১৫ জুন ২০২৫, রবিবার, ৩১ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

ট্রেনের ধাক্কা থেকে বাঁচতে ছয় বছরের নাতনিকে নিয়ে নদীতে ঝাঁপ দাদুর

চামেলি দাস
  • আপডেট : ১৩ জুন ২০২৫, শুক্রবার
  • / 46

পুবের কলম ওয়েবডেস্ক: রেললাইন ধরে নাতনিকে নিয়ে বাড়ি ফিরছিল দাদু। সেই সময় উল্টো দিক থেকে আসছিল ট্রেন। ট্রেন দুর্ঘটনার হাত থেকে বাঁচতে নাতনিকে নিয়ে নদীতে ঝাঁপ দেন দাদু। এই ঘটনার জেরে চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে দক্ষিণ ২৪ পরগনার কাকদ্বীপ এলাকায়।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায় শুক্রবার কাকদ্বীপের হারুড পয়েন্ট কোস্টাল থানার অক্ষয় নগরের শিবপুরের  বাসিন্দা সাধন দাস (৬০)। অক্ষয় নগর থেকে রেললাইন ধরে পায়ে হেঁটে ৬ বছরের নাতনিকে নিয়ে পায়ে হেঁটে কাকদ্বীপ রেলস্টেশনের দিকে যাচ্ছিলেন তিনি।

আরও পড়ুন: প্রচণ্ড ভিড়ে মুম্বাইয়ে ট্রেন থেকে পড়ে মৃত অন্তত ৫

কাকদ্বীপ রেল স্টেশনের রেল ব্রিজের কাছে সাধন দাস লক্ষ্য করেন কাকদ্বীপ রেলস্টেশন থেকে একটি ট্রেন ছেড়ে নামখানার দিকে রওনা দিয়েছে। ট্রেনটি রেল ব্রিজের কাছে চলে এলে সাধন দাস  নিজের জীবনকে বাজি রেখে নাতনি দীপশিখা দেবনাথকে নিয়ে কালনাগিনী নদীতে ঝাঁপ দেন।

আরও পড়ুন: বালেশ্বরে ভয়াবহ ট্রেন দুর্ঘটনায় ৪০ জন যাত্রীর মৃত্যু বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে, বিবৃতি দিল রেল পুলিশ

স্থানীয় বাসিন্দারা নদীতে নেমে সাধন দাস ও দীপশিখা দেবনাথকে উদ্ধার করে।  দু’জনকেই উদ্ধার করে কাকদ্বীপ সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে চিকিৎসা করানোর জন্য নিয়ে যাওয়া হয়েছে বলে খবর। বর্তমানে দু’জনেই বিপদমুক্ত বলে জানা গেছে। স্থানীয় বাসিন্দারা জানিয়েছে উপস্থিত বুদ্ধির ফলে আজ দুটো প্রাণ বেঁচে গেল।  তড়িঘড়ি নদীতে ঝাঁপ না দিলে হয়তো  ট্রেনের ধাক্কায় দু’জনের মৃত্যু সুনিশ্চিত ছিল।

আরও পড়ুন: ওড়িশা ট্রেন দুর্ঘটনায় মৃতদের পরিবারের জন্য বিশেষ ব্যবস্থা,ক্লেইমের নিয়ম সহজ করল এলআইসি

Copyright © Puber Kalom All rights reserved.| Developed by eTech Builder

ট্রেনের ধাক্কা থেকে বাঁচতে ছয় বছরের নাতনিকে নিয়ে নদীতে ঝাঁপ দাদুর

আপডেট : ১৩ জুন ২০২৫, শুক্রবার

পুবের কলম ওয়েবডেস্ক: রেললাইন ধরে নাতনিকে নিয়ে বাড়ি ফিরছিল দাদু। সেই সময় উল্টো দিক থেকে আসছিল ট্রেন। ট্রেন দুর্ঘটনার হাত থেকে বাঁচতে নাতনিকে নিয়ে নদীতে ঝাঁপ দেন দাদু। এই ঘটনার জেরে চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে দক্ষিণ ২৪ পরগনার কাকদ্বীপ এলাকায়।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায় শুক্রবার কাকদ্বীপের হারুড পয়েন্ট কোস্টাল থানার অক্ষয় নগরের শিবপুরের  বাসিন্দা সাধন দাস (৬০)। অক্ষয় নগর থেকে রেললাইন ধরে পায়ে হেঁটে ৬ বছরের নাতনিকে নিয়ে পায়ে হেঁটে কাকদ্বীপ রেলস্টেশনের দিকে যাচ্ছিলেন তিনি।

আরও পড়ুন: প্রচণ্ড ভিড়ে মুম্বাইয়ে ট্রেন থেকে পড়ে মৃত অন্তত ৫

কাকদ্বীপ রেল স্টেশনের রেল ব্রিজের কাছে সাধন দাস লক্ষ্য করেন কাকদ্বীপ রেলস্টেশন থেকে একটি ট্রেন ছেড়ে নামখানার দিকে রওনা দিয়েছে। ট্রেনটি রেল ব্রিজের কাছে চলে এলে সাধন দাস  নিজের জীবনকে বাজি রেখে নাতনি দীপশিখা দেবনাথকে নিয়ে কালনাগিনী নদীতে ঝাঁপ দেন।

আরও পড়ুন: বালেশ্বরে ভয়াবহ ট্রেন দুর্ঘটনায় ৪০ জন যাত্রীর মৃত্যু বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে, বিবৃতি দিল রেল পুলিশ

স্থানীয় বাসিন্দারা নদীতে নেমে সাধন দাস ও দীপশিখা দেবনাথকে উদ্ধার করে।  দু’জনকেই উদ্ধার করে কাকদ্বীপ সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে চিকিৎসা করানোর জন্য নিয়ে যাওয়া হয়েছে বলে খবর। বর্তমানে দু’জনেই বিপদমুক্ত বলে জানা গেছে। স্থানীয় বাসিন্দারা জানিয়েছে উপস্থিত বুদ্ধির ফলে আজ দুটো প্রাণ বেঁচে গেল।  তড়িঘড়ি নদীতে ঝাঁপ না দিলে হয়তো  ট্রেনের ধাক্কায় দু’জনের মৃত্যু সুনিশ্চিত ছিল।

আরও পড়ুন: ওড়িশা ট্রেন দুর্ঘটনায় মৃতদের পরিবারের জন্য বিশেষ ব্যবস্থা,ক্লেইমের নিয়ম সহজ করল এলআইসি