রানির শেষকৃত্যর নিরাপত্তায় খরচ হচ্ছে ৭ মিলিয়ন ডলার!

- আপডেট : ১৮ সেপ্টেম্বর ২০২২, রবিবার
- / 17
পুবের কলম ওয়েব ডেস্ক: কয়েকটি দেশ বাদে বিশ্বের প্রায় সব দেশ থেকেই কেউ না কেউ আসছেন রানি এলিজাবেথকে শেষ শ্রদ্ধা জানাতে। রানির শেষকৃত্যানুষ্ঠানে সব মিলিয়ে ৫০০ নেতা-বিশিষ্টজনকে আমন্ত্রণ জানিয়েছে ব্রিটিশ রাজপরিবার। স্বভাবতই লন্ডনে এখন বিশ্বনেতাদের জমায়েত নিয়ে চাপে সরকার। নিরাপত্তায় কোনও ফাঁকফোঁকর রাখতে চাইছে না তারা। ওয়েস্টমিনস্টার হলে চলছে সদ্যপ্রয়াত রানি এলিজাবেথের প্রতি শেষশ্রদ্ধা জ্ঞাপন। অন্ত্যেষ্টিক্রিয়ায় নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে ব্রিটিশ এমআই-৫ ও এমআই-৬ গোয়েন্দা সংস্থা, লন্ডনের মেট্রোপলিটন পুলিশ ও সিক্রেট সার্ভিস একসঙ্গে কাজ করছে। জানা গেছে, রানির অন্ত্যেষ্টিক্রিয়ার নিরাপত্তা জোরদার করতে ৭০ লক্ষ মার্কিন ডলারেরও বেশি ব্যয় হবে।
বর্তমানে বেসরকারি আন্তর্জাতিক নিরাপত্তা সংস্থা ট্রোজান কনসালটেন্সি’র তত্ত্বাবধায়কের দায়িত্ব পালন করছেন সাইমন মরগান। তিনি বলেন, ‘এর আগেও কয়েকটি বড় অনুষ্ঠানে আমরা দায়িত্ব পালন করেছি। যেমন ২০১১ সালে প্রিন্স অব ওয়েলস প্রিন্স উইলিয়াম ও কেট মিডেলটনের বিয়েটাও বড় ঘটনা ছিল, কিন্তু তার সঙ্গে আপনি এটার তুলনা করতে পারবেন না।’
মরগান জানান, অন্তেষ্ট্যিক্রিয়ার দিন লন্ডনকে কঠোর নিরাপত্তার চাদরে ঢেকে ফেলা হবে। বাড়ির ছাদ ও দর্শনার্থীদের জন্য নির্ধারিত পয়েন্টগুলো থেকে শুরু করে ভিড়ের মধ্যেও পুলিশ ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকবে। কারণ পুলিশ ও গোয়েন্দা কর্মকর্তারা সন্ত্রাসবাদের আশঙ্কা করছেন। লন্ডন শহরের কিছু অংশ ইতিমধ্যে ঘিরে ফেলা হয়েছে এবং সম্ভবত শেষকৃত্যানুষ্ঠানের আগে আরও রাস্তা বন্ধ হয়ে যাবে।
মরগান বলেন, ‘৭ লক্ষ ৫০ হাজার মানুষ অন্ত্যেষ্টিক্রিয়ায় অংশ নেবে বলে আশা করা হচ্ছে, যা উইলিয়াম ও কেটের বিয়ের চেয়েও অনেক বেশি।’ অন্যদিকে, প্রিন্স হ্যারি ও মেগান মার্কেলকে রাজকীয় সুরক্ষা দেওয়া হচ্ছে। তবে তারা তাদের রাজকীয় দায়িত্ব ছেড়ে দেওয়ার সময়, রাজকীয় নিরাপত্তার অধিকার হারিয়েছিলেন।