২২ জুন ২০২৫, রবিবার, ৭ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

জেল থেকে ছাড়া পেলেন সাংবাদিক সিদ্দীক কাপ্পান

বিপাশা চক্রবর্তী
  • আপডেট : ২ ফেব্রুয়ারী ২০২৩, বৃহস্পতিবার
  • / 45

পুবের কলম, ওয়েবডেস্ক:  দীর্ঘ ২৮ মাস পর ঘুচল বন্দীদশা। লখনউ জেল থেকে ছাড়া পেলেন কেরলের সাংবাদিক সিদ্দিক কাপ্পান। হাইকোর্ট কাপ্পানের জামিনের আবেদন মঞ্জুর করার পর বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে আটটায় জেল থেকে ছাড়া পান কেরলের এই সাংবাদিক।
হাথরস কাণ্ডে খবর করতে গিয়ে যোগী পুলিশের হাতে গ্রেফতার হয়েছিলেন সাংবাদিক কাপ্পান। সিদ্দিকের জামিন মঞ্জুর হয়েছিল ২০২২ সালের ২৪ ডিসেম্বর। জামিন পাওয়ার প্রায় এক মাস পর জেল থেকে ছাড়া পেলেন তিনি। একদিন আগে, লখনউয়ের একটি বিশেষ আদালত কাপ্পানের জামিনের আবেদন মঞ্জুর করেন।

লখনউয়ের জেল থেকে মুক্তি পাওয়ার পর সাংবাদিকদের উদ্দেশে সিদ্দিক জানিয়েছেন, ‘আমি কঠোর আইনের বিরুদ্ধে লড়াই চালিয়ে গেছি। জামিন পাওয়ার পরেও আমাকে জেলে রাখা হয়েছে। দীর্ঘ ২৮ মাস ধরে আমি কঠিন যুদ্ধ চালিয়ে গেছি। আমি জানি না, আমাকে জেলে ঢুকিয়ে কার কি লাভ হল। এই দুটো বছর আমার কাছে খুব কঠিন এক সময় ছিল। কিন্তু আমি ভয় পাইনি”।

আরও পড়ুন: সাংবাদিক Siddique Kappan-এর বাড়িতে পুলিশি তল্লাশি

প্রসঙ্গত, বৃহস্পতিবার সন্ধ্যার দিকে সিদ্দিক কাপ্পানের জেল থেকে মুক্তির কথা ছিল। মানি লন্ডারিং প্রতিরোধের বিশেষ আদালতের বিচারক বার কাউন্সিলের নির্বাচন নিয়ে ব্যস্ত থাকায় তাকে মুক্তি দেওয়া যায়নি।
সিদ্দিক কাপ্পানের আইনজীবী আগেই জানিয়েছিলেন, বুধবার তার জেল থেকে মুক্তির সমস্ত প্রক্রিয়া সম্পূর্ণ হয়। কিন্তু তার রিলিজ অর্ডার এদিন ঠিক সময়ে পৌঁছয়নি। সেই কারণে বৃহস্পতিবার তিনি জেল থেকে ছাড়া পাবেন’।

আরও পড়ুন: শারীরিক অবস্থার অবনতি তিহারে বন্দি সাংসদ ইঞ্জিনিয়ার রাশিদের

উল্লেখ্য, ২০২০ সালের অক্টোবর মাসে উত্তরপ্রদেশের হাথরস কাণ্ডে ২০ বছরের দলিত এক মেয়ের গণধর্ষণের ঘটনা ঘটে। দিল্লির এক হাসপাতালে ১৪দিন মৃত্যুর সঙ্গে লড়াই করার পর মৃত্যু হয় তার। রাতেই প্রশাসনের উপস্তিতিতে ধর্ষিতার দেয় জ্বালিয়ে দেওয়া হয়। ঘটনায় গর্জে ওঠে গোটা দেশ। এই ঘটনায় খবর সংগ্রহ করতে যান সাংবাদিক সিদ্দিক কাপ্পান। সেই সময় যোগী রাজ্যের পুলিশ সিদ্দিক কাপ্পানকে গ্রেফতার করে। বলা হয় সাংবাদিক কাপ্পান এখানে অশান্তি করতে এসেছিলেন। তার বিরুদ্ধে দেশদ্রোহিতার অভিযোগে মামলা দায়ের হয় ২০২২ সালে। ওই বছরেই সাংবাদিক সিদ্দিক কাপ্পানের বিরুদ্ধে টাকা তছরূপের অভিযোগ এনে মামলা দায়ের করে ইডি। তার বিরুদ্ধে নিষিদ্ধ পিপলস ফ্রন্ট অফ ইন্ডিয়া থেকে অর্থ নেওয়ার অভিযোগ ওঠে। গত সেপ্টেম্বরে সন্ত্রাসী মামলায় সুপ্রিম কোর্ট সাংবাদিক সিদ্দিক কাপ্পানকে জামিন দেয়। এর পর ডিসেম্বরে অর্থ তছরূপের মামলা থেকে জামিন পান তিনি। কিন্তু একাধিক আমলাতান্ত্রিক ত্রুটির কারণে তার মুক্তি আটকে গিয়েছিল।

আরও পড়ুন: তবরেজ মামলায় অভিযুক্তদের ১০ বছরের জেল

Copyright © Puber Kalom All rights reserved.| Developed by eTech Builder

জেল থেকে ছাড়া পেলেন সাংবাদিক সিদ্দীক কাপ্পান

আপডেট : ২ ফেব্রুয়ারী ২০২৩, বৃহস্পতিবার

পুবের কলম, ওয়েবডেস্ক:  দীর্ঘ ২৮ মাস পর ঘুচল বন্দীদশা। লখনউ জেল থেকে ছাড়া পেলেন কেরলের সাংবাদিক সিদ্দিক কাপ্পান। হাইকোর্ট কাপ্পানের জামিনের আবেদন মঞ্জুর করার পর বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে আটটায় জেল থেকে ছাড়া পান কেরলের এই সাংবাদিক।
হাথরস কাণ্ডে খবর করতে গিয়ে যোগী পুলিশের হাতে গ্রেফতার হয়েছিলেন সাংবাদিক কাপ্পান। সিদ্দিকের জামিন মঞ্জুর হয়েছিল ২০২২ সালের ২৪ ডিসেম্বর। জামিন পাওয়ার প্রায় এক মাস পর জেল থেকে ছাড়া পেলেন তিনি। একদিন আগে, লখনউয়ের একটি বিশেষ আদালত কাপ্পানের জামিনের আবেদন মঞ্জুর করেন।

লখনউয়ের জেল থেকে মুক্তি পাওয়ার পর সাংবাদিকদের উদ্দেশে সিদ্দিক জানিয়েছেন, ‘আমি কঠোর আইনের বিরুদ্ধে লড়াই চালিয়ে গেছি। জামিন পাওয়ার পরেও আমাকে জেলে রাখা হয়েছে। দীর্ঘ ২৮ মাস ধরে আমি কঠিন যুদ্ধ চালিয়ে গেছি। আমি জানি না, আমাকে জেলে ঢুকিয়ে কার কি লাভ হল। এই দুটো বছর আমার কাছে খুব কঠিন এক সময় ছিল। কিন্তু আমি ভয় পাইনি”।

আরও পড়ুন: সাংবাদিক Siddique Kappan-এর বাড়িতে পুলিশি তল্লাশি

প্রসঙ্গত, বৃহস্পতিবার সন্ধ্যার দিকে সিদ্দিক কাপ্পানের জেল থেকে মুক্তির কথা ছিল। মানি লন্ডারিং প্রতিরোধের বিশেষ আদালতের বিচারক বার কাউন্সিলের নির্বাচন নিয়ে ব্যস্ত থাকায় তাকে মুক্তি দেওয়া যায়নি।
সিদ্দিক কাপ্পানের আইনজীবী আগেই জানিয়েছিলেন, বুধবার তার জেল থেকে মুক্তির সমস্ত প্রক্রিয়া সম্পূর্ণ হয়। কিন্তু তার রিলিজ অর্ডার এদিন ঠিক সময়ে পৌঁছয়নি। সেই কারণে বৃহস্পতিবার তিনি জেল থেকে ছাড়া পাবেন’।

আরও পড়ুন: শারীরিক অবস্থার অবনতি তিহারে বন্দি সাংসদ ইঞ্জিনিয়ার রাশিদের

উল্লেখ্য, ২০২০ সালের অক্টোবর মাসে উত্তরপ্রদেশের হাথরস কাণ্ডে ২০ বছরের দলিত এক মেয়ের গণধর্ষণের ঘটনা ঘটে। দিল্লির এক হাসপাতালে ১৪দিন মৃত্যুর সঙ্গে লড়াই করার পর মৃত্যু হয় তার। রাতেই প্রশাসনের উপস্তিতিতে ধর্ষিতার দেয় জ্বালিয়ে দেওয়া হয়। ঘটনায় গর্জে ওঠে গোটা দেশ। এই ঘটনায় খবর সংগ্রহ করতে যান সাংবাদিক সিদ্দিক কাপ্পান। সেই সময় যোগী রাজ্যের পুলিশ সিদ্দিক কাপ্পানকে গ্রেফতার করে। বলা হয় সাংবাদিক কাপ্পান এখানে অশান্তি করতে এসেছিলেন। তার বিরুদ্ধে দেশদ্রোহিতার অভিযোগে মামলা দায়ের হয় ২০২২ সালে। ওই বছরেই সাংবাদিক সিদ্দিক কাপ্পানের বিরুদ্ধে টাকা তছরূপের অভিযোগ এনে মামলা দায়ের করে ইডি। তার বিরুদ্ধে নিষিদ্ধ পিপলস ফ্রন্ট অফ ইন্ডিয়া থেকে অর্থ নেওয়ার অভিযোগ ওঠে। গত সেপ্টেম্বরে সন্ত্রাসী মামলায় সুপ্রিম কোর্ট সাংবাদিক সিদ্দিক কাপ্পানকে জামিন দেয়। এর পর ডিসেম্বরে অর্থ তছরূপের মামলা থেকে জামিন পান তিনি। কিন্তু একাধিক আমলাতান্ত্রিক ত্রুটির কারণে তার মুক্তি আটকে গিয়েছিল।

আরও পড়ুন: তবরেজ মামলায় অভিযুক্তদের ১০ বছরের জেল