০৫ অক্টোবর ২০২৫, রবিবার, ১৮ আশ্বিন ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

ভিনগ্রহীদের উস্কাচ্ছে নাসা, হামলা হতে পারে বিশ্বজুড়ে

ইমামা খাতুন
  • আপডেট : ১৮ এপ্রিল ২০২২, সোমবার
  • / 94

পুবের কলম ওয়েবডেস্ক : ভিনগ্রহীরা কি সত্যিই আছে। তাহলে তারা কোথায় থাকে। কেউ জানে না। কিন্তু বহুবার নানা ঘটনা সামনে এসেছে। কখনো কখনো ফুটেজও মিলেছে। যদিও প্রতিবারই আবছা। উড়ান তসতরির খবর যে কতবার হয়েছে তার ইয়ত্তা নেই। হলিউড এই এলিয়েনদের নিয়ে বহু সিনেমা বানিয়েছে। বহু ছবিতে দেখা গিয়েছে কিভাবে এই এলিয়েনরা পৃথিবীতে হামলার ছক কষছে। কিন্তু তাকে সিরিয়াসভাবে নেয়নি কেউ। কিন্তু এবার নাসার বিরুদ্ধেই তোলা হল অভিযোগ। বলা হচ্ছে নাসা নাকি এলিয়েনদের সব কিছু জানিয়ে দিচ্ছে। এই মহাবিশ্বে ঠিক কোথায় আমাদের পৃথিবীর অবস্থা তা ওই ভিনগ্রহীদের জানিয়ে দিচ্ছে আসলে নাসার বিজ্ঞানীরাই।

অক্সফোর্ড ইউনিভার্সিটির বিজ্ঞানীদের বক্তব্য মহাকাশে অবস্থানের ডেটা এবং অন্যান্য তথ্য সম্প্রচার করছে নাসা। তাদের দাবি এর জন্য অবশ্যই সতর্ক থাকতে হবে। এই প্রচেষ্টা বিপজ্জনক হতে পারে। অনিচ্ছাকৃত এই কাজের জন্য এলিয়েন আক্রমণ হতেই পারে। ‘বীকন ইন দ্য গ্যালাক্সি’ (বিআইটিজি), অর্থাৎ মহাকাশে আলোক সংকেত নামে একটি প্রকল্পে কাজ করছে নাসার বিজ্ঞানীরা। তারা এলিয়েনদের কাছে আলোক সংকেত দিচ্ছে। কিন্তু তাতে হিতে বিপরীত হতে পারে। মার্কিন মহাকাশ সংস্থা শেটি ইন্সটিটিউট থেকেও আলোক সংকেত পাঠানো হয়। বিজ্ঞানীরা ওই এলিয়েনদের সঙ্গে সংযোগ স্থাপনের তাগিদে পৃথিবীর জীবনের জৈব রাসায়নিক গঠন, মিল্কিওয়েতে সৌরজগতের টাইম-স্ট্যাম্পড অবস্থান, মানুষের ডিজিটাইজড ছবি এবং বহির্জাগতিকদের প্রতিক্রিয়া জানানোর আমন্ত্রণের মতো তথ্য অন্তর্ভুক্ত থাকে।

আরও পড়ুন: ১২ কোটির বেশি লোক হিংসার শিকার হয়ে ঘরছাড়া এ বিশ্বে

অক্সফোর্ডের ফিউচার অফ হিউম্যানিটি ইনস্টিটিউটের (এফএইচআই) সিনিয়র গবেষক অ্যান্ডার্স স্যান্ডবার্গ যুক্তি দিয়েছিলেন যে এই ধরনের সম্প্রচার ঝুঁকিপূর্ণ হতে পারে। তিনি বলেছেন, ভিনগ্রহীদের প্রতিক্রিয়াটি কেবল একটি বন্ধুত্বপূর্ণ অভিবাদন নাও হতে পারে। রবিবার প্রকাশিত একটি নিবন্ধে স্যান্ডবার্গ ইউকের টেলিগ্রাফ সংবাদপত্রকে বলেছেন, এলিয়েনদের জীবন অনুসন্ধানের চারপাশে আসলে একটি ‘গিগল ফ্যাক্টর’ রয়েছে। যার অর্থ অনেক লোক এর সঙ্গে সম্পর্কিত বিষয়গুলিকে গুরুত্ব সহকারে গ্রহণ করতে অস্বীকার করেন। যা লজ্জাজনক কারণ এটি সত্যিই গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। মস্করা করার বিষয় নয় ।

আরও পড়ুন: পৃথিবীতে টিকে থাকতে গেলে চাই গতি, গতিই এদের করেছে শ্রেষ্ঠ

যেসব বিজ্ঞানীরা আলোক সংকেত পাঠানো তাদের অনেকের বক্তব্য, এর মাধ্যমে তারা ভিনগ্রহীদের সঙ্গে সুসম্পর্ক তৈরি করতে পারবে। কিন্তু বাকিরা অনেকে বলছেন সেটা নাও হতে পারে। কারণ তারা যে সবাই ভালো বিজ্ঞানী হবেন, এমনটা নাও হতে পারে। ফলে সেটা ঝুঁকিমূলকও হতে পারে।

আরও পড়ুন: জীবনকে বদলে দিতে পারে সুরা লোকমান!

প্রতিবেদক

ইমামা খাতুন

২০২২ সাল থেকে সংবাদ জগতের সঙ্গে যুক্ত। আলিয়া বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সাংবাদিকতাতে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি অর্জন করেছে। ডিজিটাল প্লাটফর্মে রিপোর্টার হিসেবে হাতেখড়ি। ২০২২ সালের শেষান্তে পুবের কলম-এর সঙ্গে যুক্ত হয়। ইমামার ভাষ্যে, The First Law of Journalism: to confirm existing prejudice, rather than contradict it.

Copyright © Puber Kalom All rights reserved.| Developed by eTech Builder

ভিনগ্রহীদের উস্কাচ্ছে নাসা, হামলা হতে পারে বিশ্বজুড়ে

আপডেট : ১৮ এপ্রিল ২০২২, সোমবার

পুবের কলম ওয়েবডেস্ক : ভিনগ্রহীরা কি সত্যিই আছে। তাহলে তারা কোথায় থাকে। কেউ জানে না। কিন্তু বহুবার নানা ঘটনা সামনে এসেছে। কখনো কখনো ফুটেজও মিলেছে। যদিও প্রতিবারই আবছা। উড়ান তসতরির খবর যে কতবার হয়েছে তার ইয়ত্তা নেই। হলিউড এই এলিয়েনদের নিয়ে বহু সিনেমা বানিয়েছে। বহু ছবিতে দেখা গিয়েছে কিভাবে এই এলিয়েনরা পৃথিবীতে হামলার ছক কষছে। কিন্তু তাকে সিরিয়াসভাবে নেয়নি কেউ। কিন্তু এবার নাসার বিরুদ্ধেই তোলা হল অভিযোগ। বলা হচ্ছে নাসা নাকি এলিয়েনদের সব কিছু জানিয়ে দিচ্ছে। এই মহাবিশ্বে ঠিক কোথায় আমাদের পৃথিবীর অবস্থা তা ওই ভিনগ্রহীদের জানিয়ে দিচ্ছে আসলে নাসার বিজ্ঞানীরাই।

অক্সফোর্ড ইউনিভার্সিটির বিজ্ঞানীদের বক্তব্য মহাকাশে অবস্থানের ডেটা এবং অন্যান্য তথ্য সম্প্রচার করছে নাসা। তাদের দাবি এর জন্য অবশ্যই সতর্ক থাকতে হবে। এই প্রচেষ্টা বিপজ্জনক হতে পারে। অনিচ্ছাকৃত এই কাজের জন্য এলিয়েন আক্রমণ হতেই পারে। ‘বীকন ইন দ্য গ্যালাক্সি’ (বিআইটিজি), অর্থাৎ মহাকাশে আলোক সংকেত নামে একটি প্রকল্পে কাজ করছে নাসার বিজ্ঞানীরা। তারা এলিয়েনদের কাছে আলোক সংকেত দিচ্ছে। কিন্তু তাতে হিতে বিপরীত হতে পারে। মার্কিন মহাকাশ সংস্থা শেটি ইন্সটিটিউট থেকেও আলোক সংকেত পাঠানো হয়। বিজ্ঞানীরা ওই এলিয়েনদের সঙ্গে সংযোগ স্থাপনের তাগিদে পৃথিবীর জীবনের জৈব রাসায়নিক গঠন, মিল্কিওয়েতে সৌরজগতের টাইম-স্ট্যাম্পড অবস্থান, মানুষের ডিজিটাইজড ছবি এবং বহির্জাগতিকদের প্রতিক্রিয়া জানানোর আমন্ত্রণের মতো তথ্য অন্তর্ভুক্ত থাকে।

আরও পড়ুন: ১২ কোটির বেশি লোক হিংসার শিকার হয়ে ঘরছাড়া এ বিশ্বে

অক্সফোর্ডের ফিউচার অফ হিউম্যানিটি ইনস্টিটিউটের (এফএইচআই) সিনিয়র গবেষক অ্যান্ডার্স স্যান্ডবার্গ যুক্তি দিয়েছিলেন যে এই ধরনের সম্প্রচার ঝুঁকিপূর্ণ হতে পারে। তিনি বলেছেন, ভিনগ্রহীদের প্রতিক্রিয়াটি কেবল একটি বন্ধুত্বপূর্ণ অভিবাদন নাও হতে পারে। রবিবার প্রকাশিত একটি নিবন্ধে স্যান্ডবার্গ ইউকের টেলিগ্রাফ সংবাদপত্রকে বলেছেন, এলিয়েনদের জীবন অনুসন্ধানের চারপাশে আসলে একটি ‘গিগল ফ্যাক্টর’ রয়েছে। যার অর্থ অনেক লোক এর সঙ্গে সম্পর্কিত বিষয়গুলিকে গুরুত্ব সহকারে গ্রহণ করতে অস্বীকার করেন। যা লজ্জাজনক কারণ এটি সত্যিই গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। মস্করা করার বিষয় নয় ।

আরও পড়ুন: পৃথিবীতে টিকে থাকতে গেলে চাই গতি, গতিই এদের করেছে শ্রেষ্ঠ

যেসব বিজ্ঞানীরা আলোক সংকেত পাঠানো তাদের অনেকের বক্তব্য, এর মাধ্যমে তারা ভিনগ্রহীদের সঙ্গে সুসম্পর্ক তৈরি করতে পারবে। কিন্তু বাকিরা অনেকে বলছেন সেটা নাও হতে পারে। কারণ তারা যে সবাই ভালো বিজ্ঞানী হবেন, এমনটা নাও হতে পারে। ফলে সেটা ঝুঁকিমূলকও হতে পারে।

আরও পড়ুন: জীবনকে বদলে দিতে পারে সুরা লোকমান!