২৫ ডিসেম্বর ২০২৫, বৃহস্পতিবার, ৯ পৌষ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

আমিরশাহির রাষ্ট্রপতি  শেখ খলিফা বিন জায়েদ আল নাহিয়ানের ইন্তেকালে আজ রাষ্ট্রীয় শোক ভারতে, অর্ধনমিত থাকবে জাতীয় পতাকা 

পুবের কলম, ওয়েবডেস্ক: আরব আমিরাতের রাষ্ট্রপতি শেখ খলিফা বিন জায়েদ আল নাহিয়ানের ইন্তেকালে শনিবার রাষ্ট্রীয় শোক পালন হবে ভারতে। আজ দিনভর সমস্ত সরকারি  ভবনে অর্ধনমিত থাকবে জাতীয় পতাকা। শুক্রবার সমস্ত রাজ্য এবং কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলগুলির জন্য এ বিষয়ে বিবৃতি জারি করেছে কেন্দ্র সরকার।

উল্লেখ, ২০১৪ সালে আক্রান্ত হয়েছিলেন হৃদরোগে। তারপর থেকে ছিলেন শয্যাশায়ী। অবশেষে দীর্ঘদিন রোগভোগের পর শুক্রবারই শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন সংযুক্ত আরব আমিরশাহীরক রাষ্ট্রপতি শেখ খলিফ বিন জায়েদ আল নাহিয়ান। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৭৩ বছর। রাষ্ট্রপ্রধানের মৃত্যুতে গভীর শোকের ছায়া নেমে এসেছে গোটা দেশেই। শুক্রবার থেকে টানা চল্লিশ দিন পর্যন্ত রাষ্ট্রীয় শোক চলবে সংযুক্ত আরব আমিরশাহীতে। এই এক মাসের বেশি সময় ধরে সমস্ত সরকারি ভবনে অর্ধনমিত থাকবে জাতীয় পতাকা। শোকের ছায়া পড়েছে ভারতেও।

আরও পড়ুন: জ়ুবিন গর্গের মৃত্যু ‘দুর্ঘটনা’ নয়, ‘খুন’, বিধানসভায় জানালেন মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত

শুক্রবার দেশটির প্রেসিডেন্টের কার্যালয় সূত্রে রাষ্ট্রপতি শেখ খলিফা বিন জায়েদ আল নাহিয়ানের ইন্তেকালের খবর জানানো হয়। প্রেসিডেন্টের মৃত্যুতে শোকজ্ঞাপন করেন শোকজ্ঞাপন করেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন সহ বিশ্বের সব নেতারা। এছাড়াও ট্যুইট করে শোকপ্রকাশ করেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি, বিদেশ মন্ত্রী জয়শঙ্কর ও কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধি।

আরও পড়ুন: ২০০২ সালে নাম ছিল, তবুও আতঙ্কে মৃত্যু!

১৯৪৮ সালে জন্মগ্রহণ করেন জায়েদ আল নাহিয়ান। সংযুক্ত আরব আমিরাতের দ্বিতীয় রাষ্ট্রপতি এবং আবুধাবির ১৬তম শাসক ছিলেন জায়েদ আল নাহিয়ান।  ২০২০ সালে মার্কিন পৌরহিত্যে ঐতিহাসিক শান্তিচুক্তি স্বাক্ষর করে ইজরায়েল ও সংযুক্ত আরব আমিরশাহী। এই চুক্তির মাধ্যমে কূটনৈতিক স্তরে ইজরায়েলকে স্বীকৃতি দিয়েছিল আরব আমিরশাহী। সেই চুক্তি রূপায়ণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নিয়েছিলেন জায়েদ আল নাহিয়ান।

আরও পড়ুন: ৮০ বার যুদ্ধবিরতি চুক্তি লঙ্ঘন ইসরাইলের, লাগাতার বিমান হামলায় বাড়ছে নিহতের সংখ্যা

২০১৪ সালে হৃদরোগে আক্রান্ত হন তিনি। তারপরেই তাঁর ক্ষমতার অনেকটাই দিয়ে দেওয়া হয় আরবের যুবরাজ মোহাম্মদ আল নাহিয়ানের হাতে।

শেখ খলিফা বিন জায়েদ ২০০৪ সালের ৩ নভেম্বর থেকে সংযুক্ত আরব আমিরাতের প্রেসিডেন্ট ও আবুধাবির শাসক হিসেবে দায়িত্ব পালন করছিলেন। আমিরাতের প্রথম প্রেসিডেন্ট শেখ জায়েদ বিন সুলতান আল নাহিয়ানের মৃত্যুর পর তার উত্তরসূরী নির্বাচিত হন শেখ খলিফা।

 

 

সর্বধিক পাঠিত

বিজেপির রাজ্যে ‘বেটি বাঁচাও’-এর এটাই বাস্তব চিত্র: সেঙ্গারের জামিন নিয়ে তোপ অভিষেকের

Copyright © Puber Kalom All rights reserved.| Developed by eTech Builder

আমিরশাহির রাষ্ট্রপতি  শেখ খলিফা বিন জায়েদ আল নাহিয়ানের ইন্তেকালে আজ রাষ্ট্রীয় শোক ভারতে, অর্ধনমিত থাকবে জাতীয় পতাকা 

আপডেট : ১৪ মে ২০২২, শনিবার

পুবের কলম, ওয়েবডেস্ক: আরব আমিরাতের রাষ্ট্রপতি শেখ খলিফা বিন জায়েদ আল নাহিয়ানের ইন্তেকালে শনিবার রাষ্ট্রীয় শোক পালন হবে ভারতে। আজ দিনভর সমস্ত সরকারি  ভবনে অর্ধনমিত থাকবে জাতীয় পতাকা। শুক্রবার সমস্ত রাজ্য এবং কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলগুলির জন্য এ বিষয়ে বিবৃতি জারি করেছে কেন্দ্র সরকার।

উল্লেখ, ২০১৪ সালে আক্রান্ত হয়েছিলেন হৃদরোগে। তারপর থেকে ছিলেন শয্যাশায়ী। অবশেষে দীর্ঘদিন রোগভোগের পর শুক্রবারই শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন সংযুক্ত আরব আমিরশাহীরক রাষ্ট্রপতি শেখ খলিফ বিন জায়েদ আল নাহিয়ান। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৭৩ বছর। রাষ্ট্রপ্রধানের মৃত্যুতে গভীর শোকের ছায়া নেমে এসেছে গোটা দেশেই। শুক্রবার থেকে টানা চল্লিশ দিন পর্যন্ত রাষ্ট্রীয় শোক চলবে সংযুক্ত আরব আমিরশাহীতে। এই এক মাসের বেশি সময় ধরে সমস্ত সরকারি ভবনে অর্ধনমিত থাকবে জাতীয় পতাকা। শোকের ছায়া পড়েছে ভারতেও।

আরও পড়ুন: জ়ুবিন গর্গের মৃত্যু ‘দুর্ঘটনা’ নয়, ‘খুন’, বিধানসভায় জানালেন মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত

শুক্রবার দেশটির প্রেসিডেন্টের কার্যালয় সূত্রে রাষ্ট্রপতি শেখ খলিফা বিন জায়েদ আল নাহিয়ানের ইন্তেকালের খবর জানানো হয়। প্রেসিডেন্টের মৃত্যুতে শোকজ্ঞাপন করেন শোকজ্ঞাপন করেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন সহ বিশ্বের সব নেতারা। এছাড়াও ট্যুইট করে শোকপ্রকাশ করেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি, বিদেশ মন্ত্রী জয়শঙ্কর ও কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধি।

আরও পড়ুন: ২০০২ সালে নাম ছিল, তবুও আতঙ্কে মৃত্যু!

১৯৪৮ সালে জন্মগ্রহণ করেন জায়েদ আল নাহিয়ান। সংযুক্ত আরব আমিরাতের দ্বিতীয় রাষ্ট্রপতি এবং আবুধাবির ১৬তম শাসক ছিলেন জায়েদ আল নাহিয়ান।  ২০২০ সালে মার্কিন পৌরহিত্যে ঐতিহাসিক শান্তিচুক্তি স্বাক্ষর করে ইজরায়েল ও সংযুক্ত আরব আমিরশাহী। এই চুক্তির মাধ্যমে কূটনৈতিক স্তরে ইজরায়েলকে স্বীকৃতি দিয়েছিল আরব আমিরশাহী। সেই চুক্তি রূপায়ণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নিয়েছিলেন জায়েদ আল নাহিয়ান।

আরও পড়ুন: ৮০ বার যুদ্ধবিরতি চুক্তি লঙ্ঘন ইসরাইলের, লাগাতার বিমান হামলায় বাড়ছে নিহতের সংখ্যা

২০১৪ সালে হৃদরোগে আক্রান্ত হন তিনি। তারপরেই তাঁর ক্ষমতার অনেকটাই দিয়ে দেওয়া হয় আরবের যুবরাজ মোহাম্মদ আল নাহিয়ানের হাতে।

শেখ খলিফা বিন জায়েদ ২০০৪ সালের ৩ নভেম্বর থেকে সংযুক্ত আরব আমিরাতের প্রেসিডেন্ট ও আবুধাবির শাসক হিসেবে দায়িত্ব পালন করছিলেন। আমিরাতের প্রথম প্রেসিডেন্ট শেখ জায়েদ বিন সুলতান আল নাহিয়ানের মৃত্যুর পর তার উত্তরসূরী নির্বাচিত হন শেখ খলিফা।