২৫ জুন ২০২৫, বুধবার, ১০ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

কলকাতা থেকে ঢাকা এখন মাত্র ৬ ঘণ্টায়, রবিবার থেকেই পদ্মা সেতুতে যান চলাচল, দেখুন ভিডিও

অর্পিতা লাহিড়ী
  • আপডেট : ২৫ জুন ২০২২, শনিবার
  • / 18

আরও পড়ুন: কোবিন্দ ও মোদিকে আম পাঠালেন হাসিনা

পুবের কলম ওয়েবডেস্কঃ অবশেষে ২৩ বছরের অপেক্ষার অবসান। পদ্মা সেতুর উদ্বোধন করলেন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। রবিবার থেকেই শুরু হয়ে যাবে যান চলাচল। এইদিন বাংলদেশের  স্থানীয় সময় বেলা  সকাল ১১ টা ১২ মিনিটে (বাংলাদেশের সময়) মাওয়া পয়েন্টে টোল দিয়ে বাংলাদেশের ইতিহাসে এক নব অধ্যায়ের সূচনা করলেন হাসিনা।কলকাতা থেকে ঢাকা এখন মাত্র ৬ ঘণ্টায়, রবিবার থেকেই পদ্মা সেতুতে যান চলাচল, দেখুন ভিডিও

আরও পড়ুন: হাসিনার পাঠানো গোপালগঞ্জের হলুদ মিষ্টির ভূয়সী প্রশংসা করলেন মমতা

 

এই পদ্মা সেতু চালু হওয়ার পর কলকাতা থেকে ঢাকার দূরত্বও একধাক্কায় কমে গেল অনেকটাই। আগে কলকাতা থেকে সড়ক পথে ঢাকা পৌছাতে সময় লেগে যেত কমপক্ষে ১৪ থেকে ১৫ ঘণ্টা। কিন্তু বার্জে করে পদ্মা পেরনোর পথে যানজটের কারণে ১৬ থেকে ১৭ ঘন্টাও সময় লেগে যেত। এখন সময় লাগবে মাত্র ৬ থেকে সাত ঘন্টা।

কলকাতা থেকে ঢাকা এখন মাত্র ৬ ঘণ্টায়, রবিবার থেকেই পদ্মা সেতুতে যান চলাচল, দেখুন ভিডিও

বিশ্বের দ্বিতীয় খরস্রোতা নদী এই পদ্মা। এইদিন  পদ্মা সেতুতে প্রথম টোল দেন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী। পদ্মা সেতু আত্মমর্যাদা ও বাঙালির সক্ষমতা প্রমাণের সেতু শুধু নয়, পুরো জাতিকে অপমান করার প্রতিশোধও” ভারত ইতিমধ্যেই অভিনন্দন জানিয়েছে বাংলাদেশকে।১৯৯৬ সালে আওয়ামী লীগ সরকার গঠনের পর ১৯৯৭ সালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জাপান সফর করেন। তিনি পদ্মা ও রূপসা নদীর ওপর সেতু নির্মাণের প্রস্তাব করেন। জাপান সরকার দুটি নদীর ওপর সেতু নির্মাণে সম্মত হন।যেহেতু পদ্মা নদী একটি স্রোতস্বীনি  নদী যার প্রবল স্রোত, জাপান পদ্মা নদীর ওপর সেতু নির্মান নিয়ে মাপজোক শুরু করে।

 

জাপান ২০০১ সালে পদ্মা নদীর উপর সেতু নির্মাণের সমীক্ষা প্রতিবেদন বাংলাদেশের কাছে জমা দেয়। জাপানি সমীক্ষায়  মুন্সীগঞ্জের মাওয়া পয়েন্টকে পদ্মা সেতু নির্মাণের স্থান হিসেবে নির্বাচিত করা হয়।জরিপের ভিত্তিতে প্রধানমন্ত্রী ২০০১ সালের ৪ জুলাই মুন্সীগঞ্জের মাওয়ায় আনুষ্ঠানিকভাবে পদ্মা সেতুর ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন। সেতু প্রকল্পে শুরুতে রেলের সুবিধা ছিল না। প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে রেলওয়ের সুবিধা রেখে সেতুর চূড়ান্ত নকশা প্রণয়ন করা হয়।

কলকাতা থেকে ঢাকা এখন মাত্র ৬ ঘণ্টায়, রবিবার থেকেই পদ্মা সেতুতে যান চলাচল, দেখুন ভিডিও

৬.১৫ কিলোমিটারের একটি সেতু দেশের প্রায় তিন ভাগের এক ভাগ এলাকাকে সরাসরি স্থলপথে যুক্ত করবে।পদ্মা সেতুর নির্মাণে মোট ৩০,১৯৩ কোটি টাকা খরচ হয়েছে (বাংলাদেশি মুদ্রায়)।মোট ৩০ হাজার ১৯৪ কোটি টাকা ব্যয়ে তৈরি হওয়া পদ্মা সেতুর কাজের চুক্তিমূল্য ছিল প্রায় ১২ হাজার ৪৯৪ কোটি টাকা। সেতুটি তৈরি হতে সময় লেগেছে ৯০ মাস ২৭ দিন। দিনরাত খেটে কাজ করেছেন প্রায় ১৪ হাজার দেশি-বিদেশি শ্রমিক, ইঞ্জিনিয়ার ও পরামর্শকের মধ্যে প্রায় এক হাজার ২০০ বাংলাদেশি, দুই হাজার ৫০০  বিদেশি ইঞ্জিনিয়ার। শ্রম দিয়েছেন প্রায় ৭ হাজার ৫০০ দেশি শ্রমিক, আড়াই হাজার বিদেশি শ্রমিক এবং প্রায় ৩০০ দেশি-বিদেশি পরামর্শক।

Copyright © Puber Kalom All rights reserved.| Developed by eTech Builder

কলকাতা থেকে ঢাকা এখন মাত্র ৬ ঘণ্টায়, রবিবার থেকেই পদ্মা সেতুতে যান চলাচল, দেখুন ভিডিও

আপডেট : ২৫ জুন ২০২২, শনিবার

আরও পড়ুন: কোবিন্দ ও মোদিকে আম পাঠালেন হাসিনা

পুবের কলম ওয়েবডেস্কঃ অবশেষে ২৩ বছরের অপেক্ষার অবসান। পদ্মা সেতুর উদ্বোধন করলেন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। রবিবার থেকেই শুরু হয়ে যাবে যান চলাচল। এইদিন বাংলদেশের  স্থানীয় সময় বেলা  সকাল ১১ টা ১২ মিনিটে (বাংলাদেশের সময়) মাওয়া পয়েন্টে টোল দিয়ে বাংলাদেশের ইতিহাসে এক নব অধ্যায়ের সূচনা করলেন হাসিনা।কলকাতা থেকে ঢাকা এখন মাত্র ৬ ঘণ্টায়, রবিবার থেকেই পদ্মা সেতুতে যান চলাচল, দেখুন ভিডিও

আরও পড়ুন: হাসিনার পাঠানো গোপালগঞ্জের হলুদ মিষ্টির ভূয়সী প্রশংসা করলেন মমতা

 

এই পদ্মা সেতু চালু হওয়ার পর কলকাতা থেকে ঢাকার দূরত্বও একধাক্কায় কমে গেল অনেকটাই। আগে কলকাতা থেকে সড়ক পথে ঢাকা পৌছাতে সময় লেগে যেত কমপক্ষে ১৪ থেকে ১৫ ঘণ্টা। কিন্তু বার্জে করে পদ্মা পেরনোর পথে যানজটের কারণে ১৬ থেকে ১৭ ঘন্টাও সময় লেগে যেত। এখন সময় লাগবে মাত্র ৬ থেকে সাত ঘন্টা।

কলকাতা থেকে ঢাকা এখন মাত্র ৬ ঘণ্টায়, রবিবার থেকেই পদ্মা সেতুতে যান চলাচল, দেখুন ভিডিও

বিশ্বের দ্বিতীয় খরস্রোতা নদী এই পদ্মা। এইদিন  পদ্মা সেতুতে প্রথম টোল দেন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী। পদ্মা সেতু আত্মমর্যাদা ও বাঙালির সক্ষমতা প্রমাণের সেতু শুধু নয়, পুরো জাতিকে অপমান করার প্রতিশোধও” ভারত ইতিমধ্যেই অভিনন্দন জানিয়েছে বাংলাদেশকে।১৯৯৬ সালে আওয়ামী লীগ সরকার গঠনের পর ১৯৯৭ সালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জাপান সফর করেন। তিনি পদ্মা ও রূপসা নদীর ওপর সেতু নির্মাণের প্রস্তাব করেন। জাপান সরকার দুটি নদীর ওপর সেতু নির্মাণে সম্মত হন।যেহেতু পদ্মা নদী একটি স্রোতস্বীনি  নদী যার প্রবল স্রোত, জাপান পদ্মা নদীর ওপর সেতু নির্মান নিয়ে মাপজোক শুরু করে।

 

জাপান ২০০১ সালে পদ্মা নদীর উপর সেতু নির্মাণের সমীক্ষা প্রতিবেদন বাংলাদেশের কাছে জমা দেয়। জাপানি সমীক্ষায়  মুন্সীগঞ্জের মাওয়া পয়েন্টকে পদ্মা সেতু নির্মাণের স্থান হিসেবে নির্বাচিত করা হয়।জরিপের ভিত্তিতে প্রধানমন্ত্রী ২০০১ সালের ৪ জুলাই মুন্সীগঞ্জের মাওয়ায় আনুষ্ঠানিকভাবে পদ্মা সেতুর ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন। সেতু প্রকল্পে শুরুতে রেলের সুবিধা ছিল না। প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে রেলওয়ের সুবিধা রেখে সেতুর চূড়ান্ত নকশা প্রণয়ন করা হয়।

কলকাতা থেকে ঢাকা এখন মাত্র ৬ ঘণ্টায়, রবিবার থেকেই পদ্মা সেতুতে যান চলাচল, দেখুন ভিডিও

৬.১৫ কিলোমিটারের একটি সেতু দেশের প্রায় তিন ভাগের এক ভাগ এলাকাকে সরাসরি স্থলপথে যুক্ত করবে।পদ্মা সেতুর নির্মাণে মোট ৩০,১৯৩ কোটি টাকা খরচ হয়েছে (বাংলাদেশি মুদ্রায়)।মোট ৩০ হাজার ১৯৪ কোটি টাকা ব্যয়ে তৈরি হওয়া পদ্মা সেতুর কাজের চুক্তিমূল্য ছিল প্রায় ১২ হাজার ৪৯৪ কোটি টাকা। সেতুটি তৈরি হতে সময় লেগেছে ৯০ মাস ২৭ দিন। দিনরাত খেটে কাজ করেছেন প্রায় ১৪ হাজার দেশি-বিদেশি শ্রমিক, ইঞ্জিনিয়ার ও পরামর্শকের মধ্যে প্রায় এক হাজার ২০০ বাংলাদেশি, দুই হাজার ৫০০  বিদেশি ইঞ্জিনিয়ার। শ্রম দিয়েছেন প্রায় ৭ হাজার ৫০০ দেশি শ্রমিক, আড়াই হাজার বিদেশি শ্রমিক এবং প্রায় ৩০০ দেশি-বিদেশি পরামর্শক।