০১ জুন ২০২৫, রবিবার, ১৭ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

‘এক দেশ এক নির্বাচন’ এ লাভ না ক্ষতি? সাধারণ মানুষের মতামত নেওয়া হবে ১৫ জানুয়ারি পর্যন্ত

সামিমা এহসানা
  • আপডেট : ৬ জানুয়ারী ২০২৪, শনিবার
  • / 18

পুবের কলম ওয়েব ডেস্ক: এক দেশ এক নির্বাচন এ সিলমোহর দিতে মরিয়া হয়ে উঠেছে কেন্দ্রের বিজেপি সরকার। সেই জন্যে গত বছর একটি উচ্চ পর্যায়ের কমিটি গঠন করা হয়েছিল। কমিটির মাথায় বসানো হয়েছিল দেশের প্রাক্তন রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দকে। এবার ওই প্যানেলের পক্ষ থেকে জনসাধারণের পরামর্শ চাওয়া হচ্ছে। একটি নোটিসে বলা হয়েছে আগামী ১৫ জানুয়ারি পর্যন্ত নিজেদের মতাতম ও পরামর্শ পাঠাতে পারবে দেশের মানুষ। কমিটির ওয়েবসাইট onoe.gov.in এ মতামত জানানো যেতে পারে অথবা   sc-hlc@gov.in ঠিকানায় মেল পাঠানো যেতে পারে।

উল্লেখ্য, এক দেশ এক নির্বাচনের কথা প্রথম বলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। এই নীতি চালু হলে গোটা দেশে লোকসভা, বিধানসভা, পুরসভা ও পঞ্চায়েত নির্বাচন একদিনে করানো হবে। সরকারের যুক্তি, এমনটা করা গেলে নির্বাচন বাবদ খরচ কমবে। ভোটের নামে বারবার সময় অপচয়ও হবে না। কিন্তু বিরোধীদের দাবি, এমনটা করলে ক্ষতিগ্রস্ত হবে বিরোধী বিশেষ করে আঞ্চলিক দলগুলি। কেন্দ্রে ক্ষমতাসীন সরকার নির্বাচনের আগে দেশজুড়ে প্রচারের জন্য যে অর্থ ব্যায় করে, তার কথা ভাবতেও পারে না আঞ্চলিক দলগুলি। ফলে লোকসভার আগে সরকারের নীর্বাচনী প্রচার ও বিজ্ঞাপনের ফল শুধু লোকসভায় নয় বিধানসভা, পুরসভা ও পঞ্চায়েত ভোটের উপরও পড়বে। গোটা দেশের মানুষের প্রবণতা থাকবে কেন্দ্রের প্রচারের দিকে ঝোঁকার। গড়ে ভোট পাবে কেন্দ্রের ক্ষমতাসীন সরকার। ভুগবে আঞ্চলিক দলগুলি। ভবিষ্যতে হয়তো তাদের অস্তিত্বই বিলিন হয়ে যাবে।

আরও পড়ুন: গণতন্ত্র অনেক সুদৃঢ় হবে: এক দেশ-এক নির্বাচনের পক্ষে জোর সওয়াল ত্রিপুরার মুখ্যমন্ত্রীর

 

আরও পড়ুন: এক দেশ এক নির্বাচন: রাষ্ট্রপতির কাছে রিপোর্ট পেশ করে একদিনে লোকসভা ও বিধানসভা নির্বাচনের সুপারিশ কোবিন্দদের

আরও পড়ুন: ‘ভারতে এটা চলতে পারে না’, এক দেশ এক নির্বাচন নিয়ে প্যানেলকে উত্তর কংগ্রেসের

Copyright © Puber Kalom All rights reserved.| Developed by eTech Builder

‘এক দেশ এক নির্বাচন’ এ লাভ না ক্ষতি? সাধারণ মানুষের মতামত নেওয়া হবে ১৫ জানুয়ারি পর্যন্ত

আপডেট : ৬ জানুয়ারী ২০২৪, শনিবার

পুবের কলম ওয়েব ডেস্ক: এক দেশ এক নির্বাচন এ সিলমোহর দিতে মরিয়া হয়ে উঠেছে কেন্দ্রের বিজেপি সরকার। সেই জন্যে গত বছর একটি উচ্চ পর্যায়ের কমিটি গঠন করা হয়েছিল। কমিটির মাথায় বসানো হয়েছিল দেশের প্রাক্তন রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দকে। এবার ওই প্যানেলের পক্ষ থেকে জনসাধারণের পরামর্শ চাওয়া হচ্ছে। একটি নোটিসে বলা হয়েছে আগামী ১৫ জানুয়ারি পর্যন্ত নিজেদের মতাতম ও পরামর্শ পাঠাতে পারবে দেশের মানুষ। কমিটির ওয়েবসাইট onoe.gov.in এ মতামত জানানো যেতে পারে অথবা   sc-hlc@gov.in ঠিকানায় মেল পাঠানো যেতে পারে।

উল্লেখ্য, এক দেশ এক নির্বাচনের কথা প্রথম বলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। এই নীতি চালু হলে গোটা দেশে লোকসভা, বিধানসভা, পুরসভা ও পঞ্চায়েত নির্বাচন একদিনে করানো হবে। সরকারের যুক্তি, এমনটা করা গেলে নির্বাচন বাবদ খরচ কমবে। ভোটের নামে বারবার সময় অপচয়ও হবে না। কিন্তু বিরোধীদের দাবি, এমনটা করলে ক্ষতিগ্রস্ত হবে বিরোধী বিশেষ করে আঞ্চলিক দলগুলি। কেন্দ্রে ক্ষমতাসীন সরকার নির্বাচনের আগে দেশজুড়ে প্রচারের জন্য যে অর্থ ব্যায় করে, তার কথা ভাবতেও পারে না আঞ্চলিক দলগুলি। ফলে লোকসভার আগে সরকারের নীর্বাচনী প্রচার ও বিজ্ঞাপনের ফল শুধু লোকসভায় নয় বিধানসভা, পুরসভা ও পঞ্চায়েত ভোটের উপরও পড়বে। গোটা দেশের মানুষের প্রবণতা থাকবে কেন্দ্রের প্রচারের দিকে ঝোঁকার। গড়ে ভোট পাবে কেন্দ্রের ক্ষমতাসীন সরকার। ভুগবে আঞ্চলিক দলগুলি। ভবিষ্যতে হয়তো তাদের অস্তিত্বই বিলিন হয়ে যাবে।

আরও পড়ুন: গণতন্ত্র অনেক সুদৃঢ় হবে: এক দেশ-এক নির্বাচনের পক্ষে জোর সওয়াল ত্রিপুরার মুখ্যমন্ত্রীর

 

আরও পড়ুন: এক দেশ এক নির্বাচন: রাষ্ট্রপতির কাছে রিপোর্ট পেশ করে একদিনে লোকসভা ও বিধানসভা নির্বাচনের সুপারিশ কোবিন্দদের

আরও পড়ুন: ‘ভারতে এটা চলতে পারে না’, এক দেশ এক নির্বাচন নিয়ে প্যানেলকে উত্তর কংগ্রেসের