০১ জুন ২০২৫, রবিবার, ১৭ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

‘প্রস্তাব মেনে নিতে পারছি না’, ‘এক দেশ এক নির্বাচন’ নিয়ে তীব্র আপত্তি মমতার

কিবরিয়া আনসারি
  • আপডেট : ১১ জানুয়ারী ২০২৪, বৃহস্পতিবার
  • / 17

কলকাতা, ১১ জানুয়ারি: লোকসভা ভোটের আগে ‘এক দেশ এক নির্বাচন’ পক্ষে জোরদার তোড়জোড় শুরু করেছে বিজেপি। লোকসভা ভোটের সঙ্গে সব রাজ্যের বিধানসভা ভোট করার পরিকল্পনা রয়েছে এই নীতিতে। এই নীতি কীভাবে বাস্তবায়িত করা যাবে! তা নিয়ে ইতিমধ্যেই রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দের নেতৃত্বে একটি কমিটি তৈরি করেছে কেন্দ্রের বিজেপি সরকার। ‘এক দেশ এক ভোট’ নীতির তীব্র আপত্তি জানিয়ে উচ্চপর্যায়ের কমিটিকে চিঠি দিলেন তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তীব্র আপত্তি জানিয়ে চিঠিতে মুখ্যমন্ত্রী উল্লেখ করেছে, ‘আপনাদের এই প্রস্তাব আমি মেনে নিতে পারছি না।’

 

আরও পড়ুন: গণতন্ত্র অনেক সুদৃঢ় হবে: এক দেশ-এক নির্বাচনের পক্ষে জোর সওয়াল ত্রিপুরার মুখ্যমন্ত্রীর

বৃহস্পতিবার উচ্চপর্যায়ের কমিটির সচিব নীতেন চন্দ্রকে চার পাতার চিঠি দিয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেই চিঠিতে তিনি লিখেছেন, ‘আমি মনে করি, ‘এক দেশ, এক ভোট’ প্রস্তাব কার্যকর করার অর্থ গণতন্ত্রের আড়ালে একনায়কতন্ত্র কায়েম করা। আমি বরাবর এর বিরুদ্ধে। কেন্দ্রের এই প্রস্তাবের বিরোধিতা করছি।’ তৃণমূল সুপ্রিমোর প্রশ্ন, ‘এক দেশ, এক ভোট’ এর প্রস্তাব কার্যকর করতে গেলে একক নির্বাচনী কাঠামো তৈরি করা দরকার, তা কীভাবে সম্ভব? এছাড়া বিভিন্ন রাজ্যে বিভিন্ন সময়ে বিধানসভা নির্বাচন হয়। একসঙ্গে সমস্ত নির্বাচন করতে হলে সেসব রাজ্যের সরকারের মেয়াদ তড়িঘড়ি কমে যাবে। তবে কি তারা নির্বাচিত সরকার ভেঙে নতুন করে নির্বাচনের পথে হাঁটবেন? এটা কি যুক্তিগ্রাহ্য? তাছাড়াও ‘এক দেশ, এক ভোট’ কার্যকর করলে তা গণতান্ত্রিক কাঠামোর পক্ষে বিপজ্জনক।’ বৃহস্পতিবার নবান্নে এক সাংবাদিক সম্মেলনে এই নীতির প্রসঙ্গে তৃণমূল সুপ্রিমো বলেন, ‘ইতিমধ্যেই আমি চিঠি দিয়েছি কেন্দ্রের উচ্চপদস্থ আধিকারিক ডক্টর নীতেন চন্দ্রকে।’

আরও পড়ুন: এক দেশ এক নির্বাচন: রাষ্ট্রপতির কাছে রিপোর্ট পেশ করে একদিনে লোকসভা ও বিধানসভা নির্বাচনের সুপারিশ কোবিন্দদের

আরও পড়ুন: ‘ভারতে এটা চলতে পারে না’, এক দেশ এক নির্বাচন নিয়ে প্যানেলকে উত্তর কংগ্রেসের

প্রতিবেদক

কিবরিয়া আনসারি

Kibria obtained a master's degree in journalism from Aliah University. He has been in journalism since 2018, gaining work experience in multiple organizations. Focused and sincere about his work, Kibria is currently employed at the desk of Purber Kalom.

Copyright © Puber Kalom All rights reserved.| Developed by eTech Builder

‘প্রস্তাব মেনে নিতে পারছি না’, ‘এক দেশ এক নির্বাচন’ নিয়ে তীব্র আপত্তি মমতার

আপডেট : ১১ জানুয়ারী ২০২৪, বৃহস্পতিবার

কলকাতা, ১১ জানুয়ারি: লোকসভা ভোটের আগে ‘এক দেশ এক নির্বাচন’ পক্ষে জোরদার তোড়জোড় শুরু করেছে বিজেপি। লোকসভা ভোটের সঙ্গে সব রাজ্যের বিধানসভা ভোট করার পরিকল্পনা রয়েছে এই নীতিতে। এই নীতি কীভাবে বাস্তবায়িত করা যাবে! তা নিয়ে ইতিমধ্যেই রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দের নেতৃত্বে একটি কমিটি তৈরি করেছে কেন্দ্রের বিজেপি সরকার। ‘এক দেশ এক ভোট’ নীতির তীব্র আপত্তি জানিয়ে উচ্চপর্যায়ের কমিটিকে চিঠি দিলেন তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তীব্র আপত্তি জানিয়ে চিঠিতে মুখ্যমন্ত্রী উল্লেখ করেছে, ‘আপনাদের এই প্রস্তাব আমি মেনে নিতে পারছি না।’

 

আরও পড়ুন: গণতন্ত্র অনেক সুদৃঢ় হবে: এক দেশ-এক নির্বাচনের পক্ষে জোর সওয়াল ত্রিপুরার মুখ্যমন্ত্রীর

বৃহস্পতিবার উচ্চপর্যায়ের কমিটির সচিব নীতেন চন্দ্রকে চার পাতার চিঠি দিয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেই চিঠিতে তিনি লিখেছেন, ‘আমি মনে করি, ‘এক দেশ, এক ভোট’ প্রস্তাব কার্যকর করার অর্থ গণতন্ত্রের আড়ালে একনায়কতন্ত্র কায়েম করা। আমি বরাবর এর বিরুদ্ধে। কেন্দ্রের এই প্রস্তাবের বিরোধিতা করছি।’ তৃণমূল সুপ্রিমোর প্রশ্ন, ‘এক দেশ, এক ভোট’ এর প্রস্তাব কার্যকর করতে গেলে একক নির্বাচনী কাঠামো তৈরি করা দরকার, তা কীভাবে সম্ভব? এছাড়া বিভিন্ন রাজ্যে বিভিন্ন সময়ে বিধানসভা নির্বাচন হয়। একসঙ্গে সমস্ত নির্বাচন করতে হলে সেসব রাজ্যের সরকারের মেয়াদ তড়িঘড়ি কমে যাবে। তবে কি তারা নির্বাচিত সরকার ভেঙে নতুন করে নির্বাচনের পথে হাঁটবেন? এটা কি যুক্তিগ্রাহ্য? তাছাড়াও ‘এক দেশ, এক ভোট’ কার্যকর করলে তা গণতান্ত্রিক কাঠামোর পক্ষে বিপজ্জনক।’ বৃহস্পতিবার নবান্নে এক সাংবাদিক সম্মেলনে এই নীতির প্রসঙ্গে তৃণমূল সুপ্রিমো বলেন, ‘ইতিমধ্যেই আমি চিঠি দিয়েছি কেন্দ্রের উচ্চপদস্থ আধিকারিক ডক্টর নীতেন চন্দ্রকে।’

আরও পড়ুন: এক দেশ এক নির্বাচন: রাষ্ট্রপতির কাছে রিপোর্ট পেশ করে একদিনে লোকসভা ও বিধানসভা নির্বাচনের সুপারিশ কোবিন্দদের

আরও পড়ুন: ‘ভারতে এটা চলতে পারে না’, এক দেশ এক নির্বাচন নিয়ে প্যানেলকে উত্তর কংগ্রেসের