৩০ জুলাই ২০২৫, বুধবার, ১৪ শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

৫ বছরে ইডি মামলায় দোষী মাত্র ৬.৪২ শতাংশ: সংসদে কেন্দ্র

কিবরিয়া আনসারি
  • আপডেট : ১২ ডিসেম্বর ২০২৪, বৃহস্পতিবার
  • / 66

Enforcement Directorate

নয়াদিল্লি: অবৈধ আর্থিক লেনদেন সহ বেআইনি অর্থ মজুত নিয়ে তল্লাশি অভিযান চালাতে দেখা গিয়েছে কেন্দ্রীয় আর্থিক তদন্তকারী সংস্থা এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেটকে (ইডি)। অর্থ পাচারের অভিযোগে একাধিক মামলাও দায়ের করেছে ইডি। তবে কতগুলি মামলার বিচার প্রক্রিয়া সম্পন্ন করতে পেরেছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। বুধবার সংসদে সেই তথ্যই দিল কেন্দ্র সরকার। বলা হয়েছে, ২০১৯ সালের প্রথম থেকে চলতি বছরের অক্টোবর পর্যন্ত অর্থাৎ গত পাঁচ বছরে অবৈধ অর্থ পাচারের অভিযোগে ৯১১টি মামলা দায়ের করেছে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট। এর মধ্যে ৬৫৪টি মামলার বিচার প্রক্রিয়া সম্পন্ন হয়েছে। শুধুমাত্র ৪২টি মামলায় অভিযুক্তদের দোষী সাব্যস্ত করা হয়েছে। অর্থাৎ সাজার হার ৬.৪২ শতাংশ।

Read More: সম্ভলে হিংসার শিকার, পরিবারগুলির সঙ্গে সাক্ষাৎ রাহুলের

এদিন ইডির দায়ের করা মামলা সম্পর্কে জানতে চেয়েছিলেন কংগ্রেসের রাজ্যসভার সাংসদ রণদীপ সিং সুরজেওয়ালা। কংগ্রেস সাংসদের প্রশ্নের জবাবে কেন্দ্রীয় অর্থ প্রতিমন্ত্রী পঙ্কজ চৌধুরি বলেন, গত পাঁচ বছরে ইডির দায়ের করা ৯১১টি মামলার মধ্যে ২৫৭টি মামলা (২৮ শতাংশ) বিচারাধীন রয়েছে। কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী জানিয়েছেন, ‘এখন পর্যন্ত প্রসিকিউশনের দায়ের করা ৯১১টি অভিযোগের মধ্যে ২৫৭টি মামলার বিচার প্রক্রিয়া বিচারাধীন রয়েছে। অর্থ পাচারের অপরাধে ৪২টি মামলায় ৯৯ জন আসামির সাজা হয়েছে।’

প্রসঙ্গত, কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার ভূমিকা নিয়ে বারংবার প্রশ্ন তুলেছে দেশের বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলি। এমনকি সুপ্রিম কোর্টেও ভৎসনার মুখে পড়তে হয়েছে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেটকে। এর আগে একটি পিএমএলএ মামলায় দোষী সাব্যস্ত হওয়ার হার দেখে বিস্ময় প্রকাশ করেছিল শীর্ষ আদালত। সুপ্রিমকোর্টের পর্যবেক্ষণ ছিল, বিচার প্রক্রিয়ায় আরও মজবুত তথ্যপ্রমাণ জোগাড়ে মনোনিবেশ করতে হবে ইডিকে। সম্প্রতি পশ্চিমবঙ্গের প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের জামিনের আবেদনের শুনানিতেও ইডি মামলার সাজার হার কম হওয়ার বিষয়টি তুলে ধরেছিলেন বিচারপতি সূর্য কান্তের বেঞ্চ।

Tag :

প্রতিবেদক

কিবরিয়া আনসারি

Kibria obtained a master's degree in journalism from Aliah University. He has been in journalism since 2018, gaining work experience in multiple organizations. Focused and sincere about his work, Kibria is currently employed at the desk of Purber Kalom.

Copyright © Puber Kalom All rights reserved.| Developed by eTech Builder

৫ বছরে ইডি মামলায় দোষী মাত্র ৬.৪২ শতাংশ: সংসদে কেন্দ্র

আপডেট : ১২ ডিসেম্বর ২০২৪, বৃহস্পতিবার

নয়াদিল্লি: অবৈধ আর্থিক লেনদেন সহ বেআইনি অর্থ মজুত নিয়ে তল্লাশি অভিযান চালাতে দেখা গিয়েছে কেন্দ্রীয় আর্থিক তদন্তকারী সংস্থা এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেটকে (ইডি)। অর্থ পাচারের অভিযোগে একাধিক মামলাও দায়ের করেছে ইডি। তবে কতগুলি মামলার বিচার প্রক্রিয়া সম্পন্ন করতে পেরেছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। বুধবার সংসদে সেই তথ্যই দিল কেন্দ্র সরকার। বলা হয়েছে, ২০১৯ সালের প্রথম থেকে চলতি বছরের অক্টোবর পর্যন্ত অর্থাৎ গত পাঁচ বছরে অবৈধ অর্থ পাচারের অভিযোগে ৯১১টি মামলা দায়ের করেছে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট। এর মধ্যে ৬৫৪টি মামলার বিচার প্রক্রিয়া সম্পন্ন হয়েছে। শুধুমাত্র ৪২টি মামলায় অভিযুক্তদের দোষী সাব্যস্ত করা হয়েছে। অর্থাৎ সাজার হার ৬.৪২ শতাংশ।

Read More: সম্ভলে হিংসার শিকার, পরিবারগুলির সঙ্গে সাক্ষাৎ রাহুলের

এদিন ইডির দায়ের করা মামলা সম্পর্কে জানতে চেয়েছিলেন কংগ্রেসের রাজ্যসভার সাংসদ রণদীপ সিং সুরজেওয়ালা। কংগ্রেস সাংসদের প্রশ্নের জবাবে কেন্দ্রীয় অর্থ প্রতিমন্ত্রী পঙ্কজ চৌধুরি বলেন, গত পাঁচ বছরে ইডির দায়ের করা ৯১১টি মামলার মধ্যে ২৫৭টি মামলা (২৮ শতাংশ) বিচারাধীন রয়েছে। কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী জানিয়েছেন, ‘এখন পর্যন্ত প্রসিকিউশনের দায়ের করা ৯১১টি অভিযোগের মধ্যে ২৫৭টি মামলার বিচার প্রক্রিয়া বিচারাধীন রয়েছে। অর্থ পাচারের অপরাধে ৪২টি মামলায় ৯৯ জন আসামির সাজা হয়েছে।’

প্রসঙ্গত, কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার ভূমিকা নিয়ে বারংবার প্রশ্ন তুলেছে দেশের বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলি। এমনকি সুপ্রিম কোর্টেও ভৎসনার মুখে পড়তে হয়েছে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেটকে। এর আগে একটি পিএমএলএ মামলায় দোষী সাব্যস্ত হওয়ার হার দেখে বিস্ময় প্রকাশ করেছিল শীর্ষ আদালত। সুপ্রিমকোর্টের পর্যবেক্ষণ ছিল, বিচার প্রক্রিয়ায় আরও মজবুত তথ্যপ্রমাণ জোগাড়ে মনোনিবেশ করতে হবে ইডিকে। সম্প্রতি পশ্চিমবঙ্গের প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের জামিনের আবেদনের শুনানিতেও ইডি মামলার সাজার হার কম হওয়ার বিষয়টি তুলে ধরেছিলেন বিচারপতি সূর্য কান্তের বেঞ্চ।