০২ জুন ২০২৫, সোমবার, ১৮ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

১ .৬ লাখের বাতিল নোট বদলে দিতে রিজার্ভ ব্যাংককে নির্দেশ এই হাইকোর্টের

মাসুদ আলি
  • আপডেট : ২৫ ফেব্রুয়ারী ২০২২, শুক্রবার
  • / 13

পুবের কলম ওয়েব ডেস্ক : নোট বাতিলের পর ৬ বছর কেটে গিয়েছে।মোদি সরকারের এই ফরমানে ভুগতে হয়েছে গোটা দেশকে।৬ বছর পরও এক ব্যক্তির কাছে রয়ে গিয়েছিল ১.৬ লাখ টাকা। পুরনো নোট বদলে দেওয়ার জন্য রিজার্ভ ব্যাঙ্ককে নির্দেশ দিল বম্বে হাইকোর্ট। মঙ্গলবার এই রায় দেন বিচারপতি গৌতম প্যাটেল ও মাধব জামদার ৷

মুম্বইয়ের ডোম্বিভাল এলাকার বাসিন্দা কিশোর সোহোনি একটি পিটিশন দাখিল করেছিলেন ৷ ২০১৬ সালের মার্চ মাসে একটি প্রতারণা মামলায় (money laundering case) অভিযোগকারী ছিলেন সোহোনি ৷ সেই মামলায় অভিযুক্তকে স্থানীয় থানায় ১ .৬ লাখ টাকা জমা রাখতে বলেছিলেন কল্যাণ কোর্টের ম্যাজিস্ট্রেট ৷ এরপর সে বছরই ৮ নভেম্বর বিমুদ্রাকরণের ঘোষণা করে কেন্দ্রীয় সরকার ৷ পুরনো বাতিল নোট বদলে নেওয়ার জন্য ডেডলাইন রাখা হয় ২০১৬ সালের ৩১ ডিসেম্বর ৷ সেই সময়ের আগে যাতে অভিযুক্তের জমা রাখা টাকা বদলে নিতে পারেন, সেই আর্জি জানিয়েছিলেন সোহোনি ৷ তবে ম্যাজিস্ট্রেট তাঁকে সেই টাকা তোলার অনুমতি দেন ২০১৭ সালের ২০ মার্চ ৷

আরও পড়ুন: কামরার জন্য করা জনস্বার্থ মামলা খারিজ বম্বে হাইকোর্টের

সোহোনি তাঁর পিটিশনে বলেছেন, সেই সময় তাঁর টাকার খুব বেশি প্রয়োজন ছিল না ৷ তাই থানায় রাখা টাকা আর তুলতে যাননি তিনি ৷ ২০২০ সালে সুর হয় লকডাউন ৷ ২০২০ এর অক্টোবরে সেই টাকা সংগ্রহ করার জন্য থানায় যান তিনি। তখন তাঁকে দেওয়া হয় বাতিল ১০০০ টাকার নোটের বান্ডিল ৷ সোহোনি আক্ষেপ করে বলেছেন, ‘ওগুলো এখন আমার কাছে মহাত্মা গান্ধির ছবি ছাড়া আর কিছুই নয় ৷’এই পরিপ্রেক্ষিতে সোহনির আবেদন মঞ্জুর করে সেই বাতিল নোট বদলে দেওয়ার জন্য রিজার্ভ ব্যাংককে নির্দেশ দিয়েছে বম্বে হাইকোর্ট ৷

Copyright © Puber Kalom All rights reserved.| Developed by eTech Builder

১ .৬ লাখের বাতিল নোট বদলে দিতে রিজার্ভ ব্যাংককে নির্দেশ এই হাইকোর্টের

আপডেট : ২৫ ফেব্রুয়ারী ২০২২, শুক্রবার

পুবের কলম ওয়েব ডেস্ক : নোট বাতিলের পর ৬ বছর কেটে গিয়েছে।মোদি সরকারের এই ফরমানে ভুগতে হয়েছে গোটা দেশকে।৬ বছর পরও এক ব্যক্তির কাছে রয়ে গিয়েছিল ১.৬ লাখ টাকা। পুরনো নোট বদলে দেওয়ার জন্য রিজার্ভ ব্যাঙ্ককে নির্দেশ দিল বম্বে হাইকোর্ট। মঙ্গলবার এই রায় দেন বিচারপতি গৌতম প্যাটেল ও মাধব জামদার ৷

মুম্বইয়ের ডোম্বিভাল এলাকার বাসিন্দা কিশোর সোহোনি একটি পিটিশন দাখিল করেছিলেন ৷ ২০১৬ সালের মার্চ মাসে একটি প্রতারণা মামলায় (money laundering case) অভিযোগকারী ছিলেন সোহোনি ৷ সেই মামলায় অভিযুক্তকে স্থানীয় থানায় ১ .৬ লাখ টাকা জমা রাখতে বলেছিলেন কল্যাণ কোর্টের ম্যাজিস্ট্রেট ৷ এরপর সে বছরই ৮ নভেম্বর বিমুদ্রাকরণের ঘোষণা করে কেন্দ্রীয় সরকার ৷ পুরনো বাতিল নোট বদলে নেওয়ার জন্য ডেডলাইন রাখা হয় ২০১৬ সালের ৩১ ডিসেম্বর ৷ সেই সময়ের আগে যাতে অভিযুক্তের জমা রাখা টাকা বদলে নিতে পারেন, সেই আর্জি জানিয়েছিলেন সোহোনি ৷ তবে ম্যাজিস্ট্রেট তাঁকে সেই টাকা তোলার অনুমতি দেন ২০১৭ সালের ২০ মার্চ ৷

আরও পড়ুন: কামরার জন্য করা জনস্বার্থ মামলা খারিজ বম্বে হাইকোর্টের

সোহোনি তাঁর পিটিশনে বলেছেন, সেই সময় তাঁর টাকার খুব বেশি প্রয়োজন ছিল না ৷ তাই থানায় রাখা টাকা আর তুলতে যাননি তিনি ৷ ২০২০ সালে সুর হয় লকডাউন ৷ ২০২০ এর অক্টোবরে সেই টাকা সংগ্রহ করার জন্য থানায় যান তিনি। তখন তাঁকে দেওয়া হয় বাতিল ১০০০ টাকার নোটের বান্ডিল ৷ সোহোনি আক্ষেপ করে বলেছেন, ‘ওগুলো এখন আমার কাছে মহাত্মা গান্ধির ছবি ছাড়া আর কিছুই নয় ৷’এই পরিপ্রেক্ষিতে সোহনির আবেদন মঞ্জুর করে সেই বাতিল নোট বদলে দেওয়ার জন্য রিজার্ভ ব্যাংককে নির্দেশ দিয়েছে বম্বে হাইকোর্ট ৷