০৩ জুন ২০২৫, মঙ্গলবার, ১৯ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

জলের তলার অপরাধের দ্রুত কিনারা করতে বিশেষ ড্রোন কিনছে কলকাতা পুলিশ

বিপাশা চক্রবর্তী
  • আপডেট : ১২ জুলাই ২০২৩, বুধবার
  • / 15

প্রতীকী ছবি

পুবের কলম প্রতিবেদকঃ অপরাধের পর তথ্য প্রমাণ লোপাট করার জন্য নদী, নালা, খাল, বিলের জলাশয় বেছে নেয় অপরাধীরা। অনেক সময় খুনের পর মৃতদেহকে জলে ফেলে দেওয়া হয়। আবার পুলিশের নজরদারি এড়ানোর জন্য বেআইনি জিনিসপত্র কিংবা চুরি করা সামগ্রীও জলে ফেলে দেওয়ার মাধ্যমে তথ্য-প্রমাণ লোপাট করার প্রবণতা থাকে অপরাধীদের মনে।

ফলে অনেক সময় জলের তলা থেকে মৃতদেহ কিংবা চুরি যাওয়া সামগ্রী উদ্ধার করে ঘটনার কিনারা করতে বেশ বেগ পেতে হতো ছুটে কলকাতা পুলিশের। আবার অনেক সময় জলে ডুবে মৃত্যু হওয়া ব্যক্তির লাশ উদ্ধারের জন্য বিপর্যয় মোকাবেলা বাহিনীর সদস্য সহ নামাতে হতো প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত ডুবুরিদের।

আরও পড়ুন: ভুল কেন্দ্রে সিবিএসই পরীক্ষার্থী, গ্রিন করিডর করে পরীক্ষাকেন্দ্রে পৌঁছে দিল পুলিশ

সেক্ষেত্রেও বিভিন্ন সমস্যায় পড়তে হতো উদ্ধারকারী সহ পুলিশকে। জলের তলার বিভিন্ন ঘটনার দ্রুত কিনারা করতে এবার অত্যাধুনিক প্রযুক্তিতে তৈরি বিশেষ ক্ষমতাসম্পন্ন ‘আন্ডার ওয়াটার ড্রোন’ কেনার সিদ্ধান্ত নিয়েছে কলকাতা পুলিশ।

আরও পড়ুন: শহরের বুকে প্রকাশ্য রাস্তায় কুপিয়ে খুন তরুণীকে, গ্রেফতার ৩

জানা গিয়েছে কলকাতা পুলিশের কমিশনার বিনীত গোয়েলের নির্দেশেই রিমোট চালিত উচ্চ ক্ষমতার ড্রোন কেনার প্রস্তুতি শুরু করেছে লালবাজার।উল্লেখ্য, কলকাতা পুলিশের উদ্যোগে এই ড্রোন বা রিমোট অপারেটেড ভেহিকল বা আরওভি কেনার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।

আরও পড়ুন: অভিষেককে খুনের চেষ্টা, মুম্বই থেকে গ্রেফতার রাজারাম

অত্যাধুনিক প্রযুক্তি আর উচ্চ ক্ষমতার এই রিমোট অপারেটেড ভেহিকল ৩৩০ ফুট জলের গভীরের ছবি ও ভিডিওগ্রাফি করতে সক্ষম।
আগে জলের গভীরের কোন ঘটনার তথ্য প্রমান জোগাড় করতে পুলিশকে বেশ ঝুঁকি নিয়ে কাজ করতে হতো।  এমনকী অপরাধীকে চিহ্নিত করা গেলেও জলের গভীর থেকে উপযুক্ত তথ্য প্রমাণ খুঁজে পেতে অনকে সময় লাগতো বলে কলকাতা পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে। রিমোট চালিত ‘আন্ডার ওয়াটার ড্রোন’ বা আরওভি ব্যাবহার করে দ্রুত সঠিক তথ্য প্রমান সঙ্গগ্রহ করতে পারবে বলে কলকাতা পুলিশের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে।

 

Copyright © Puber Kalom All rights reserved.| Developed by eTech Builder

জলের তলার অপরাধের দ্রুত কিনারা করতে বিশেষ ড্রোন কিনছে কলকাতা পুলিশ

আপডেট : ১২ জুলাই ২০২৩, বুধবার

পুবের কলম প্রতিবেদকঃ অপরাধের পর তথ্য প্রমাণ লোপাট করার জন্য নদী, নালা, খাল, বিলের জলাশয় বেছে নেয় অপরাধীরা। অনেক সময় খুনের পর মৃতদেহকে জলে ফেলে দেওয়া হয়। আবার পুলিশের নজরদারি এড়ানোর জন্য বেআইনি জিনিসপত্র কিংবা চুরি করা সামগ্রীও জলে ফেলে দেওয়ার মাধ্যমে তথ্য-প্রমাণ লোপাট করার প্রবণতা থাকে অপরাধীদের মনে।

ফলে অনেক সময় জলের তলা থেকে মৃতদেহ কিংবা চুরি যাওয়া সামগ্রী উদ্ধার করে ঘটনার কিনারা করতে বেশ বেগ পেতে হতো ছুটে কলকাতা পুলিশের। আবার অনেক সময় জলে ডুবে মৃত্যু হওয়া ব্যক্তির লাশ উদ্ধারের জন্য বিপর্যয় মোকাবেলা বাহিনীর সদস্য সহ নামাতে হতো প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত ডুবুরিদের।

আরও পড়ুন: ভুল কেন্দ্রে সিবিএসই পরীক্ষার্থী, গ্রিন করিডর করে পরীক্ষাকেন্দ্রে পৌঁছে দিল পুলিশ

সেক্ষেত্রেও বিভিন্ন সমস্যায় পড়তে হতো উদ্ধারকারী সহ পুলিশকে। জলের তলার বিভিন্ন ঘটনার দ্রুত কিনারা করতে এবার অত্যাধুনিক প্রযুক্তিতে তৈরি বিশেষ ক্ষমতাসম্পন্ন ‘আন্ডার ওয়াটার ড্রোন’ কেনার সিদ্ধান্ত নিয়েছে কলকাতা পুলিশ।

আরও পড়ুন: শহরের বুকে প্রকাশ্য রাস্তায় কুপিয়ে খুন তরুণীকে, গ্রেফতার ৩

জানা গিয়েছে কলকাতা পুলিশের কমিশনার বিনীত গোয়েলের নির্দেশেই রিমোট চালিত উচ্চ ক্ষমতার ড্রোন কেনার প্রস্তুতি শুরু করেছে লালবাজার।উল্লেখ্য, কলকাতা পুলিশের উদ্যোগে এই ড্রোন বা রিমোট অপারেটেড ভেহিকল বা আরওভি কেনার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।

আরও পড়ুন: অভিষেককে খুনের চেষ্টা, মুম্বই থেকে গ্রেফতার রাজারাম

অত্যাধুনিক প্রযুক্তি আর উচ্চ ক্ষমতার এই রিমোট অপারেটেড ভেহিকল ৩৩০ ফুট জলের গভীরের ছবি ও ভিডিওগ্রাফি করতে সক্ষম।
আগে জলের গভীরের কোন ঘটনার তথ্য প্রমান জোগাড় করতে পুলিশকে বেশ ঝুঁকি নিয়ে কাজ করতে হতো।  এমনকী অপরাধীকে চিহ্নিত করা গেলেও জলের গভীর থেকে উপযুক্ত তথ্য প্রমাণ খুঁজে পেতে অনকে সময় লাগতো বলে কলকাতা পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে। রিমোট চালিত ‘আন্ডার ওয়াটার ড্রোন’ বা আরওভি ব্যাবহার করে দ্রুত সঠিক তথ্য প্রমান সঙ্গগ্রহ করতে পারবে বলে কলকাতা পুলিশের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে।