২৩ জুন ২০২৫, সোমবার, ৮ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

চিতাবাঘের হানায় শিশুর মৃত্যু

সামিমা এহসানা
  • আপডেট : ২০ ডিসেম্বর ২০২২, মঙ্গলবার
  • / 13

পুবের কলম ওয়েব ডেস্ক : দশ দিনে তিনবার। এবার চিতাবাঘের হানায় মৃত্যু হল ৬ বছরের শিশুকন্যার। সোমবার রাঁচি থেকে ২১০ কিলোমিটার দূরে রাঙ্কা এলাকার সেবাদিহ গ্রামে ৬ বছরের সীতা কুমারি শৌচকার্যের জন্য বাড়ির বাইরে বেরোলে একটি ঘাতক চিতাবাঘ তাকে আক্রমণ করে। বন দফতরের আধিকারিকদের সন্দেহ,গত দশ দিনে এলাকায় যে তিনটি শিশুর মৃত্যু হয়েছে তার জন্য দায়ী এই চিতাটি।

গাড়োয়ার বিভাগীয় বন কর্মকর্তা শশী কুমার জানিয়েছেন, শিশুটিকে আক্রমণ করতে দেখে গ্রামবাসীরা লাঠি  হাতে তাড়া করেন ওই চিতাবাঘটিকে। ভয় পেয়ে সে জঙ্গলে ঢুকে পড়ে এবং শিশুটিকে ফেলে রেখে যায়। ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় শিশুটির। গ্রামবাসীরাই ওই শিশুর মৃতদেহ উদ্ধার করেন।

আরও পড়ুন: বাণিজ্যনগরী মুম্বইয়ের উপকন্ঠে চিতার হানা, আহত ৩, অনেক কষ্টে বাগে আনলেন বন কর্মীরা

স্থানীয় বন কর্মকর্তারা ওই শিশুর পরিবারকে আপাতত ১০ হাজার টাকার ত্রাণ দিয়েছেন। তদন্ত শেষ হওয়ার পর পর্যাপ্ত ক্ষতিপূরণ দেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন ওই আধিকারিক।

আরও পড়ুন: ডুয়ার্সে চিতার হামলায় গুরুতর আহত মহিলা চা শ্রমিক

গত ১৪ ডিসেম্বর রোডো গ্রামের ৬ বছরের এক বালিকার উপর ঝাঁপিয়ে পড়ে একটি চিতাবাঘ। ১০ ডিসেম্বর একই ঘটনার শিকার হয় লাতেহার জেলার ১২ বছরের একটি শিশুকন্যা। এই তিনটি ঘটনার পিছনে দায়ী ওই চিতাবাঘটি বলে মনে করছেন বন আধিকারিকরা। চিতাবাঘটিকে ‘নর খাদক’ ঘোষণা করার কথা ভাবছেন আধিকারিকরা। অন্যদিকে খাঁচা বন্দী করার সবরকম চেষ্টা চলছে বলে জানিয়েছেন শশী কুমার। বারবার একই ঘটনার সাক্ষী ভীতসন্ত্রস্ত গ্রামবাসীরা বন দফতরের কাছে অভিযোগ জানিয়েও এখনও পর্যন্ত কোনো সুরাহা পাননি।

 

Copyright © Puber Kalom All rights reserved.| Developed by eTech Builder

চিতাবাঘের হানায় শিশুর মৃত্যু

আপডেট : ২০ ডিসেম্বর ২০২২, মঙ্গলবার

পুবের কলম ওয়েব ডেস্ক : দশ দিনে তিনবার। এবার চিতাবাঘের হানায় মৃত্যু হল ৬ বছরের শিশুকন্যার। সোমবার রাঁচি থেকে ২১০ কিলোমিটার দূরে রাঙ্কা এলাকার সেবাদিহ গ্রামে ৬ বছরের সীতা কুমারি শৌচকার্যের জন্য বাড়ির বাইরে বেরোলে একটি ঘাতক চিতাবাঘ তাকে আক্রমণ করে। বন দফতরের আধিকারিকদের সন্দেহ,গত দশ দিনে এলাকায় যে তিনটি শিশুর মৃত্যু হয়েছে তার জন্য দায়ী এই চিতাটি।

গাড়োয়ার বিভাগীয় বন কর্মকর্তা শশী কুমার জানিয়েছেন, শিশুটিকে আক্রমণ করতে দেখে গ্রামবাসীরা লাঠি  হাতে তাড়া করেন ওই চিতাবাঘটিকে। ভয় পেয়ে সে জঙ্গলে ঢুকে পড়ে এবং শিশুটিকে ফেলে রেখে যায়। ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় শিশুটির। গ্রামবাসীরাই ওই শিশুর মৃতদেহ উদ্ধার করেন।

আরও পড়ুন: বাণিজ্যনগরী মুম্বইয়ের উপকন্ঠে চিতার হানা, আহত ৩, অনেক কষ্টে বাগে আনলেন বন কর্মীরা

স্থানীয় বন কর্মকর্তারা ওই শিশুর পরিবারকে আপাতত ১০ হাজার টাকার ত্রাণ দিয়েছেন। তদন্ত শেষ হওয়ার পর পর্যাপ্ত ক্ষতিপূরণ দেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন ওই আধিকারিক।

আরও পড়ুন: ডুয়ার্সে চিতার হামলায় গুরুতর আহত মহিলা চা শ্রমিক

গত ১৪ ডিসেম্বর রোডো গ্রামের ৬ বছরের এক বালিকার উপর ঝাঁপিয়ে পড়ে একটি চিতাবাঘ। ১০ ডিসেম্বর একই ঘটনার শিকার হয় লাতেহার জেলার ১২ বছরের একটি শিশুকন্যা। এই তিনটি ঘটনার পিছনে দায়ী ওই চিতাবাঘটি বলে মনে করছেন বন আধিকারিকরা। চিতাবাঘটিকে ‘নর খাদক’ ঘোষণা করার কথা ভাবছেন আধিকারিকরা। অন্যদিকে খাঁচা বন্দী করার সবরকম চেষ্টা চলছে বলে জানিয়েছেন শশী কুমার। বারবার একই ঘটনার সাক্ষী ভীতসন্ত্রস্ত গ্রামবাসীরা বন দফতরের কাছে অভিযোগ জানিয়েও এখনও পর্যন্ত কোনো সুরাহা পাননি।