১৮ জুন ২০২৫, বুধবার, ৩ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

লাগাতার বৃষ্টিতে বিপুল ক্ষতির মুখে কৃষকরা

চামেলি দাস
  • আপডেট : ১৮ জুন ২০২৫, বুধবার
  • / 22

পুবের কলম ওয়েবডেস্ক: লাগাতার বৃষ্টিতে গাছের গোড়ায় জল জমে পচন ধরে ক্ষতিগ্রস্ত কৃষিজ ফসল। বিকল্প হিসেবে কীটনাশকের ব্যবস্থা থাকলেও মূল্যবৃদ্ধির কারণে ব্যবহার করতে পারছেন না কৃষকরা।উত্তর ২৪ পরগনা জেলার বসিরহাট মহকুমার হাড়োয়া, মিনাখাঁ, বাদুড়িয়া, হিঙ্গলগঞ্জ, স্বরূপনগর, সন্দেশখালি, হাসনাবাদ-সহ বিস্তীর্ণ এলাকা জুড়ে রয়েছে চাষের জমি। বসিরহাট জুড়ে ইতিমধ্যে নিম্নচাপের বৃষ্টি শুরু হয়েছে। যার ফলে সবজি ফসলের গোড়ায় জল জমে প্রথমে পচন ধরছে,  তারপর মারা যাচ্ছে। এই মুহূর্তে পটল, বেগুন, শসা, ঢেঁড়স, পেঁপে-সহ একাধিক ফসল রয়েছে কৃষি জমিতে। আর সেই ফসলের গোড়ায় জল জমে পচন হচ্ছে। তারপর গাছ মারা যাচ্ছে।কৃষকরা জানাচ্ছেন তারা মোটা টাকা ঋণ নিয়ে চাষবাস করছেন। তাতে চাষের খরচ ওঠে না। তারা কীভাবে ঋণ শোধ করবেন এই ভেবে  রীতিমতো দুশ্চিন্তায়  পড়েছেন। পাশাপাশি তারা জানাচ্ছেন বিকল্প হিসেবে পচন ধরা রোধ করতে গেলে কীটনাশক এবং সার ব্যবহার করা যেতে পারে। কীটনাশক ও সারের যেভাবে মূল্যবৃদ্ধি হয়েছে তাতে কৃষকরা তা কিনতেও পারছেন না। কীটনাশক ও সার ছাড়া ফসল বাঁচানো কার্যত অসম্ভব। এরফলে রীতিমতো ক্ষতির মুখে পড়েছেন বসিরহাট মহকুমার বিভিন্ন ব্লকের কৃষকরা। পাশাপাশি সবজি ফসলের দাম আকাশ ছোঁয়া হতে পারে এমনটাই মনে করছে সাধারণ মানুষ।

আরও পড়ুন: গভীর নিম্নচাপ, কলকাতা-সহ বাংলায় ভারী বৃষ্টি

Copyright © Puber Kalom All rights reserved.| Developed by eTech Builder

লাগাতার বৃষ্টিতে বিপুল ক্ষতির মুখে কৃষকরা

আপডেট : ১৮ জুন ২০২৫, বুধবার

পুবের কলম ওয়েবডেস্ক: লাগাতার বৃষ্টিতে গাছের গোড়ায় জল জমে পচন ধরে ক্ষতিগ্রস্ত কৃষিজ ফসল। বিকল্প হিসেবে কীটনাশকের ব্যবস্থা থাকলেও মূল্যবৃদ্ধির কারণে ব্যবহার করতে পারছেন না কৃষকরা।উত্তর ২৪ পরগনা জেলার বসিরহাট মহকুমার হাড়োয়া, মিনাখাঁ, বাদুড়িয়া, হিঙ্গলগঞ্জ, স্বরূপনগর, সন্দেশখালি, হাসনাবাদ-সহ বিস্তীর্ণ এলাকা জুড়ে রয়েছে চাষের জমি। বসিরহাট জুড়ে ইতিমধ্যে নিম্নচাপের বৃষ্টি শুরু হয়েছে। যার ফলে সবজি ফসলের গোড়ায় জল জমে প্রথমে পচন ধরছে,  তারপর মারা যাচ্ছে। এই মুহূর্তে পটল, বেগুন, শসা, ঢেঁড়স, পেঁপে-সহ একাধিক ফসল রয়েছে কৃষি জমিতে। আর সেই ফসলের গোড়ায় জল জমে পচন হচ্ছে। তারপর গাছ মারা যাচ্ছে।কৃষকরা জানাচ্ছেন তারা মোটা টাকা ঋণ নিয়ে চাষবাস করছেন। তাতে চাষের খরচ ওঠে না। তারা কীভাবে ঋণ শোধ করবেন এই ভেবে  রীতিমতো দুশ্চিন্তায়  পড়েছেন। পাশাপাশি তারা জানাচ্ছেন বিকল্প হিসেবে পচন ধরা রোধ করতে গেলে কীটনাশক এবং সার ব্যবহার করা যেতে পারে। কীটনাশক ও সারের যেভাবে মূল্যবৃদ্ধি হয়েছে তাতে কৃষকরা তা কিনতেও পারছেন না। কীটনাশক ও সার ছাড়া ফসল বাঁচানো কার্যত অসম্ভব। এরফলে রীতিমতো ক্ষতির মুখে পড়েছেন বসিরহাট মহকুমার বিভিন্ন ব্লকের কৃষকরা। পাশাপাশি সবজি ফসলের দাম আকাশ ছোঁয়া হতে পারে এমনটাই মনে করছে সাধারণ মানুষ।

আরও পড়ুন: গভীর নিম্নচাপ, কলকাতা-সহ বাংলায় ভারী বৃষ্টি