শ্রীনগরের ঈদগাহ ময়দান এবং জামা মসজিদে ঈদের নামাজ পড়ায় নিষেধাজ্ঞা

- আপডেট : ৮ জুন ২০২৫, রবিবার
- / 22
পুবের কলম, ওয়েবডেস্ক: শনিবার শ্রীনগরের ঐতিহাসিক জামা মসজিদে ঈদের নামাজ পড়ায় নিষেধাজ্ঞা। শনিবার জম্মু ও কাশ্মীর প্রশাসনের তরফে মসজিদের দরজা বন্ধ করে বাইরে পুলিশ মোতায়েন করা হয়।
অন্যদিকে হুরিয়ত কনফারেন্সের চেয়ারম্যান মিরওয়াইজ ওমর ফারুক দাবি করেন যে তাঁকে গৃহবন্দী করা হয়েছে। এছাড়াও কর্তৃপক্ষ ফজরের নামাজের অনুমতিও দেয়নি বলেও জানা যায়। এক্স এর একটি পোস্টে, মিরওয়াইজ এই পদক্ষেপের তীব্র নিন্দা করেছেন। তিনি বলেন যে,ঈদ মোবারক!
আবারও, কাশ্মীর দুঃখজনক বাস্তবতার মুখোমুখি হল। ঈদগাহে ঈদের নামাজ পড়া হয়নি, এবং জামা মসজিদ টানা সপ্তম বছরের জন্য তালাবদ্ধ। আমাকেও আমার বাড়িতে আটকে রাখা হয়েছে। তিনি আরও বলেন যে, একটি মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ অঞ্চলে, মুসলমানরা তাদের প্রার্থনা করার মৌলিক অধিকার থেকে বঞ্চিত – এমনকি বিশ্বজুড়ে পালিত তাদের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ধর্মীয় অনুষ্ঠানেও!
আমাদের উপর যারা শাসন করে এবং জনগণের দ্বারা নির্বাচিতদের জন্য কত লজ্জাজনক, যারা বারবার আমাদের অধিকার পদদলিত হওয়ার সময় নীরব থাকতে পছন্দ করে।ক্ষ্ম পিপলস ডেমোক্র্যাটিক পার্টির (পিডিপি) নেত্রী ইলতিজা মুফতি সোশ্যাল মিডিয়ায় এক বিবৃতিতে বলেছেন, তঈদ-উল-আযহার উপলক্ষে মিরওয়াইজ সাহেবকে আটক করা অত্যন্ত দুঃখজনক এবং নির্মম। জামা মসজিদের দরজাও বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে।
ভারতের একমাত্র মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ রাজ্যে, মুসলমানদের তাদের উপাসনার অধিকার থেকে বঞ্চিত করা হচ্ছে এবং আমরা এর জবাব চাই।দ শনিবার সকালে মসজিদ কর্তৃপক্ষের তরফে একটি বিজ্ঞপ্তি জারি করে জানানো হয়, ‘আমাদের ঐতিহ্য অনুযায়ী প্রতিবছর আমরা ঐতিহাসিক জামা মসজিদে বখরি ইদের নামাজ পড়তাম, তবে এবছরও প্রশাসনের তরফে এখানে পড়ার উপর নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে। মসজিদের দরজা বন্ধ রয়েছে, বাইরে পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। এমনকী আজ সকালে ফজরের নামাজও পড়তে দেওয়া হয়নি।’ সরকারের এই পদক্ষেপের বিরুদ্ধে সরব হয়েছেন জম্মু ও কাশ্মীরের মুখ্যমন্ত্রী ওমর আবদুল্লাহ।
সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে তিনি বলেন, সকলকে ইদ মোবারক। আমি আশা করি জম্মু ও কাশ্মীরের এবং বিশ্বের মুসলিমদের জন্য শুভদিন আসবে এবং শান্তি ও ভাতৃত্ববোধ আরও দৃঢ় হবে।
একইসঙ্গে বলেন, আমরা যখন ইদ উদযাপন করছি তখন দুঃখজনক ঘটনা শুনলাম, এবারও জামা মসজিদে ইদের নামাজ পড়ার অনুমতি দেওয়া হয়নি।
আমি জানি না কেন এমন সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। তবে আমাদের এখানকার মানুষের উপর আস্থা রাখতে হবে। এরা তারাই যারা ২২ এপ্রিল জঙ্গি হামলার ঘটনার পর তার নিন্দা করেছিল।