০৯ জুন ২০২৫, সোমবার, ২৫ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

মহেশতলার ঘটনায় নিখোঁজ কিশোরের সন্ধানে এবার সিআইডি-র দ্বারস্থ পুলিশ

সুস্মিতা
  • আপডেট : ৮ জুন ২০২৫, রবিবার
  • / 57

ওবাইদুল্লা লস্কর, ডায়মন্ড হারবার: মহেশতলা-কাণ্ডে নিখোঁজ কিশোরের খোঁজে এবার সিআইডির সাহায্য চাইল ডায়মন্ড হারবার জেলা পুলিশ। নিখোঁজের ৯ দিন কেটে গেলেও কিশোরের হদিশ না মেলায় উদ্বেগ বাড়ছে পরিবারের পাশাপাশি পুলিশ মহলেও। সিআইডির ক্রিমিনাল ইনটেলিজেন্স গেজেটে ইতিমধ্যে ছবি-সহ নিখোঁজ কিশোরের চেহারার বিবরণ ও সমস্ত তথ্য প্রকাশ করা হয়েছে।

তদন্তে গতি আনতে ইসলামপুর এবং মহেশতলা এলাকার বিভিন্ন সিসি ক্যামেরার ফুটেজ খতিয়ে দেখা হচ্ছে। কিশোরের ছবি, পরিচয় ও যাবতীয় তথ্য পোস্ট করা হয়েছে সমাজমাধ্যমে, পুলিশের অভ্যন্তরীণ হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপে এবং ছড়িয়ে দেওয়া হয়েছে জেলার বিভিন্ন থানা, কলকাতা-সহ রাজ্যের নানা হাসপাতাল ও মর্গ কর্তৃপক্ষের কাছে। এমনকী সীমান্তবর্তী এলাকাগুলিতেও সতর্কতা জারি করা হয়েছে।

আরও পড়ুন: হাইকোর্টেই গ্রেপ্তার দম্পতি, সিআইডি’র ভূমিকায় বেজায় ক্ষুব্ধ বিচারপতি

রবিবার দুপুরে কিশোরের খোঁজ না মেলায় ক্ষোভে ফেটে পড়েন স্থানীয় বাসিন্দারা। ইসলামপুরের মাটিকুন্ডায় রাজ্য সড়ক অবরোধ করে টায়ার জ্বালিয়ে বিক্ষোভ দেখান তারা। তাদের দাবি, প্রশাসন যেন অবিলম্বে নিখোঁজ ছেলেটিকে উদ্ধার করে পরিবারের হাতে তুলে দেয়। নিখোঁজ কিশোরের মায়ের কান্নাজড়িত কণ্ঠে আর্তি, ‘আমার ছেলেকে ফিরিয়ে দিন। জানি না ও বেঁচে আছে না মৃত। অভিযুক্তরা মিথ্যা বলছে। ওকে ছাড়া আমি বাঁচব না।’

আরও পড়ুন: মঙ্গলাহাট অগ্নিকাণ্ড: সিআইডি’র হাতে গ্রেফতার ‘প্রমোটার’ শান্তি রঞ্জন দে

উল্লেখ্য, উত্তর দিনাজপুরের ইসলামপুরের বাসিন্দা ওই কিশোরকে মোবাইল চুরির অভিযোগে মহেশতলার একটি জিনস ওয়াশ কারখানায় উলটে ঝুলিয়ে ইলেকট্রিক শক দেওয়া হয়। সেই নির্যাতনের ভিডিয়ো ছড়িয়ে পড়ে সমাজমাধ্যমে। ঘটনায় অভিযুক্ত কারখানার মালিক শাহেনশাহ, তার ভাই ফিরোজ আলম এবং কর্মচারী আমিরুল ওরফে আশিককে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। রবিবার দুপুরে তাদের মুম্বই থেকে এনে রবীন্দ্রনগর থানায় হেফাজতে নেওয়া হয়েছে। ডায়মন্ড হারবার জেলা পুলিশের এক আধিকারিক জানিয়েছেন, ‘আমরা সমস্ত দিক থেকে তদন্ত করছি। আশা করছি দ্রুত কিশোরকে অক্ষত অবস্থায় উদ্ধার করা যাবে। প্রয়োজনে আরও তদন্তকারী সংস্থার সহযোগিতাও নেওয়া হবে।’

আরও পড়ুন: সেনাবাহিনীতে দুই পাক চর,  এবার সিআইডির পাশাপাশি তদন্তে সিবিআই

Tag :

Copyright © Puber Kalom All rights reserved.| Developed by eTech Builder

মহেশতলার ঘটনায় নিখোঁজ কিশোরের সন্ধানে এবার সিআইডি-র দ্বারস্থ পুলিশ

আপডেট : ৮ জুন ২০২৫, রবিবার

ওবাইদুল্লা লস্কর, ডায়মন্ড হারবার: মহেশতলা-কাণ্ডে নিখোঁজ কিশোরের খোঁজে এবার সিআইডির সাহায্য চাইল ডায়মন্ড হারবার জেলা পুলিশ। নিখোঁজের ৯ দিন কেটে গেলেও কিশোরের হদিশ না মেলায় উদ্বেগ বাড়ছে পরিবারের পাশাপাশি পুলিশ মহলেও। সিআইডির ক্রিমিনাল ইনটেলিজেন্স গেজেটে ইতিমধ্যে ছবি-সহ নিখোঁজ কিশোরের চেহারার বিবরণ ও সমস্ত তথ্য প্রকাশ করা হয়েছে।

তদন্তে গতি আনতে ইসলামপুর এবং মহেশতলা এলাকার বিভিন্ন সিসি ক্যামেরার ফুটেজ খতিয়ে দেখা হচ্ছে। কিশোরের ছবি, পরিচয় ও যাবতীয় তথ্য পোস্ট করা হয়েছে সমাজমাধ্যমে, পুলিশের অভ্যন্তরীণ হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপে এবং ছড়িয়ে দেওয়া হয়েছে জেলার বিভিন্ন থানা, কলকাতা-সহ রাজ্যের নানা হাসপাতাল ও মর্গ কর্তৃপক্ষের কাছে। এমনকী সীমান্তবর্তী এলাকাগুলিতেও সতর্কতা জারি করা হয়েছে।

আরও পড়ুন: হাইকোর্টেই গ্রেপ্তার দম্পতি, সিআইডি’র ভূমিকায় বেজায় ক্ষুব্ধ বিচারপতি

রবিবার দুপুরে কিশোরের খোঁজ না মেলায় ক্ষোভে ফেটে পড়েন স্থানীয় বাসিন্দারা। ইসলামপুরের মাটিকুন্ডায় রাজ্য সড়ক অবরোধ করে টায়ার জ্বালিয়ে বিক্ষোভ দেখান তারা। তাদের দাবি, প্রশাসন যেন অবিলম্বে নিখোঁজ ছেলেটিকে উদ্ধার করে পরিবারের হাতে তুলে দেয়। নিখোঁজ কিশোরের মায়ের কান্নাজড়িত কণ্ঠে আর্তি, ‘আমার ছেলেকে ফিরিয়ে দিন। জানি না ও বেঁচে আছে না মৃত। অভিযুক্তরা মিথ্যা বলছে। ওকে ছাড়া আমি বাঁচব না।’

আরও পড়ুন: মঙ্গলাহাট অগ্নিকাণ্ড: সিআইডি’র হাতে গ্রেফতার ‘প্রমোটার’ শান্তি রঞ্জন দে

উল্লেখ্য, উত্তর দিনাজপুরের ইসলামপুরের বাসিন্দা ওই কিশোরকে মোবাইল চুরির অভিযোগে মহেশতলার একটি জিনস ওয়াশ কারখানায় উলটে ঝুলিয়ে ইলেকট্রিক শক দেওয়া হয়। সেই নির্যাতনের ভিডিয়ো ছড়িয়ে পড়ে সমাজমাধ্যমে। ঘটনায় অভিযুক্ত কারখানার মালিক শাহেনশাহ, তার ভাই ফিরোজ আলম এবং কর্মচারী আমিরুল ওরফে আশিককে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। রবিবার দুপুরে তাদের মুম্বই থেকে এনে রবীন্দ্রনগর থানায় হেফাজতে নেওয়া হয়েছে। ডায়মন্ড হারবার জেলা পুলিশের এক আধিকারিক জানিয়েছেন, ‘আমরা সমস্ত দিক থেকে তদন্ত করছি। আশা করছি দ্রুত কিশোরকে অক্ষত অবস্থায় উদ্ধার করা যাবে। প্রয়োজনে আরও তদন্তকারী সংস্থার সহযোগিতাও নেওয়া হবে।’

আরও পড়ুন: সেনাবাহিনীতে দুই পাক চর,  এবার সিআইডির পাশাপাশি তদন্তে সিবিআই