০১ জুন ২০২৫, রবিবার, ১৭ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

ভরা কোটালে পূবালি হাওয়ার জের, একাধিক নদীবাঁধে ফাটল,  রাত জাগছে সুন্দরবনের মানুষ

বিপাশা চক্রবর্তী
  • আপডেট : ১৩ জুলাই ২০২২, বুধবার
  • / 18

পুবের কলম প্রতিবেদক, বসিরহাট: ভরা কোটালে পূবালি হাওয়ার জেরে নদীর জলস্তর বেড়ে ফুঁসছে রায়মঙ্গল কালিন্দী, ইছামতি,  বেথনি,  ছোট কলা গাছি সহ সুন্দরবনের একাধিক নদী।

উত্তর ২৪ পরগনার বসিরহাটের সন্দেশ খালি ১  ব্লকের ছোট সেয়ারা-রাধানগর গ্রাম পঞ্চায়েতের সেয়ারা গ্রাম,  পাশেই ডাসা নদীর বাঁধে প্রায় এক কিলোমিটার নদী বাঁধ বিপর্যস্ত।

আরও পড়ুন: ইডেনে শ্বাসরুদ্ধকর জয়ে প্লে অফের পথে থাকল কলকাতা নাইট রাইডার্স

কোথাও নদী বাধে ফাটল,  আবার কোথায় বড় বড় গর্ত, আবার বাধের মাটি ঝরে পড়ছে কোথাও কোথাও।  নদীর জল বাড়তে শুরু করেছে।

আরও পড়ুন: দেরি করে ঘুমাতে নিষেধ করেছেন মহানবী সা.

তাই চিন্তার ভাঁজ পড়েছে ভোলা খালী, নিত্যবেরিয়া,  রাধানগর, রায়পুর, ঘটিয়াহারা ছেড়াখালি সহ বেশ কিছু গ্রামের বাসিন্দাদের। প্রায় দশ হাজার মানুষ এখানে বসবাস করে। তাই সিঁদুরে মেঘ দেখছে এইসব অঞ্চলের গ্রামবাসীরা। যেকোনো সময় ভাঙ্গনের কবলে পড়তে পারে প্রান্তিক মানুষেরা। তাই রাতের ঘুম কেড়েছে বড় থেকে ছোটদের।

আরও পড়ুন: মক্কায় হজযাত্রীদের জন্য দিন-রাত জমজমের পানি

অন্যদিকে রাধানগর গ্রামের প্রায় এক কিলোমিটার নদী বাঁধের রাস্তা ও বাঁধ ধীরে ধীরে ডাসা নদী গিলে ফেলছে।  তারা জানাচ্ছেন,  বারবার পঞ্চায়েত ও সেচ দপ্তরকে বলে কোন ফল মেলেনি। আমরা নিজেরাই নিজের অর্থ দিয়ে বাঁধের কাজ করেছি। কিন্তু বড়সড়ো বিপর্যয় হলে সেই বাধ রক্ষা করা যাবে না। তাই  চাইছি এই বাঁধ মেরামতির  কাজ শুরু হোক, না হলে রক্ষা নেই। মাথার উপর দিয়ে আমফান,  ইয়াসের মতো বিপর্যয় চলে গেছে। আমরা চাই প্রশাসন দ্রুত বাঁধের কাজ করুন। না হলে শিয়রে সংক্রান্তি।

আবার হয়তো গ্রাম ছেড়ে চলে যেতে হবে উঁচু জায়গা,  স্কুল বাড়ি  ঘূর্ণিঝড় আশ্রয় কেন্দ্র।

বসিরহাট মহকুমা  সেচ দফতরের আধিকারিক রানা চ্যাটার্জি বলেন, বসিরহাট মহকুমায় মোট ৭৫০ কিলোমিটার নদীবাঁধ রয়েছে, তার মধ্যে  ৩০ কিলোমিটার কংক্রিটের বাঁধ হয়েছে। দুর্বল বাঁধগুলোতেও  কাজ চলছে । ইতিমধ্যে পঞ্চায়েত ও ব্লক  প্রশাসনের মাধ্যমে কাজ চালানো হচ্ছে।

Copyright © Puber Kalom All rights reserved.| Developed by eTech Builder

ভরা কোটালে পূবালি হাওয়ার জের, একাধিক নদীবাঁধে ফাটল,  রাত জাগছে সুন্দরবনের মানুষ

আপডেট : ১৩ জুলাই ২০২২, বুধবার

পুবের কলম প্রতিবেদক, বসিরহাট: ভরা কোটালে পূবালি হাওয়ার জেরে নদীর জলস্তর বেড়ে ফুঁসছে রায়মঙ্গল কালিন্দী, ইছামতি,  বেথনি,  ছোট কলা গাছি সহ সুন্দরবনের একাধিক নদী।

উত্তর ২৪ পরগনার বসিরহাটের সন্দেশ খালি ১  ব্লকের ছোট সেয়ারা-রাধানগর গ্রাম পঞ্চায়েতের সেয়ারা গ্রাম,  পাশেই ডাসা নদীর বাঁধে প্রায় এক কিলোমিটার নদী বাঁধ বিপর্যস্ত।

আরও পড়ুন: ইডেনে শ্বাসরুদ্ধকর জয়ে প্লে অফের পথে থাকল কলকাতা নাইট রাইডার্স

কোথাও নদী বাধে ফাটল,  আবার কোথায় বড় বড় গর্ত, আবার বাধের মাটি ঝরে পড়ছে কোথাও কোথাও।  নদীর জল বাড়তে শুরু করেছে।

আরও পড়ুন: দেরি করে ঘুমাতে নিষেধ করেছেন মহানবী সা.

তাই চিন্তার ভাঁজ পড়েছে ভোলা খালী, নিত্যবেরিয়া,  রাধানগর, রায়পুর, ঘটিয়াহারা ছেড়াখালি সহ বেশ কিছু গ্রামের বাসিন্দাদের। প্রায় দশ হাজার মানুষ এখানে বসবাস করে। তাই সিঁদুরে মেঘ দেখছে এইসব অঞ্চলের গ্রামবাসীরা। যেকোনো সময় ভাঙ্গনের কবলে পড়তে পারে প্রান্তিক মানুষেরা। তাই রাতের ঘুম কেড়েছে বড় থেকে ছোটদের।

আরও পড়ুন: মক্কায় হজযাত্রীদের জন্য দিন-রাত জমজমের পানি

অন্যদিকে রাধানগর গ্রামের প্রায় এক কিলোমিটার নদী বাঁধের রাস্তা ও বাঁধ ধীরে ধীরে ডাসা নদী গিলে ফেলছে।  তারা জানাচ্ছেন,  বারবার পঞ্চায়েত ও সেচ দপ্তরকে বলে কোন ফল মেলেনি। আমরা নিজেরাই নিজের অর্থ দিয়ে বাঁধের কাজ করেছি। কিন্তু বড়সড়ো বিপর্যয় হলে সেই বাধ রক্ষা করা যাবে না। তাই  চাইছি এই বাঁধ মেরামতির  কাজ শুরু হোক, না হলে রক্ষা নেই। মাথার উপর দিয়ে আমফান,  ইয়াসের মতো বিপর্যয় চলে গেছে। আমরা চাই প্রশাসন দ্রুত বাঁধের কাজ করুন। না হলে শিয়রে সংক্রান্তি।

আবার হয়তো গ্রাম ছেড়ে চলে যেতে হবে উঁচু জায়গা,  স্কুল বাড়ি  ঘূর্ণিঝড় আশ্রয় কেন্দ্র।

বসিরহাট মহকুমা  সেচ দফতরের আধিকারিক রানা চ্যাটার্জি বলেন, বসিরহাট মহকুমায় মোট ৭৫০ কিলোমিটার নদীবাঁধ রয়েছে, তার মধ্যে  ৩০ কিলোমিটার কংক্রিটের বাঁধ হয়েছে। দুর্বল বাঁধগুলোতেও  কাজ চলছে । ইতিমধ্যে পঞ্চায়েত ও ব্লক  প্রশাসনের মাধ্যমে কাজ চালানো হচ্ছে।