্ন জায়গার কুটির শিল্পী থেকে সারা ভারত ও স্থানীয় ব‍্যবসায়ীদের হতাশ হতে হয়। এই পৌষ মেলার দিকে তাকিয়ে থাকে সারা দেশ এবং দেশ ছাড়িয়ে বিভিন্ন পেশার মানুষ।

আরও পড়ুন: বিশ্ব ভারতীতে কালী আরাধনার নিয়ে ‘লেকচার সিরিজ’, সভা ২৫ জুলাই, তুঙ্গে বিতর্ক

অভিযোগ, কোভিডকে হাতিয়ার করে মেলার ব‍্যাপারে বার বার অনীহা প্রকাশ করে বিশ্বভারতী। এর আগেও এই অনীহার কারণে আদালতে মামলা গড়ায়। হয় বিস্তর বিতর্ক হয়। ২০১৯ সালে নমো নমো করে পৌষমেলা হলেও করোনার কারণে ২০২০ সালে পৌষ মেলা হয়নি। এবছরও পৌষমেলা করার কোনও উদ্যোগ নিতে দেখতে পাওয়া যাচ্ছে না। করোনা এখন অনেকটাই নিয়ন্ত্রণে। স্কুল কলেজের দরজা যেমন খুলেছে সেভাবেই নানা উৎসব অনুস্থানেও ছাড় দেওয়া হচ্ছে। সেটার উল্লেখ করেই শান্তিনিকেতন ট্রাস্টের তিন সদস্যকে গত ১৫ নভেম্বর চিঠি পাঠিয়ে পৌষমেলা করার আবেদন জানিয়েছিল পৌষমেলা বাঁচাও কমিটি। সময় বেশি নেই তাই প্রস্তুতি শুরু করে দেওয়ারও আবেদন জানান পর্ণা দেবী।

আরও পড়ুন: বিশ্বভারতী:  ছাত্রকে জাতি বৈষম্যমূলক মন্তব্যে ধৃত অধ্যাপকের জেল হেফাজতের নির্দেশ

জানা গেছে, পুরসভার তরফে উপাচার্য সহ ট্রাস্টকে চিঠি দিয়ে বলা হয়েছে। নিয়ম মাফিক কুড়ি হাজার টাকা জমা দিয়ে বোলপুর পুরসভা বিশ্ববিদ্যালয়ের মাঠ নিয়ে ট্রাস্টকে সঙ্গে নিয়ে মেলার আয়োজন করতে চায়। যদি গঙ্গা সাগর মেলার আয়োজন রাজ‍্যসরকার যথাযথভাবে করতে পারে তাহলে শান্তি নিকেতনের পৌষমেলা নয় কেন?  সমস্ত কোভিডবিধি মেনেই তারা এই মেলার আয়োজন করতে উদ্যোগী।

সূত্রের খবর, বিশ্বভারতী অনুমতি না দিলে, পৌষ মেলার আয়োজন করা হবে ডাকবাংলো মাঠে। ১২৬ বছরের পুরনো শান্তিনিকেতনের পৌষ মেলা যেন সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন করা সম্ভব হয়, চিঠিতে সেই আবেদন করা হয়েছে।

বোলপুর পৌরসভা পৌর প্রশাসক মন্ডলীর চেয়ারপারসন পর্ণা ঘোষ সোমবার বিকালে সাংবাদিক সম্মেলন করে বলেন বোলপুর তথা এই রাজ্য ও এই দেশের সংস্কৃতির সঙ্গে ঐতিহ্যবাহী এই পৌষ মেলা অঙ্গাঙ্গিভাবে জড়িত। আমরা বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষকে চিঠি দিয়ে এই পৌষ মেলা করবার আবেদন জানিয়েছি। আমরা তাদের উত্তরের অপেক্ষায় আছি। তা না হলে পরবর্তী কি পদক্ষেপ নেওয়া হবে তা নিয়ে আমরা চিন্তাভাবনা করব, কিন্তু আমরা চাই পৌষ মেলা হোক।”

Copyright © Puber Kalom All rights reserved.| Developed by eTech Builder

পৌষমেলা করতে চেয়ে বিশ্বভারতীকে চিঠি বোলপুর পুরসভার

আপডেট : ২২ নভেম্বর ২০২১, সোমবার

দেবশ্রী মজুমদার, রামপুরহাট: বিশ্বভারতী পৌষমেলা আয়োজন করতে ইচ্ছুক নয় এমনটাই বিশ্বস্ত সূত্রে জানতে পেরে এই বিষয় নিয়ে তৎপর হল বোলপুর পুরসভা। 

জানা গেছে, শান্তিনিকেতনে পৌষমেলার আয়োজন করতে আগ্রহ প্রকাশ করে বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষকে চিঠি দিল বোলপুর পুরসভা। এব‍্যাপারে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য বিদ‍্যুৎ চক্রবর্তী ছাড়াও শান্তি নিকেতন ট্রাস্টের সদস‍্য সবুজ কলি সেন,  কালি কিঙ্কর চট্টোপাধ্যায় ও অনিল কোনারকে ও একই আবেদন নিয়ে চিঠি দেওয়া হয়েছে পুরসভার তরফে।   এনিয়ে একটি প্রশাসনিক বৈঠকের পর সোমবার  বিকেল চার ঘটিকায় সাংবাদিক বৈঠক করে সেই কথায় জানান, বোলপুর পুরসভার প্রশাসক মণ্ডলীর চেয়ারপার্সন পর্ণা ঘোষ।

আরও পড়ুন: হাজিরা এড়ালেন প্রাক্তন উপাচার্য, কোর্টের ভৎর্সনার মুখে বিদ্যুৎ

পৌষমেলা করতে চেয়ে বিশ্বভারতীকে চিঠি বোলপুর পুরসভার

উল্লেখ্য,  মেলার মাঠের জন‍্য বিশ্বভারতীকে কুড়ি হাজার টাকা জমা দিতে হয় ট্রাস্টকে। পুরো মেলাটি চলে শান্তিনিকেতন ট্রাস্টের ত্বত্তাবধানে। তারপর সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের নির্ঘন্ট তৈরি করে কর্মী মণ্ডলী। গত বছর কোভিড অতিমারীর কারণে পৌষমেলা বন্ধ থাকে। পশ্চিমবঙ্গের বিভিন্ন জায়গার কুটির শিল্পী থেকে সারা ভারত ও স্থানীয় ব‍্যবসায়ীদের হতাশ হতে হয়। এই পৌষ মেলার দিকে তাকিয়ে থাকে সারা দেশ এবং দেশ ছাড়িয়ে বিভিন্ন পেশার মানুষ।

আরও পড়ুন: বিশ্ব ভারতীতে কালী আরাধনার নিয়ে ‘লেকচার সিরিজ’, সভা ২৫ জুলাই, তুঙ্গে বিতর্ক

অভিযোগ, কোভিডকে হাতিয়ার করে মেলার ব‍্যাপারে বার বার অনীহা প্রকাশ করে বিশ্বভারতী। এর আগেও এই অনীহার কারণে আদালতে মামলা গড়ায়। হয় বিস্তর বিতর্ক হয়। ২০১৯ সালে নমো নমো করে পৌষমেলা হলেও করোনার কারণে ২০২০ সালে পৌষ মেলা হয়নি। এবছরও পৌষমেলা করার কোনও উদ্যোগ নিতে দেখতে পাওয়া যাচ্ছে না। করোনা এখন অনেকটাই নিয়ন্ত্রণে। স্কুল কলেজের দরজা যেমন খুলেছে সেভাবেই নানা উৎসব অনুস্থানেও ছাড় দেওয়া হচ্ছে। সেটার উল্লেখ করেই শান্তিনিকেতন ট্রাস্টের তিন সদস্যকে গত ১৫ নভেম্বর চিঠি পাঠিয়ে পৌষমেলা করার আবেদন জানিয়েছিল পৌষমেলা বাঁচাও কমিটি। সময় বেশি নেই তাই প্রস্তুতি শুরু করে দেওয়ারও আবেদন জানান পর্ণা দেবী।

আরও পড়ুন: বিশ্বভারতী:  ছাত্রকে জাতি বৈষম্যমূলক মন্তব্যে ধৃত অধ্যাপকের জেল হেফাজতের নির্দেশ

জানা গেছে, পুরসভার তরফে উপাচার্য সহ ট্রাস্টকে চিঠি দিয়ে বলা হয়েছে। নিয়ম মাফিক কুড়ি হাজার টাকা জমা দিয়ে বোলপুর পুরসভা বিশ্ববিদ্যালয়ের মাঠ নিয়ে ট্রাস্টকে সঙ্গে নিয়ে মেলার আয়োজন করতে চায়। যদি গঙ্গা সাগর মেলার আয়োজন রাজ‍্যসরকার যথাযথভাবে করতে পারে তাহলে শান্তি নিকেতনের পৌষমেলা নয় কেন?  সমস্ত কোভিডবিধি মেনেই তারা এই মেলার আয়োজন করতে উদ্যোগী।

সূত্রের খবর, বিশ্বভারতী অনুমতি না দিলে, পৌষ মেলার আয়োজন করা হবে ডাকবাংলো মাঠে। ১২৬ বছরের পুরনো শান্তিনিকেতনের পৌষ মেলা যেন সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন করা সম্ভব হয়, চিঠিতে সেই আবেদন করা হয়েছে।

বোলপুর পৌরসভা পৌর প্রশাসক মন্ডলীর চেয়ারপারসন পর্ণা ঘোষ সোমবার বিকালে সাংবাদিক সম্মেলন করে বলেন বোলপুর তথা এই রাজ্য ও এই দেশের সংস্কৃতির সঙ্গে ঐতিহ্যবাহী এই পৌষ মেলা অঙ্গাঙ্গিভাবে জড়িত। আমরা বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষকে চিঠি দিয়ে এই পৌষ মেলা করবার আবেদন জানিয়েছি। আমরা তাদের উত্তরের অপেক্ষায় আছি। তা না হলে পরবর্তী কি পদক্ষেপ নেওয়া হবে তা নিয়ে আমরা চিন্তাভাবনা করব, কিন্তু আমরা চাই পৌষ মেলা হোক।”